কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫১তম বার্ষিকী এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ার পূর্ত বিষয়ক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী দাতো’ শ্রী হাজী ফাদিলাহ বিন হাজী ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
প্রধান অতিথি দাতো’ শ্রী হাজী ফাদিলাহ বিন হাজী ইউসুফ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
আসাদুজ্জামান খান এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থেই ’৭১-এর ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের ছাই থেকে উঠে এসেছে।
ইমরান আহমদ এমপি বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার মূল্যবোধ, আচার ও ঐতিহাসিক বন্ধনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন। তিনি স্বচ্ছতার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রচেষ্টা ও সমর্থনের জন্য মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, সংস্কৃতি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের ব্যাপারে আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
এরপর স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পী এবং মালয়েশিয়ার শিল্পীদের পরিবেশনায় নাচ-গানের মাধ্যমে বাংলাদেশি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। যা অতিথিরা প্রাণভরে উপভোগ করেন। পরিশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে কেক কাটা ও দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা, পর্যটন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উপর ভিডিওচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসজিপি, পিএসসি, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এবং বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন