শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

গল্প

আজমীর সাহেবের অবকাশযাপন

নিলয় মাহমুদুল
প্রিন্ট ভার্সন
আজমীর সাহেবের অবকাশযাপন

আজমীর সাহেব অফিস থেকে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছেন। এ কয়দিন অফিসে বেশ ঝামেলা গেছে তার ওপর দিয়ে। কদিন রেস্ট নেওয়া দরকার। কিন্তু কোথায় যাবেন? বাড়িতে থেকে ছুটি কাটানো যাবে না। কারণ তার স্ত্রী খুব আমুদে মানুষ। এ মুহূর্তে আমুদের চাইতে একটু নিরিবিলি থাকতে বেশি ইচ্ছে করছে আজমীর সাহেবের। আজমীর সাহেবের স্ত্রী যদি কোনোভাবে জানতে পারে সে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছে, অমনি গো ধরবে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে। তাও আবার দেশে না, বিদেশে।

স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়াই যায়। এতে দোষের কিছু নেই। তবে স্ত্রী যদি ঘুরতে এসে কোন মহিলা কী পরল, কাকে কেমন দেখাচ্ছে, কার জামা-কাপড়ের কত দাম হতে পারে- এসব নিয়ে পড়ে থাকে সেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কোনো মানে হয়? গত বছর তারা দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিল। সঙ্গে তার স্ত্রীর বড় বোনও ছিল। দুই বোন একসঙ্গে হলে, পারলে একেকজনকে ডেকে ডেকে বলে, ‘আপা দেখ বুড়িটাকে কেমন লাগছে। ইচ্ছে করছে ডেকে বলি, আপনাকে এই পোশাকে খুবই বাজে লাগছে।’ শুধু ভদ্রতার খাতিরে বলতে পারে না। দুই বোন তখন নিজেরা নিজেরা হাসতে হাসতে শেষ। অথচ দুই বোনেরই বয়স এখন ঢালের দিকে। শরীরে মেদ জমেছে। শাড়ি ছাড়া তাদের অন্য কিছুতে মানায় না। ভারী মেকআপে খুবই অস্বস্তিকর দেখায়। তাও তাদের রূপচর্চায় কোনো কমতি থাকে না। তাদের ঘোরাফেরা শুধু কাপড় আর কসমেটিকসের দোকান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। শেষে দেখা যায়, দুজনের কেনাকাটার ব্যাগ বইতে বইতে আজমীর সাহেবের জীবন যায়। তখন একটা ভিন্ন দেশ দেখার যে আগ্রহ নিয়ে আস্বাদ, তা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। এমনিতেই এক মহিলার যন্ত্রণায় অস্থির, তার ওপর আরেকজন। কোনো এক অদ্ভুত কারণে স্ত্রীর ছোট বোনের প্রতি পুরুষদের যে মায়া কাজ করে, বড় বোনদের প্রতি করে, তার উল্টোটা।

আজমীর সাহেব ঠিক করলেন এবারের ছুটিটা তিনি গ্রামে গিয়ে কাটাবেন। তার এক বন্ধু থাকেন গ্রামে। তার নাম ওয়াহিদুর রহমান। বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত লেখক। শহরে অভিজাত এলাকাতে নিজের কেনা ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও বছরের বেশির ভাগ সময় গ্রামেই থাকেন। তিনি বিয়ে করেননি। তবে প্রেম করেছেন প্রচুর। এ নিয়ে বাজারে অনেক চটকদার খবর চালু আছে। বছরখানেক হয় নতুন জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। সেখানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে একটা চিঠিও দিয়েছিলেন।

বন্ধু,

ভালো আছ নিশ্চয়ই। তোমার ৮টা-৫টার জীবন কেমন চলছে? সম্প্রতি একটা নতুন বাড়ি করলাম। একদম নিটল, শান্ত পরিবেশ। দোতলা টিনের ঘর। লাগোয়া বিশাল বারান্দা। বর্ষাকালে বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখি। কী যে এক অনাবিল শান্তি। না দেখলে বুঝবে না। বাড়ির দক্ষিণ পাশে বিশাল একটা পুকুর কাটিয়েছি। স্বচ্ছ টলটলা পানি। চৈত্রের তপ্ত দুপুরে গাছের ছায়ায় পুকুর পাড়ে যখন বসি, মনটা এত শীতল হয় যে, মনে হয় মায়ের কোলে আছি। একটা বজরার মতো নৌকা বানিয়েছি। জ্যোৎস্না রাতে সেই নৌকায় একা একা ভেসে বেড়াই। এখানে একটা ছেলে আছে। ওর নাম সুমন। চমৎকার গান করে। মাঝে মাঝে ওকে ডেকে নিয়ে গান শুনি। তখন তারাশঙ্কর সাহেবের একটা কথা খুব মনে পড়ে- জীবন এত ছোট কেন?

ঘড়ির কাঁটা হিসাব করে চলা মানুষ তোমরা। একদিন বেহিসাবি হওয়ার আমন্ত্রণ রইল।

আজমীর সাহেব বাড়িতে বললেন, অফিসের কাজে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যেতে হবে।

শুনে স্ত্রী বললেন, কবে ফিরবে?

সপ্তাহখানেক।

এক সপ্তাহ?

হ্যাঁ। কেন?

বড় আপা বলছিল তিন-চার দিনের জন্য নেপাল যাবে। দুলাভাইও যাচ্ছে সঙ্গে। আপার নামে নতুন কী এক ব্যবসা নাকি দেবে। তাই দেখতে যাচ্ছে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যাব কি না। তখন না করেছিলাম। এখন যেহেতু তুমি বাসায় থাকছ না, তাহলে আমিও যাই সঙ্গে? তুমি কী বল?

আদিল, রিপা ওরা বাসায় একা থাকবে?

একা কোথায়? মফিজ ভাই, ছনিয়ার মা, আলাউদ্দিন ওরা তো আছেই। তাছাড়া ওরা এখন যথেষ্ট ম্যাচিউরড।

যাও যেখানে খুশি।

এমনভাবে বলছ যেন আমি তোমার গলার কাঁটা হয়ে আছি।

আমি সেটা বলিনি। বলতে চেয়েছি আরও কোথাও যেতে চাইলে যেতে পার।

আরও কোথাও কীভাবে যাব? এত টাকা আছে আমার কাছে?

টাকা নেই মানে? গত সপ্তায় না এক লাখ টাকা নিলে?

তোমাকে বলিনি, কেনাকাটা করেছি?

আজমীর সাহেব বুঝতে পারেন না একটা মহিলা এত খরুচে স্বভাবের হয় কীভাবে? ছেলেমেয়েগুলোও দিনদিন মায়ের মতো হচ্ছে। এক অজানা কারণে মা আর ছেলেমেয়েদের কাউকে তিনি কিছু বলতে পারেন না। নিজের স্ত্রীর ওপর যতই বিরক্ত হন না কেন, মাঝে মাঝে প্রবল মায়া আর ভালোবাসায় কেমন যেন আটকে যান।

আজমীর সাহেব গাড়ি নিয়ে বের হলেন বিকাল বেলা। প্রথমে ভেবেছিলেন গাড়ি ছাড়াই বের হবেন। পরে ভাবলেন, নতুন অপরিচিত জায়গা, শেষে রাস্তা হারিয়ে ফেললে বিপদ হবে। তাই গাড়ি নিয়েই বের হলেন। আজমীর সাহেবের ড্রাইভারের নাম রমজান। প্রায় সাত বছর হয় আজমীর সাহেবের গাড়ি চালাচ্ছে সে।  অনেকটা পরিবারের সদস্যের মতোই হয়ে গেছে।

পোস্তগোলা ব্রিজ পার হওয়ার পর হাসনাবাদ স্ট্যান্ড। বসুন্ধরা রিভারভিউ রোড ধরে পানগাঁওয়ের কাছাকাছি আসতেই আজমীর সাহেব গাড়ির গ্লাস নামিয়ে ফেললেন। সবকিছু ছবির মতো সুন্দর লাগছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ। মাঝে মাঝে কিছু বাড়ি, পরপর ছোট ছোট জলাশয়। তীব্র বেগে হাওয়া গা ছুয়ে যাচ্ছে। নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছে। ইচ্ছে হচ্ছে পাখির মতো উড়ে যেতে। চলতি পথে সাধারণত তিনি গ্লাস নামান না। ঢাকা শহরে যেই জ্যাম। তার ওপর কোথাও থামলেই ভিক্ষুকদের উৎপাত।

স্যার একটা কথা বলমু? বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর এই প্রথম রমজান কিছু বলল।

বল।

অনেক দিন ধইরাই ভাবতাছিলাম বলমু, সুযোগ হইতাছিল না।

এত ভনিতা করার কী আছে? তুমি তো আমার সঙ্গেই থাক। চাইলে যে কোনো সময়ই তো বলতে পার।

তারপরেও স্যার, সব কথা সব সময় বলা যায় না।

আচ্ছা বলো দেখি তোমার কী এমন কথা।

কথাটা আসলে ছোট সাহেবরে নিয়া।

আদিলকে নিয়ে আবার কী কথা?

আমার মনে হয় ছোট সাহেব খারাপ ছেলেপেলের পাল্লায় পড়ছে।

মানে? বুঝলাম না ঠিক।

লজ্জার কথা কী বলব স্যার, সেদিন তারে আমি গাঁজা খাইতে দেখছি। এর আগেই আমার একবার সন্দেহ হইছিল, তাই খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নজর রাখছিলাম। একদিন দেখি এক মাইয়া মাইনষের কাছ থেইকা নেশাপানি কিনতাছে।

আজমীর সাহেব কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন বুঝতে পারছেন না। চুপ করে রইলেন।

আমারে ক্ষমা করবেন স্যার। অন্য কোনো বিষয় হইলে বলতাম না। আদিল বাবাজিকে আমি সন্তানের মতো দেখি। চোখের সামনে ছেলেটা নষ্ট হইয়া যাইব, এইটা মানা স্যার আমার পক্ষে সম্ভব না।

না না তুমি কেন ক্ষমা চাইছ? বরং ভালোই করেছ। ঠিক আছে আমি           দেখছি।

এতক্ষণ যেই ফুরফুরে আমেজে তিনি ছিলেন তার সবটাই এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়ের কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেননি আজমীর সাহেব। যখন যা চেয়েছে একবাক্যে দিয়েছেন। আজকের এই দিনটির জন্য? আজমীর সাহেব মনে মনে ভাবলেন- আজ আমার ড্রাইভার বলছে আমার ছেলে নেশা করে! মেয়েটার চলাফেরাও দিনদিন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরে। রোকসানাকে কয়েকবার বলেওছিলেন। সে বলে, মেয়ে বড় হয়েছে, কলেজে পড়ে, এখন একটু ঘোরাফেরা করবে না তো কবে করবে? কিন্তু ছেলেটা? শান্তশিষ্ট এ ছেলেটা তলে তলে এসব করে বেড়ায়? কলেজ শেষ করে সবে ইউনিভার্সিটিতে উঠেছে। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আর সে কি না এভাবে সব নষ্ট করছে? কোনো দিন ছেলেমেয়েকে একটা ধমকও দেননি আজমীর সাহেব। আজ তারাই কি না কলিজায় দাগ কেটে যাচ্ছে?

ব্রাহ্মণগাঁওয়ের কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ গাড়িটা বন্ধ হয়ে গেল। সন্ধ্যা হবে হবে। ফাঁকা রাস্তা, আশপাশে কয়েকটা ইটের ভাটা, অফ সিজন হওয়ায় সেখানেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

কী হলো রমজান?

সেইটাই তো বুঝতাছি না স্যার।

রমজান পরপর কয়েকবার গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো।

বের হওয়ার আগে গাড়ি চেক করনি?

সবই তো ঠিক ছিল, হঠাৎ কি হইল বুঝতাছি না।

এখান থেকে আর কতদূর বলতে পার?

এক কিলোর মতো হইব।

আজমীর সাহেব গাড়ি থেকে নেমে একটা সিগারেট ধরালেন। পরিবেশটা মন্দ না। মৃদু বাতাস বইছে, চারদিক থেকে ঝিঁঝি পোকার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। দূরে আকাশের তারার মতো মিটমিট করে কিছু আলো জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

আজমীর সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ওটা কি কোনো বাজার নাকি?

রমজান বলল, বাজারের মতোই। কয়েকটা দোকানপাট আছে। জাজিরা বোটঘাট এটা।

তুমি এখানে এত কিছু চেন কীভাবে?

আগে যখন ভাড়া গাড়ি চালাইতাম বিদেশি যাত্রী নিয়া মাঝে মাঝে আসা হইত।

চলো তাহলে সামনে যাই। দেখি কোনো মেকানিক পাওয়া যায় কি না!

এইখানে কোনো মেকানিক পাওয়া যাইব বইলা মনে হয় না। হয় ফতুল্লা ঘাটে যাইতে হইব, না হয় হাসনাবাদ।

গিয়ে দেখি কোনো ব্যবস্থা হয় কি না। না হলে কাল সকালে দেখা যাবে।

এমন সুনসান জায়গায় গাড়িটা রাইখা যাওয়া কি ঠিক হইব স্যার?

এ ছাড়া উপায় কী?

আমি না হয় স্যার সামনে থেইকা আপনারে একটা রিকশা কইরা দেই, আপনে চইলা যান। আমি গাড়ি ঠিক করায়া নিয়া আসতাছি।

অল্প কিছু দূর পরেই একটা ছোট ব্রিজ। ব্রিজের এক কোনায়, নিচে কে একজন জবুথবু হয়ে বসে আছে। কৌতূহলবশত আজমীর সাহেব উঁকি দিলেন। লোকটার মাথা নিম্নমুখী। কারও উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। লোকটির চোখেমুখে ভয় ধরানো একটা ব্যাপার আছে। রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। রমজান ভয় পেয়ে বলল, চলেন স্যার।

আজমীর সাহেব লোকটিকে পা থেকে মাথা অবধি এক নজর দেখলেন। এই গরমেও লোকটা চাদর গায়ে দিয়ে আছে। চাদরের ভিতরে কিছু পরে আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। নিম্নাংশে ধুতি পরিহিত। হাতে লাঠি।

রমজান আবারও বলল, পাগল মনে হইতাছে। এদের কাছে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হইব না। চলেন স্যার।

আজমীর সাহেব চোখে মুখে আগের মতোই কৌতূহল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সেই রহস্যময় লোকটি হাসি হাসি মুখ করে বলল, এ দুনিয়ায় ভালা মানুষ কেডা? কেউ ট্যাকার পাগল, কেউ মাইয়া মাইনষের পাগল, কেউ আবার সরাবের পাগল। কিছু কিছু পাগল আছে সত্যরে মিথ্যা আর মিথ্যারে সত্য জ্ঞান করে।

আজমীর সাহেব অথবা রমজান, তদের কেউ লোকটির কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারল না।

লোকটা এবার বিরক্তির ছাপ মুখে নিয়ে বলল, যাহ, আমারে ত্যক্ত করিছ না। অগো লগে আমার কথা আছে।

লোকটি আগের মতোই তার স্থানে বসে পড়ল।

লেখক সাহেবের বাড়ি পৌঁছাতে রাত ৮টা বেজে গেল। আজমীর সাহেব এসেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাতে। রমজান গেছে মেকানিকের সন্ধানে।

নৈশভোজ শেষে দুই বন্ধু বসেছে পুকুর ঘাটে। আজমীর সাহেবের দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়ে আছে পুকুরের যেখানটায় চাঁদের আলো এসে পড়েছে সেখানটায়। লেখক সাহেব এক খিলি পান মুখে দিলেন। মুখের ভিতর পিষতে থাকা পানের শব্দে আজমীর সাহেব ফিরে তাকালেন।

তুমি আবার পান খাও কবে থেকে?

লেখক মৃদু হেসে বললেন, সব সময় খাই না। মাঝে মধ্যে। দেব নাকি তোমাকে একটা বানিয়ে?

না, না তুমিই খাও। পান মুখে দিয়ে জাবর কাটতে আমার অসহ্য লাগে।

ঠিক আছে তোমার খেতে হবে না।

কিছুক্ষণের নীরবতা শেষে আজমীর সাহেব বললেন, অনেক দিন পর ঝিঁঝি পোকার ডাক শুনছি। রাস্তা দিয়ে আসার সময়ও শুনতে পেয়েছিলাম। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

তুমি এসবও ভাবো?

শহরের অভ্যস্ত ব্যস্ত জীবনে এসব নিয়ে ভাববার সময় কই?

তা অবশ্য ঠিক। আর সে জন্যই তো এখানে গর্ত খুঁড়লাম। সম্পূর্ণ গর্তজীবী হবো বলে।

তুমি খুব ভালো আছ ভাই।

কেন, তুমি নেই?

ঠিক বুঝতে পারি না।

এই কথা শুনে লেখক সাহেব উচ্চৈঃস্বরে হাসতে লাগলেন। এই হাসির অর্থ বুঝতে পারলেন না আজমীর সাহেব। কেন যেন জিজ্ঞেসও করতে ইচ্ছে করছে না।

প্রসঙ্গ পাল্টে জিজ্ঞেস করলেন, আসার সময় একজন পাগলের সঙ্গে দেখা হলো। কেমন উদ্ভট লাগল।

এটা কেমন কথা বন্ধু? পাগলেরা উদ্ভট হবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

সেই স্বাভাবিকের মধ্যেও কেমন যেন একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ছিল।

তুমি হয়তো আমীর সাহেবের কথা বলছ।

‘সাহেব’ বলছ যে।

হুম তিনি শিক্ষক ছিলেন। দশ বছর আগে এক দুর্ঘটনার পর থেকে তার এই অবস্থা।

কেমন দুর্ঘটনা?

আজমীর সাহেব স্থানীয় এক প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন। একটা মাত্রই ছেলে ছিল তার। অনেক কষ্টে ছেলেকে ডাক্তার বানিয়েছেন। ছেলে নিজের পছন্দে তারই এক সহপাঠীকে বিয়ে করে। এতে তাদের কোনো আপত্তি ছিল না অবশ্য। ছেলে বউ নিয়ে ঢাকাতেই থাকত। দুজন প্রাক্টিসও করত একই হাসপাতালে। বিয়ের প্রথম বছরেই খুশির সংবাদ পায় সবাই। সেই আনন্দ উদযাপনে স্ত্রীকে নিয়ে একদিন এক রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। তুমি জানো নিশ্চয়ই গুলশানের বহুতল ভবনের সেই অগ্নিকান্ডের কথা। সেই দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আজমীর সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা যান। তারপর থেকে তিনিও এলোমেলো হয়ে গেলেন।

আজমীর সাহেব পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে কথাগুলো শুনছিলেন। তার চোখের পানি জোছনার আলোয় চিকচিক করছে। লেখক সাহেব খেয়াল করেও কিছু বললেন না।

আজমীর সাহেবের খুব বলতে ইচ্ছে করছে- বন্ধু জানো, সেই ভবনের অনুমোদন আমি দিয়েছিলাম। ছয়তলার অনুমতি নিয়ে বারোতলা ভবন করা হয়েছে জেনেও আমি কোনো পদক্ষেপ নিইনি। করপোরেট ভবনের অনুমতি নেওয়া হলেও ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্টুরেন্ট হয়েছে, তাও চুপ থেকেছি। সামান্য কিছু টাকার জন্য। অগ্নিকান্ড ঘটার পর আমার নামে কেস হয়। এত বছর পর গতকাল সেই কেসের নিষ্পত্তি করে তোমার এখানে এসেছি।

কী ভাবছ এমন আনমনে? লেখক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন।

কিছু না।

সুমনকে ডেকে পাঠিয়েছি। হয়তো এসে পড়বে এখনই। ওর গান শুনলে ভালো লাগবে। কোনো কিছু নিয়ে এত ভেব না। যদি ভাবতেই হয় সময়মতো ভাববে। তাহলে হয়তো পরবর্তীতে আর কষ্ট পেতে হবে না। জানতো মানুষের ভাগ্য তার কর্মে।

সুমন এসে গান ধরে-

আমি অপার হয়ে বসে আছি

ও হে দয়াময়

পারে লইয়ে যাও আমায়...

ভরা যৌবনের মতো পূর্ণিমার আলোয় ভেসে যায় গান, সঙ্গে কতিপয় প্রাণ।

 

লেখা পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
স্বর্গে দাঁড়ানো নরকের কাক
তোমাকে ভালোবাসার পর
তোমাকে ভালোবাসার পর
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
রোদ বেয়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
বৃষ্টিসূত্রে রচিত পঙ্‌ক্তিমালা
রক্তমাংসের ফুল
রক্তমাংসের ফুল
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা
বেদনা সেলাই
বেদনা সেলাই
আমি নদী অথবা নদীই আমি
আমি নদী অথবা নদীই আমি
প্রত্যাশা
প্রত্যাশা
নীলকবুতর
নীলকবুতর
দহনের সন্তরণ
দহনের সন্তরণ
অপ্রাপ্তি স্বীকার
অপ্রাপ্তি স্বীকার
সর্বশেষ খবর
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দুই দিনে ১৬ জনকে পুশইন
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দুই দিনে ১৬ জনকে পুশইন

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলতে বলছে ইরান
মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলতে বলছে ইরান

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সচল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের ভিডিও প্রকাশ
ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে সচল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের ভিডিও প্রকাশ

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত প্রায় ৬০০
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত প্রায় ৬০০

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিনেমা থেকে অরুণাকে জোর করে বাদ দেন রেখা!
সিনেমা থেকে অরুণাকে জোর করে বাদ দেন রেখা!

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশ

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড়াল দিল এফ-৩৫ মার্কিন যুদ্ধবিমান
যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড়াল দিল এফ-৩৫ মার্কিন যুদ্ধবিমান

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে আবারও শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান
চট্টগ্রামে আবারও শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান

৪৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে গাড়ির ধাক্কায় যুবক নিহত
চট্টগ্রামে গাড়ির ধাক্কায় যুবক নিহত

৫১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প ‘বাবার ছায়া’
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প ‘বাবার ছায়া’

৫২ মিনিট আগে | শোবিজ

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আমেরিকান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আমেরিকান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যুদ্ধ শুরু’, বললেন খামেনি
‘যুদ্ধ শুরু’, বললেন খামেনি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের যৌক্তিকতা দেখছেন না লা লিগা সভাপতি
ক্লাব বিশ্বকাপের যৌক্তিকতা দেখছেন না লা লিগা সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শপথ ছাড়াই ইশরাকের নানা ‘নির্দেশনা’, সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন
শপথ ছাড়াই ইশরাকের নানা ‘নির্দেশনা’, সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা
ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে যা বললেন ম্যাক্রোঁ
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে যা বললেন ম্যাক্রোঁ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলের হামলা ‘অবৈধ’, রাশিয়ার বিবৃতি
ইরানে ইসরায়েলের হামলা ‘অবৈধ’, রাশিয়ার বিবৃতি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজার ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন ইমরান হায়দার
ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন ইমরান হায়দার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান ছাড়তে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা
ইরান ছাড়তে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য দূতাবাসের জরুরি বার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: কীভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র?
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: কীভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির নতুন হুমকি ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ
বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির নতুন হুমকি ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
গাজায় খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউক্লিয়ার ভয়ের নাটক? ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রকৃত কারণ ফাঁস
নিউক্লিয়ার ভয়ের নাটক? ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রকৃত কারণ ফাঁস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় তেহরান ফাঁকা, বাঙ্কারে ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় তেহরান ফাঁকা, বাঙ্কারে ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীকে হত্যা করে বোরকা পরে পালালো স্বামী!
স্ত্রীকে হত্যা করে বোরকা পরে পালালো স্বামী!

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের গোপন স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
ইসরায়েলের গোপন স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমান ক্রমে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন ভিন্ন উচ্চতায়
তারেক রহমান ক্রমে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন ভিন্ন উচ্চতায়

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী
তবু আপন কর্তব্যে অবিচল সেনাবাহিনী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান
ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ হামলা চালাল ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান
পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কী ভাবছে ইরান, জানালেন পেজেশকিয়ান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার
ইরানে ইসরায়েলি হামলার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে: কাতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প
হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউক্লিয়ার ভয়ের নাটক? ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রকৃত কারণ ফাঁস
নিউক্লিয়ার ভয়ের নাটক? ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রকৃত কারণ ফাঁস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েলের দাবি সত্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন
ইরানের পরমাণু অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েলের দাবি সত্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ‘ঘি ঢাললেন’ ট্রাম্প : চীন
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ‘ঘি ঢাললেন’ ট্রাম্প : চীন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্রদূতের রহস্যময় বার্তা: ইরানে কি পরমাণু বোমা ফেলতে যাচ্ছেন ট্রাম্প?
রাষ্ট্রদূতের রহস্যময় বার্তা: ইরানে কি পরমাণু বোমা ফেলতে যাচ্ছেন ট্রাম্প?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে যা বললেন ম্যাক্রোঁ
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে যা বললেন ম্যাক্রোঁ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের গোপন স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের
ইসরায়েলের গোপন স্থাপনায় রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা
ইরান নিয়ে ট্রাম্পের সামনে যে তিনটি পথ খোলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: কীভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র?
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: কীভাবে কাজ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল যুদ্ধক্ষেত্র প্রসারিত করছে: জর্ডানের বাদশাহ
ইসরায়েল যুদ্ধক্ষেত্র প্রসারিত করছে: জর্ডানের বাদশাহ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’, ট্রাম্পের নতুন পোস্ট
‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’, ট্রাম্পের নতুন পোস্ট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় তেহরান ফাঁকা, বাঙ্কারে ইসরায়েল
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় তেহরান ফাঁকা, বাঙ্কারে ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে গুড়িয়ে গেছে ইসরায়েলের ‘মস্তিষ্ক’ খ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে গুড়িয়ে গেছে ইসরায়েলের ‘মস্তিষ্ক’ খ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এনিসিপি নেতা সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস
ফের লঘুচাপ: আসছে টানা বৃষ্টি, ১০ জেলায় ঝড়ের আভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘সংসদে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের’
‌‘সংসদে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইলের বহর ছুড়েছে ইরান
আবারও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইলের বহর ছুড়েছে ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনির পরিণতি সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
খামেনির পরিণতি সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালীর কাছে দুই ট্যাংকারের সংঘর্ষ, আগুন
হরমুজ প্রণালীর কাছে দুই ট্যাংকারের সংঘর্ষ, আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোসাদের পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলা চালানোর দাবি আইআরজিসি’র
মোসাদের পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলা চালানোর দাবি আইআরজিসি’র

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
খামেনির ঘনিষ্ঠ ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুশের মতো ভুল করছেন ট্রাম্প: সিএআইআর
বুশের মতো ভুল করছেন ট্রাম্প: সিএআইআর

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যুদ্ধ শুরু’, বললেন খামেনি
‘যুদ্ধ শুরু’, বললেন খামেনি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে ইসরায়েলের হামলা ‘অবৈধ’, রাশিয়ার বিবৃতি
ইরানে ইসরায়েলের হামলা ‘অবৈধ’, রাশিয়ার বিবৃতি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ‘পরমাণু সমৃদ্ধি’ বিনাশে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, ইঙ্গিত ভান্সের
ইরানের ‘পরমাণু সমৃদ্ধি’ বিনাশে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, ইঙ্গিত ভান্সের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়া দায়িত্ব নেবেন না ইশরাক
আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়া দায়িত্ব নেবেন না ইশরাক

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
সরাসরি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র!
সরাসরি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র!

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রতীকী বয়কট জামায়াতের
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রতীকী বয়কট জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

বেকারত্বে বন্দি তরুণ প্রজন্ম
বেকারত্বে বন্দি তরুণ প্রজন্ম

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শিক্ষার সর্বনাশ অটোপাস ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
শিক্ষার সর্বনাশ অটোপাস ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিড়ালের খোঁজে থানায় জিডি মাইকিং পোস্টার
বিড়ালের খোঁজে থানায় জিডি মাইকিং পোস্টার

পেছনের পৃষ্ঠা

ড্রিমলাইনারে বাড়তি সতর্কতা বাংলাদেশ বিমানে
ড্রিমলাইনারে বাড়তি সতর্কতা বাংলাদেশ বিমানে

পেছনের পৃষ্ঠা

চোখ রাঙাচ্ছে সিলেটে, ডেডিকেটেড হাসপাতাল
চোখ রাঙাচ্ছে সিলেটে, ডেডিকেটেড হাসপাতাল

পেছনের পৃষ্ঠা

স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন, উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন, উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাঁড়িভাঙায় মাতছে রংপুর
হাঁড়িভাঙায় মাতছে রংপুর

পেছনের পৃষ্ঠা

বর্ষার শুরুতেই পানিতে ডুবুডুবু খুলনা
বর্ষার শুরুতেই পানিতে ডুবুডুবু খুলনা

নগর জীবন

সোনার লড়াইয়ে আবদুর রহমান
সোনার লড়াইয়ে আবদুর রহমান

মাঠে ময়দানে

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি মুমিনুলের
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি মুমিনুলের

মাঠে ময়দানে

কাদেরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আনিসুল ও হাওলাদারের
কাদেরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আনিসুল ও হাওলাদারের

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ শতাংশ পথশিশু সরকারের কোনো সুবিধা পাচ্ছে না
৯৪ শতাংশ পথশিশু সরকারের কোনো সুবিধা পাচ্ছে না

পেছনের পৃষ্ঠা

লেডি ডন কৃতি স্যানন
লেডি ডন কৃতি স্যানন

শোবিজ

দুর্লভ কেলি কদমের ফুল ফুটলেও ফল ও চারা হয় না
দুর্লভ কেলি কদমের ফুল ফুটলেও ফল ও চারা হয় না

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার কারসাজি করে ২৫৭ কোটি টাকা লোপাট
শেয়ারবাজার কারসাজি করে ২৫৭ কোটি টাকা লোপাট

পেছনের পৃষ্ঠা

শেষবার সাদা পোশাকে ম্যাথিউস
শেষবার সাদা পোশাকে ম্যাথিউস

মাঠে ময়দানে

নাজমুল মুশফিকের রাজকীয় ব্যাটিং
নাজমুল মুশফিকের রাজকীয় ব্যাটিং

মাঠে ময়দানে

জনকল্যাণে নিবেদিত তারকারা
জনকল্যাণে নিবেদিত তারকারা

শোবিজ

কলকাতায় শুটিংয়ে জয়া
কলকাতায় শুটিংয়ে জয়া

শোবিজ

কী নিয়ে ব্যস্ত মিম
কী নিয়ে ব্যস্ত মিম

শোবিজ

ইউরোপ-লাতিন লড়াইয়ে ডি মারিয়া আলো
ইউরোপ-লাতিন লড়াইয়ে ডি মারিয়া আলো

মাঠে ময়দানে

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ : কোন পক্ষে আমরা
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ : কোন পক্ষে আমরা

সম্পাদকীয়

সংলাপে যেসব বিষয়ে ঐক্য হলো দলগুলোর
সংলাপে যেসব বিষয়ে ঐক্য হলো দলগুলোর

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানে ২ হাজার বাংলাদেশি, ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ
ইরানে ২ হাজার বাংলাদেশি, ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

জুবাইদার জন্মদিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
জুবাইদার জন্মদিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুল-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বস্তির দিন
নাজমুল-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বস্তির দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা