২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:৪৩

কানাডার টরন্টোর স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসীদের ঢল

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা প্রতিনিধি

কানাডার টরন্টোর স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসীদের ঢল

কানাডার টরন্টোর স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসীদের ঢল

একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় কানাডার টরেন্টোতে সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি, টরন্টো ২০২৩ এর উদ্যোগে পালিত হল শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

একুশের প্রথম প্রহরে টরন্টোর ডেনফোর্থের ডেনটোনিয়া পার্কের স্থায়ী শহীদ মিনার বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিদের পদচারণায় ছিল মুখরিত।

এ বছরও সুশঙ্খলভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনাসহ সব কাজ সুন্দরভাবে করেছে সর্বজনীন একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি।

এদিন একুশের প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে বক্তব্য দেন কানাডার ফেডারেল সরকারের মন্ত্রী এবং স্কারবো সাউথওয়েস্টের এমপি বিল ব্লেয়ার, টরন্টোর বিচেস অ্যান্ড ইস্ট ইয়র্কের এমপি ন্যাথানিয়েল স্মিথ, স্কারবো সাউথওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম, এমপিপি ম্যারি মার্গারেট ম্যাচার, টরন্টোরবাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমান, কাউন্সিলর গ্যারি ক্রাফোর্ড, ব্রাড ব্রাডফোর্ড এবং টিডিএসবি ট্রাস্টি মালিকা,শামসুল আলম ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এমপিপি ডলি বেগম একটি শুভেচ্ছা বাণীও প্রদান করেন। যাতে ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। 

বক্তারা বলেন, এই কানাডার রফিক-সালামই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূচনা করেছিলেন। সেজন্য কানাডা প্রবাসীরা গর্বিত! স্থায়ী শহীদ মিনারটি ছিল ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। একুশের প্রথম প্রহরের নির্ধারিত সময়ের আগেই শহীদ মিনারে চলে আসেন মুক্তিযোদ্ধাসহ শত শত বাঙালি এবং বিদেশিরাও। তারা সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পমাল্য প্রদান করেন।

এর আগে ডেনটোনিয়া পার্ক শহীদ মিনারের সামনে একুশের শত কণ্ঠের গান পরিবেশন করেন টরন্টোতে বসবাসরত বাঙ্গালিরা। তারা এক সঙ্গে গেয়ে উঠেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারে। 

আবৃত্তিশিল্পী কামরান করিমের নির্দেশনায় শতকণ্ঠে একুশের গান পর্বটি ছিল সত্যি দেখার মতো। অনুষ্ঠান শেষে সর্বজনীন একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার. রেজাউর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ এবং সদস্য সচিব ফায়েজুল করিম ভলানটিয়ার এবং উদযাপন কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

উদযাপন কমিটির মুজাহিদ ইসলাম, আহাদ খন্দকার, ছাদ চৌধুরী, সাইদুল ফয়সাল, প্রকৌশলী নওশের আলী, মাহবুব চৌধুরী রনি, কফিল ঊদ্দিন পারভেজ, মাসুদ আলী লিটন, আমিনুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ, রিমন ইসলাম, ড. হানিফ উদ্দিন, সাকিব হোসেন, রাসেল আহমেদ, আবু জহির সাকিব, সুমন সাইয়েদ, মেরি রাশেদীন, মকবুল হোসেন মঞ্জু, ইমরুল ইসলাম, জাকারিয়া চৌধুরী, জামিল বিন খলিল, বাবলু চৌধুরী, শাকিল আহমেদ, কামরান করিম, দীন ইসলাম, তাজুল ইসলাম প্রমুখ সর্বাত্নক সহায়তা করে একুশের প্রথম প্রহরটি সুশৃঙ্খল করে তোলেন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর