অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দীর্ঘদিনের করোনা নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে তুলে নেয়ার পরে সব কিছু আগের মতো হতে শুরু করেছে। বাঙালি কমিউনিটি বিগত বছর গুলোর মতো আয়োজন করছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ধারাবাহিকভাবে ঈদ এক্সিবিশনের। সিডনির ইঙ্গেলবার্নে এবারও রমজান মাসের পরপর তিনটি রবিবার থাকছে বিশেষ আয়োজন।
সিডনির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঈদ এক্সিবিশন এবার ২৮ নির্বাচিত নারী উদ্যোক্তাতারা ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণীয় উপমহাদেশীয় ডিজাইন, রঙ, ফ্যাশান এবং ঐতিহ্যবাহি ঈদ সামগ্রী নিয়ে এসেছেন তাদের স্টলে।
২৪ এপ্রিল প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল এমপি এনি স্ট্যানলি, প্রাক্তন ফেডারেল এমপি লরি ফার্গাসন, স্টেট এম পি অনুলাক চান্টিভং, বাংলাদেশ হাই কমিশনের কনসাল জেনারেল সিডনির খন্দকার মাসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি শেখ শামীম এবং মেলার আয়োজক সেলিমা বেগম।
এনি স্ট্যানলি বলেন, "আমাদের এই অঞ্চলে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এমন আকর্ষণীয় একটি ঈদ এক্সিবিশনের আয়োজনে আমি মুগ্ধ। কতোটা আকর্ষণীয় এবং আনন্দের হতে পারে বাংলাদেশের ঈদ তা এই ঈদ এক্সিবিশনের আয়োজন দেখলেই বুঝা যায়। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বুটিক ক্লাবের এই আয়োজন করার জন্য সিডনি বাঙালি কমিউনিটির অন্যতম সেলিমা বেগমকে। নিঃসন্দেহে এই ধরণের উদ্যোগ মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়াকে আরো প্রসারিত করবে। "
বাংলাদেশ হাই কমিশনের কনসাল জেনারেল বলেন, "এই ঈদ এক্সিবিশনে আসলে মনেই হয় না আমরা দেশের বাহিরে আছি এবং এতো বিদেশের মাটিতে এই ধরণের ঈদ এক্সিবিশনের আয়োজন করাতে সবাই উপকৃত হচ্ছে।"
মেলায় এবার আকর্ষণীয় আইটেমের মধ্যে ছিল দেশী ও উপমহাদেশীয় সব ধরণের শাড়ির সমাহার, বাহারি গহনা, আড়ং এর পাঞ্জাবী ও সালোয়ার কামিজ, নকশি কাঁথা, হাতের কাজের আকর্ষণীয় শোপিস। সিডনি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা থেকেও ছুটে এসেছেন বাঙালিরা এই ঈদ এক্সিবিশনে যোগ দিতে। সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই এক্সিবিশনটি। আগামী ১ মে একই স্থানে চলবে তৃতীয় ঈদ এক্সিবিশন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন