‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদেরসহ শিশু শেখ রাসেলকে ১৫ আগস্টের ঘাতকেরা হত্যা করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নজির স্থাপন করেছে’।
জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা উল্লেখ করেন জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড ছিলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করার এক প্রয়াস। সকল ষড়যন্ত্র ও নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের পুনঃজাগরণ হয়েছে। এই চেতনাকে ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশী ও স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের মধ্যমণি শেখ রাসেলের শৈশবের বিভিন্ন কোমলমতি ঘটনার উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ রাসেলকে না হারালে বাঙ্গালি জাতি বঙ্গবন্ধুর আরেকজন সুযোগ্য উত্তরসূরি পেতো। তারা আরও বলেন শেখ রাসেলের পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় তিনি বেঁচে থাকলে এদেশের মানুষের কল্যাণে অনবদ্য ভূমিকা পালন করতেন।
আলোচনা সভার শুরুতে দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন। এছাড়া, শেখ রাসেলের জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা প্রবাহ নিয়ে তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে মুক্তিযুদ্ধ ও ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন