শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

গল্প

আজমীর সাহেবের অবকাশযাপন

নিলয় মাহমুদুল
প্রিন্ট ভার্সন
আজমীর সাহেবের অবকাশযাপন

আজমীর সাহেব অফিস থেকে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছেন। এ কয়দিন অফিসে বেশ ঝামেলা গেছে তার ওপর দিয়ে। কদিন রেস্ট নেওয়া দরকার। কিন্তু কোথায় যাবেন? বাড়িতে থেকে ছুটি কাটানো যাবে না। কারণ তার স্ত্রী খুব আমুদে মানুষ। এ মুহূর্তে আমুদের চাইতে একটু নিরিবিলি থাকতে বেশি ইচ্ছে করছে আজমীর সাহেবের। আজমীর সাহেবের স্ত্রী যদি কোনোভাবে জানতে পারে সে এক সপ্তাহের ছুটি নিয়েছে, অমনি গো ধরবে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে। তাও আবার দেশে না, বিদেশে।

স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়াই যায়। এতে দোষের কিছু নেই। তবে স্ত্রী যদি ঘুরতে এসে কোন মহিলা কী পরল, কাকে কেমন দেখাচ্ছে, কার জামা-কাপড়ের কত দাম হতে পারে- এসব নিয়ে পড়ে থাকে সেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কোনো মানে হয়? গত বছর তারা দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিল। সঙ্গে তার স্ত্রীর বড় বোনও ছিল। দুই বোন একসঙ্গে হলে, পারলে একেকজনকে ডেকে ডেকে বলে, ‘আপা দেখ বুড়িটাকে কেমন লাগছে। ইচ্ছে করছে ডেকে বলি, আপনাকে এই পোশাকে খুবই বাজে লাগছে।’ শুধু ভদ্রতার খাতিরে বলতে পারে না। দুই বোন তখন নিজেরা নিজেরা হাসতে হাসতে শেষ। অথচ দুই বোনেরই বয়স এখন ঢালের দিকে। শরীরে মেদ জমেছে। শাড়ি ছাড়া তাদের অন্য কিছুতে মানায় না। ভারী মেকআপে খুবই অস্বস্তিকর দেখায়। তাও তাদের রূপচর্চায় কোনো কমতি থাকে না। তাদের ঘোরাফেরা শুধু কাপড় আর কসমেটিকসের দোকান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। শেষে দেখা যায়, দুজনের কেনাকাটার ব্যাগ বইতে বইতে আজমীর সাহেবের জীবন যায়। তখন একটা ভিন্ন দেশ দেখার যে আগ্রহ নিয়ে আস্বাদ, তা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। এমনিতেই এক মহিলার যন্ত্রণায় অস্থির, তার ওপর আরেকজন। কোনো এক অদ্ভুত কারণে স্ত্রীর ছোট বোনের প্রতি পুরুষদের যে মায়া কাজ করে, বড় বোনদের প্রতি করে, তার উল্টোটা।

আজমীর সাহেব ঠিক করলেন এবারের ছুটিটা তিনি গ্রামে গিয়ে কাটাবেন। তার এক বন্ধু থাকেন গ্রামে। তার নাম ওয়াহিদুর রহমান। বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত লেখক। শহরে অভিজাত এলাকাতে নিজের কেনা ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও বছরের বেশির ভাগ সময় গ্রামেই থাকেন। তিনি বিয়ে করেননি। তবে প্রেম করেছেন প্রচুর। এ নিয়ে বাজারে অনেক চটকদার খবর চালু আছে। বছরখানেক হয় নতুন জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। সেখানে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে একটা চিঠিও দিয়েছিলেন।

বন্ধু,

ভালো আছ নিশ্চয়ই। তোমার ৮টা-৫টার জীবন কেমন চলছে? সম্প্রতি একটা নতুন বাড়ি করলাম। একদম নিটল, শান্ত পরিবেশ। দোতলা টিনের ঘর। লাগোয়া বিশাল বারান্দা। বর্ষাকালে বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখি। কী যে এক অনাবিল শান্তি। না দেখলে বুঝবে না। বাড়ির দক্ষিণ পাশে বিশাল একটা পুকুর কাটিয়েছি। স্বচ্ছ টলটলা পানি। চৈত্রের তপ্ত দুপুরে গাছের ছায়ায় পুকুর পাড়ে যখন বসি, মনটা এত শীতল হয় যে, মনে হয় মায়ের কোলে আছি। একটা বজরার মতো নৌকা বানিয়েছি। জ্যোৎস্না রাতে সেই নৌকায় একা একা ভেসে বেড়াই। এখানে একটা ছেলে আছে। ওর নাম সুমন। চমৎকার গান করে। মাঝে মাঝে ওকে ডেকে নিয়ে গান শুনি। তখন তারাশঙ্কর সাহেবের একটা কথা খুব মনে পড়ে- জীবন এত ছোট কেন?

ঘড়ির কাঁটা হিসাব করে চলা মানুষ তোমরা। একদিন বেহিসাবি হওয়ার আমন্ত্রণ রইল।

আজমীর সাহেব বাড়িতে বললেন, অফিসের কাজে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যেতে হবে।

শুনে স্ত্রী বললেন, কবে ফিরবে?

সপ্তাহখানেক।

এক সপ্তাহ?

হ্যাঁ। কেন?

বড় আপা বলছিল তিন-চার দিনের জন্য নেপাল যাবে। দুলাভাইও যাচ্ছে সঙ্গে। আপার নামে নতুন কী এক ব্যবসা নাকি দেবে। তাই দেখতে যাচ্ছে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যাব কি না। তখন না করেছিলাম। এখন যেহেতু তুমি বাসায় থাকছ না, তাহলে আমিও যাই সঙ্গে? তুমি কী বল?

আদিল, রিপা ওরা বাসায় একা থাকবে?

একা কোথায়? মফিজ ভাই, ছনিয়ার মা, আলাউদ্দিন ওরা তো আছেই। তাছাড়া ওরা এখন যথেষ্ট ম্যাচিউরড।

যাও যেখানে খুশি।

এমনভাবে বলছ যেন আমি তোমার গলার কাঁটা হয়ে আছি।

আমি সেটা বলিনি। বলতে চেয়েছি আরও কোথাও যেতে চাইলে যেতে পার।

আরও কোথাও কীভাবে যাব? এত টাকা আছে আমার কাছে?

টাকা নেই মানে? গত সপ্তায় না এক লাখ টাকা নিলে?

তোমাকে বলিনি, কেনাকাটা করেছি?

আজমীর সাহেব বুঝতে পারেন না একটা মহিলা এত খরুচে স্বভাবের হয় কীভাবে? ছেলেমেয়েগুলোও দিনদিন মায়ের মতো হচ্ছে। এক অজানা কারণে মা আর ছেলেমেয়েদের কাউকে তিনি কিছু বলতে পারেন না। নিজের স্ত্রীর ওপর যতই বিরক্ত হন না কেন, মাঝে মাঝে প্রবল মায়া আর ভালোবাসায় কেমন যেন আটকে যান।

আজমীর সাহেব গাড়ি নিয়ে বের হলেন বিকাল বেলা। প্রথমে ভেবেছিলেন গাড়ি ছাড়াই বের হবেন। পরে ভাবলেন, নতুন অপরিচিত জায়গা, শেষে রাস্তা হারিয়ে ফেললে বিপদ হবে। তাই গাড়ি নিয়েই বের হলেন। আজমীর সাহেবের ড্রাইভারের নাম রমজান। প্রায় সাত বছর হয় আজমীর সাহেবের গাড়ি চালাচ্ছে সে।  অনেকটা পরিবারের সদস্যের মতোই হয়ে গেছে।

পোস্তগোলা ব্রিজ পার হওয়ার পর হাসনাবাদ স্ট্যান্ড। বসুন্ধরা রিভারভিউ রোড ধরে পানগাঁওয়ের কাছাকাছি আসতেই আজমীর সাহেব গাড়ির গ্লাস নামিয়ে ফেললেন। সবকিছু ছবির মতো সুন্দর লাগছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ। মাঝে মাঝে কিছু বাড়ি, পরপর ছোট ছোট জলাশয়। তীব্র বেগে হাওয়া গা ছুয়ে যাচ্ছে। নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছে। ইচ্ছে হচ্ছে পাখির মতো উড়ে যেতে। চলতি পথে সাধারণত তিনি গ্লাস নামান না। ঢাকা শহরে যেই জ্যাম। তার ওপর কোথাও থামলেই ভিক্ষুকদের উৎপাত।

স্যার একটা কথা বলমু? বাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর এই প্রথম রমজান কিছু বলল।

বল।

অনেক দিন ধইরাই ভাবতাছিলাম বলমু, সুযোগ হইতাছিল না।

এত ভনিতা করার কী আছে? তুমি তো আমার সঙ্গেই থাক। চাইলে যে কোনো সময়ই তো বলতে পার।

তারপরেও স্যার, সব কথা সব সময় বলা যায় না।

আচ্ছা বলো দেখি তোমার কী এমন কথা।

কথাটা আসলে ছোট সাহেবরে নিয়া।

আদিলকে নিয়ে আবার কী কথা?

আমার মনে হয় ছোট সাহেব খারাপ ছেলেপেলের পাল্লায় পড়ছে।

মানে? বুঝলাম না ঠিক।

লজ্জার কথা কী বলব স্যার, সেদিন তারে আমি গাঁজা খাইতে দেখছি। এর আগেই আমার একবার সন্দেহ হইছিল, তাই খোঁজখবর নেওয়ার জন্য নজর রাখছিলাম। একদিন দেখি এক মাইয়া মাইনষের কাছ থেইকা নেশাপানি কিনতাছে।

আজমীর সাহেব কী প্রতিক্রিয়া দেখাবেন বুঝতে পারছেন না। চুপ করে রইলেন।

আমারে ক্ষমা করবেন স্যার। অন্য কোনো বিষয় হইলে বলতাম না। আদিল বাবাজিকে আমি সন্তানের মতো দেখি। চোখের সামনে ছেলেটা নষ্ট হইয়া যাইব, এইটা মানা স্যার আমার পক্ষে সম্ভব না।

না না তুমি কেন ক্ষমা চাইছ? বরং ভালোই করেছ। ঠিক আছে আমি           দেখছি।

এতক্ষণ যেই ফুরফুরে আমেজে তিনি ছিলেন তার সবটাই এখন নষ্ট হয়ে গেছে। ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়ের কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেননি আজমীর সাহেব। যখন যা চেয়েছে একবাক্যে দিয়েছেন। আজকের এই দিনটির জন্য? আজমীর সাহেব মনে মনে ভাবলেন- আজ আমার ড্রাইভার বলছে আমার ছেলে নেশা করে! মেয়েটার চলাফেরাও দিনদিন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরে। রোকসানাকে কয়েকবার বলেওছিলেন। সে বলে, মেয়ে বড় হয়েছে, কলেজে পড়ে, এখন একটু ঘোরাফেরা করবে না তো কবে করবে? কিন্তু ছেলেটা? শান্তশিষ্ট এ ছেলেটা তলে তলে এসব করে বেড়ায়? কলেজ শেষ করে সবে ইউনিভার্সিটিতে উঠেছে। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আর সে কি না এভাবে সব নষ্ট করছে? কোনো দিন ছেলেমেয়েকে একটা ধমকও দেননি আজমীর সাহেব। আজ তারাই কি না কলিজায় দাগ কেটে যাচ্ছে?

ব্রাহ্মণগাঁওয়ের কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ গাড়িটা বন্ধ হয়ে গেল। সন্ধ্যা হবে হবে। ফাঁকা রাস্তা, আশপাশে কয়েকটা ইটের ভাটা, অফ সিজন হওয়ায় সেখানেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

কী হলো রমজান?

সেইটাই তো বুঝতাছি না স্যার।

রমজান পরপর কয়েকবার গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো।

বের হওয়ার আগে গাড়ি চেক করনি?

সবই তো ঠিক ছিল, হঠাৎ কি হইল বুঝতাছি না।

এখান থেকে আর কতদূর বলতে পার?

এক কিলোর মতো হইব।

আজমীর সাহেব গাড়ি থেকে নেমে একটা সিগারেট ধরালেন। পরিবেশটা মন্দ না। মৃদু বাতাস বইছে, চারদিক থেকে ঝিঁঝি পোকার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। দূরে আকাশের তারার মতো মিটমিট করে কিছু আলো জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।

আজমীর সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, ওটা কি কোনো বাজার নাকি?

রমজান বলল, বাজারের মতোই। কয়েকটা দোকানপাট আছে। জাজিরা বোটঘাট এটা।

তুমি এখানে এত কিছু চেন কীভাবে?

আগে যখন ভাড়া গাড়ি চালাইতাম বিদেশি যাত্রী নিয়া মাঝে মাঝে আসা হইত।

চলো তাহলে সামনে যাই। দেখি কোনো মেকানিক পাওয়া যায় কি না!

এইখানে কোনো মেকানিক পাওয়া যাইব বইলা মনে হয় না। হয় ফতুল্লা ঘাটে যাইতে হইব, না হয় হাসনাবাদ।

গিয়ে দেখি কোনো ব্যবস্থা হয় কি না। না হলে কাল সকালে দেখা যাবে।

এমন সুনসান জায়গায় গাড়িটা রাইখা যাওয়া কি ঠিক হইব স্যার?

এ ছাড়া উপায় কী?

আমি না হয় স্যার সামনে থেইকা আপনারে একটা রিকশা কইরা দেই, আপনে চইলা যান। আমি গাড়ি ঠিক করায়া নিয়া আসতাছি।

অল্প কিছু দূর পরেই একটা ছোট ব্রিজ। ব্রিজের এক কোনায়, নিচে কে একজন জবুথবু হয়ে বসে আছে। কৌতূহলবশত আজমীর সাহেব উঁকি দিলেন। লোকটার মাথা নিম্নমুখী। কারও উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। লোকটির চোখেমুখে ভয় ধরানো একটা ব্যাপার আছে। রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। রমজান ভয় পেয়ে বলল, চলেন স্যার।

আজমীর সাহেব লোকটিকে পা থেকে মাথা অবধি এক নজর দেখলেন। এই গরমেও লোকটা চাদর গায়ে দিয়ে আছে। চাদরের ভিতরে কিছু পরে আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। নিম্নাংশে ধুতি পরিহিত। হাতে লাঠি।

রমজান আবারও বলল, পাগল মনে হইতাছে। এদের কাছে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হইব না। চলেন স্যার।

আজমীর সাহেব চোখে মুখে আগের মতোই কৌতূহল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সেই রহস্যময় লোকটি হাসি হাসি মুখ করে বলল, এ দুনিয়ায় ভালা মানুষ কেডা? কেউ ট্যাকার পাগল, কেউ মাইয়া মাইনষের পাগল, কেউ আবার সরাবের পাগল। কিছু কিছু পাগল আছে সত্যরে মিথ্যা আর মিথ্যারে সত্য জ্ঞান করে।

আজমীর সাহেব অথবা রমজান, তদের কেউ লোকটির কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারল না।

লোকটা এবার বিরক্তির ছাপ মুখে নিয়ে বলল, যাহ, আমারে ত্যক্ত করিছ না। অগো লগে আমার কথা আছে।

লোকটি আগের মতোই তার স্থানে বসে পড়ল।

লেখক সাহেবের বাড়ি পৌঁছাতে রাত ৮টা বেজে গেল। আজমীর সাহেব এসেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাতে। রমজান গেছে মেকানিকের সন্ধানে।

নৈশভোজ শেষে দুই বন্ধু বসেছে পুকুর ঘাটে। আজমীর সাহেবের দৃষ্টিনিবদ্ধ হয়ে আছে পুকুরের যেখানটায় চাঁদের আলো এসে পড়েছে সেখানটায়। লেখক সাহেব এক খিলি পান মুখে দিলেন। মুখের ভিতর পিষতে থাকা পানের শব্দে আজমীর সাহেব ফিরে তাকালেন।

তুমি আবার পান খাও কবে থেকে?

লেখক মৃদু হেসে বললেন, সব সময় খাই না। মাঝে মধ্যে। দেব নাকি তোমাকে একটা বানিয়ে?

না, না তুমিই খাও। পান মুখে দিয়ে জাবর কাটতে আমার অসহ্য লাগে।

ঠিক আছে তোমার খেতে হবে না।

কিছুক্ষণের নীরবতা শেষে আজমীর সাহেব বললেন, অনেক দিন পর ঝিঁঝি পোকার ডাক শুনছি। রাস্তা দিয়ে আসার সময়ও শুনতে পেয়েছিলাম। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

তুমি এসবও ভাবো?

শহরের অভ্যস্ত ব্যস্ত জীবনে এসব নিয়ে ভাববার সময় কই?

তা অবশ্য ঠিক। আর সে জন্যই তো এখানে গর্ত খুঁড়লাম। সম্পূর্ণ গর্তজীবী হবো বলে।

তুমি খুব ভালো আছ ভাই।

কেন, তুমি নেই?

ঠিক বুঝতে পারি না।

এই কথা শুনে লেখক সাহেব উচ্চৈঃস্বরে হাসতে লাগলেন। এই হাসির অর্থ বুঝতে পারলেন না আজমীর সাহেব। কেন যেন জিজ্ঞেসও করতে ইচ্ছে করছে না।

প্রসঙ্গ পাল্টে জিজ্ঞেস করলেন, আসার সময় একজন পাগলের সঙ্গে দেখা হলো। কেমন উদ্ভট লাগল।

এটা কেমন কথা বন্ধু? পাগলেরা উদ্ভট হবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

সেই স্বাভাবিকের মধ্যেও কেমন যেন একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ছিল।

তুমি হয়তো আমীর সাহেবের কথা বলছ।

‘সাহেব’ বলছ যে।

হুম তিনি শিক্ষক ছিলেন। দশ বছর আগে এক দুর্ঘটনার পর থেকে তার এই অবস্থা।

কেমন দুর্ঘটনা?

আজমীর সাহেব স্থানীয় এক প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন। একটা মাত্রই ছেলে ছিল তার। অনেক কষ্টে ছেলেকে ডাক্তার বানিয়েছেন। ছেলে নিজের পছন্দে তারই এক সহপাঠীকে বিয়ে করে। এতে তাদের কোনো আপত্তি ছিল না অবশ্য। ছেলে বউ নিয়ে ঢাকাতেই থাকত। দুজন প্রাক্টিসও করত একই হাসপাতালে। বিয়ের প্রথম বছরেই খুশির সংবাদ পায় সবাই। সেই আনন্দ উদযাপনে স্ত্রীকে নিয়ে একদিন এক রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। তুমি জানো নিশ্চয়ই গুলশানের বহুতল ভবনের সেই অগ্নিকান্ডের কথা। সেই দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আজমীর সাহেবের স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা যান। তারপর থেকে তিনিও এলোমেলো হয়ে গেলেন।

আজমীর সাহেব পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে কথাগুলো শুনছিলেন। তার চোখের পানি জোছনার আলোয় চিকচিক করছে। লেখক সাহেব খেয়াল করেও কিছু বললেন না।

আজমীর সাহেবের খুব বলতে ইচ্ছে করছে- বন্ধু জানো, সেই ভবনের অনুমোদন আমি দিয়েছিলাম। ছয়তলার অনুমতি নিয়ে বারোতলা ভবন করা হয়েছে জেনেও আমি কোনো পদক্ষেপ নিইনি। করপোরেট ভবনের অনুমতি নেওয়া হলেও ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্টুরেন্ট হয়েছে, তাও চুপ থেকেছি। সামান্য কিছু টাকার জন্য। অগ্নিকান্ড ঘটার পর আমার নামে কেস হয়। এত বছর পর গতকাল সেই কেসের নিষ্পত্তি করে তোমার এখানে এসেছি।

কী ভাবছ এমন আনমনে? লেখক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন।

কিছু না।

সুমনকে ডেকে পাঠিয়েছি। হয়তো এসে পড়বে এখনই। ওর গান শুনলে ভালো লাগবে। কোনো কিছু নিয়ে এত ভেব না। যদি ভাবতেই হয় সময়মতো ভাববে। তাহলে হয়তো পরবর্তীতে আর কষ্ট পেতে হবে না। জানতো মানুষের ভাগ্য তার কর্মে।

সুমন এসে গান ধরে-

আমি অপার হয়ে বসে আছি

ও হে দয়াময়

পারে লইয়ে যাও আমায়...

ভরা যৌবনের মতো পূর্ণিমার আলোয় ভেসে যায় গান, সঙ্গে কতিপয় প্রাণ।

 

লেখা পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
নতজানু পায়রা
নতজানু পায়রা
যদি আবার
যদি আবার
পাঁজরের আধখানা হাড়
পাঁজরের আধখানা হাড়
মেঘমালা
মেঘমালা
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
হেঁটে চলি আগুনের দিকে
হেঁটে চলি আগুনের দিকে
কবিতার মতো তিনটি লাল গোলাপ
কবিতার মতো তিনটি লাল গোলাপ
বাংলা উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনার পথিকৃৎ
বাংলা উপন্যাস, প্রবন্ধ ও সমালোচনার পথিকৃৎ
লেখা পাঠানো ঠিকানা
লেখা পাঠানো ঠিকানা
জীবন
জীবন
দূরত্বের নাম সুখ
দূরত্বের নাম সুখ
সর্বশেষ খবর
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

যারা সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করে তারা খোদার প্রিয় বন্ধু
যারা সৎপথে জীবিকা নির্বাহ করে তারা খোদার প্রিয় বন্ধু

২১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই
পদত্যাগ করলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে যে বার্তা নাহিদের
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ নিয়ে যে বার্তা নাহিদের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী মারা গেছেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটকে মুখর সিলেট
পর্যটকে মুখর সিলেট

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'
'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'

৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম
মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির
শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব
অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই : গয়েশ্বর
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই : গয়েশ্বর

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু
শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শপথ নিতে হবে : প্রিন্স
মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শপথ নিতে হবে : প্রিন্স

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা
ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা

১১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা
শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেসলার সিইও হিসেবে ইলন মাস্ককে পরিবর্তনের খবর মিথ্যা
টেসলার সিইও হিসেবে ইলন মাস্ককে পরিবর্তনের খবর মিথ্যা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন
নোয়াখালীতে শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নয়াপল্টনে মে দিবসের সমাবেশে বিএনপির শোডাউন
নয়াপল্টনে মে দিবসের সমাবেশে বিএনপির শোডাউন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত
জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি
ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া
উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা
গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান
করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে
ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’
ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল
সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন
ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে
পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ
যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন
শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত
জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়
দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি
টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ
৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার
পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান
বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট
হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির
অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক