শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সাহিত্যের রাষ্ট্রবিরোধিতা

কবিতা না-লিখলেও প্লেটো যে একজন কবি ছিলেন তা তাঁর গদ্য রচনার পরতে পরতে প্রমাণিত। উপমায়, রূপকে, শব্দচয়নে ওই দার্শনিক তাঁর অন্তর্গত কবির কল্পনা ও সৌন্দর্যবুদ্ধি উভয়কেই ব্যবহার করে গেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে কবিতার গুণ ও আবেদন তিনি যে জানতেন তাতেও সন্দেহ করার অবকাশ নেই। কিন্তু তিনি তাঁর আদর্শ রাষ্ট্রে কবিদের জন্য কোনো জায়গা রাখেননি। জায়গা রাখবেন কি, নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরও বের করে দেওয়ার জন্য। কবিদের সম্মান দেওয়া হবে, মালা ও সুগন্ধি দিয়ে তাদের সজ্জিত করা যাবে, কিন্তু তাদের সবিনয়ে বলতে হবে : মহাশয়বৃন্দ, আপনাদের জন্য আমাদের রাষ্ট্রে কোনো স্থান নেই।

কেন নেই? অভিযোগটা আপাতত এটা, তারা মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু তার গভীরে আরও একটা ব্যাপার রয়েছে। সেটা এই যে, কবিরা রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বিপন্ন করে। প্লেটোর ‘সাম্যবাদ’ ফ্যাসিস্ট ধরনের; অর্থাৎ শ্রেণিবিভাজনকে মেনে নিয়ে, তবেই সবাই সমান, বিভাজনের ভিতরে সমান, ভেঙে দিয়ে নয়। সে রাষ্ট্রে দার্শনিকরা শাসন করবে, সৈনিকরা করবে যুদ্ধ, শ্রমিকরা করবে উৎপাদন। এই বিভাজন কিছুতেই ভাঙা যাবে না। কাব্য তথা সাহিত্য যে গ্রহণযোগ্য নয় তার মূল কারণটা নিহিত রয়েছে না-ভাঙার এই রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারেই।

সাহিত্য কী করে? সাহিত্য মানুষের আবেগ জাগিয়ে দেয়। মানুষকে সংবেদনশীল করে, যার ফলে মানুষ বিভাজন ডিঙিয়ে যেতে চায়। দার্শনিক হয়তো শ্রমিকের দুঃখ দেখে কাতর হবে, শ্রমিক হয়তো চাইবে সে শাসক হবে, সৈনিক হয়তো ওপরে যেতে চাইবে, কিংবা নিচে; তখন রাষ্ট্র ভেঙে পড়বে। তখন ‘ন্যায়’ বলে কিছু থাকবে না, অন্যায়ে ছেয়ে যাবে সমস্ত কিছু। প্লেটোর সে রাষ্ট্রের প্রধান কথা হলো নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখা, সেখানে তাই সাহিত্যের স্থান নেই। প্লেটোর রাষ্ট্রের জন্য সাহিত্য বিপজ্জনক, যেমন তা বিপজ্জনক ছিল হিটলারের রাষ্ট্রের জন্য।

রাষ্ট্রের অনেক কিছুই থাকে। সিপাহি, সান্ত্রী, আইন, আদালত- সবকিছুই আছে তার। বিবেক নেই? হ্যাঁ, বিবেকও আছে বৈকি। সেই বিবেক হচ্ছে শাসক শ্রেণির স্বার্থ। ‘ন্যায়’ ও তাই, শাসক শ্রেণির স্বার্থ। ওদিকে সাহিত্যের কাজটাই হলো মানুষের ভিতর যে বিবেকবান, অর্থাৎ সংবেদনশীল মানুষটি থাকে তাকে জাগিয়ে রাখা, তাকে সতেজ করা। সাহিত্য তাই শ্রেণিবিরোধী এবং সে কারণে রাষ্ট্রবিরোধী।

প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যে এন্টিগনির যে গল্পটি আছে সেটি একটি বিদ্রোহের কাহিনি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যক্তির বিদ্রোহ। শাসনের বিরুদ্ধে বিবেকের অভ্যুত্থান। এন্টিগনি বলেছে, তার মৃত ভ্রাতাকে সে কবর দেবে। দেবেই দেবে। কেননা এটি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাষ্ট্র বলছে দেওয়া যাবে না, কেননা লোকটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহী। এই বিশেষ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের মুখপাত্রটি অন্য কেউ নয়, তিনি হচ্ছেন এন্টিগনিরই আপন মামা, ক্রিয়ন। কিন্তু এখানে আত্মীয়তা কাজে দেয় না। রাজা বন্দি রাষ্ট্রীয় স্বার্থের শৃঙ্খলে। এন্টিগনি এগিয়ে গেল, ভাইকে কবর দিতে, ক্রিয়ন বিদ্রোহী এন্টিগনিকে আটক করে কবর দিয়ে দিল, জ্যান্ত। ক্রিয়নের পুত্র তার প্রেমিকা এন্টিগনির কবরে গিয়ে মারা গেল কাঁদতে কাঁদতে। কিন্তু ক্রিয়নের কিছু করার ছিল না। রাজা হয়ে তিনি বন্দি। ব্যক্তি যখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় রাজা তখন রাষ্ট্রের পক্ষে এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে, অতি অবশ্যই; নইলে তিনি রাজা কেন।

এন্টিগনির মতো যাঁরা বিবেকবান মানুষ রাষ্ট্র তাঁদের ভয় করে। আর সাহিত্যের কাজই হচ্ছে সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে মানুষকে বিবেকবানে পরিণত করা। সাহিত্য আনন্দ দেয় এ আমরা জানি; সাহিত্য শিক্ষা দেয় এ-ও আমরা মানি; কিন্তু তবু সাহিত্য বিনোদনের অনুষ্ঠান নয়। যেমন নয় সে পণ্ডিতের পাঠশালা: সাহিত্যে ওই দুইয়েরই ভূমিকা থাকে, কেননা এরা উভয়েই সাহিত্যের মূল কর্তব্যের অংশ, যেটি হলো মানুষের হৃদয়কে সংবেদনশীল করা। সাহিত্যের শিক্ষা মস্তিষ্কের নয়, হৃদয়ের। হৃদয়বান মানুষেরাই বিবেকবান, যে জন্য হৃদয়কে রাষ্ট্রের বড়ো ভয়।

রাজনৈতিকভাবে শেকস্পিয়র ছিলেন রক্ষণশীল। তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু বড়ো শিল্পী ছিলেন বলেই শেকস্পিয়র বারবার তাঁর নাটকে দেখিয়েছেন রাষ্ট্র কী করে ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত করে। রাজপুত্র হ্যামলেট একা লড়ছেন রাজার বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজা একা নয়, রাষ্ট্র আছে তার আজ্ঞাবহ রূপে দাঁড়িয়ে। হ্যামলেট দেখছেন একজন দুর্বৃত্ত যেহেতু বসে আছে সিংহাসনে, তাই সবকিছুই রওনা হয়েছে নষ্টের অভিমুখে। রাষ্ট্র বড়োই কঠিন প্রাণী।

টলস্টয় শেকস্পিয়রকে পছন্দ করতেন না। মনে করতেন শেকস্পিয়র রাজা-বাদশাদেরই গ্রহণ করেছেন পাত্র-পাত্রী হিসেবে, জনগণকে বিশেষ মর্যাদা দেননি। হ্যাঁ, শেকস্পিয়রের দেশপ্রেমও ছিল সংকীর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন তো চরিত্রের অবস্থান নয়, প্রশ্ন হচ্ছে চরিত্রের মানবিক পরিচয়। পোশাক কিংবা সামাজিক পরিচয় যাই হোক, শেকস্পিয়র দেখছেন, অন্তর্গত মানুষটিকে। সেই মানুষটি রাজা নন, রাজপুত্র নন, শুধুই একজন মানুষ। বিবেকবান রাজপুত্র হ্যামলেটের রাষ্ট্রও মিত্র নয়, শত্রু বটে। রাষ্ট্র তাকে হত্যা করার প্রচেষ্টার কোনো অবধি রাখে না।

সাহিত্য দেশ মানে না। কাল মানে না। রাষ্ট্র মানে না। শুধু মানে না বললে যথেষ্ট বলা হবে না, সাহিত্য ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্বটাকে তুলে ধরে। সাহিত্য স্থান ও কালবিরোধী যতটা নয়, রাষ্ট্রবিরোধী সে-তুলনায় অনেক বেশি।

টলস্টয়ের নিজের লেখাতেও রাষ্ট্রবিরোধিতা অত্যন্ত স্পষ্ট। স্বভাবতই। সেই অতিবৃহৎ উপন্যাস ‘যুদ্ধ ও শান্তি’তে টলস্টয় দেখাচ্ছেন যুদ্ধ ব্যাপারটা রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রেরই সংঘর্ষ আসলে, কিন্তু দুর্ভোগটা সাধারণ মানুষেরই। আর রাষ্ট্রনায়করাও সাধারণ মানুষই শেষ পর্যন্ত। যদিও তারা ভান করতে ভালোবাসে অসাধারণত্বের।

‘আন্না কারেনিনা’র নায়ক-নায়িকারা অধিকাংশই রাষ্ট্রের সেবক। আন্নার স্বামী মস্ত বড়ো আমলা, তার প্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসার। আন্নার ভাইও বড়ো সরকারি কর্মচারী। ওই সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ভিতরেই আন্নার চলাফেরা, ওঠাবসা ও জীবনযাপন। অনেক দিক দিয়েই অসাধারণ এই মেয়ে; সৌন্দর্যে, ব্যক্তিত্বে, মেধায় ও আচরণে নিজের বৃত্তের সব মানুষকে ছাড়িয়ে ওঠে; বিশেষভাবে ব্যতিক্রমী হলো তার আন্তরিকতা। এই মানুষটিকে চরিতার্থতা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর স্বামীর নেই, তার প্রেমিকেরও নেই। বেচারা আন্না বেশি বয়সি স্বামীকে ছেড়ে প্রায় সমবয়সি প্রেমিকের কাছে যায়, কিন্তু চরিতার্থ না দিলো তাকে তার আমলা স্বামী, না তার সৈনিক প্রেমিক। উভয়েই সামান্য তারা, রাষ্ট্রলালিত বুর্জোয়া স্বার্থপরতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণেই, বিশেষভাবে। এ উপন্যাসে রাষ্ট্রবিরোধী রাজনৈতিক লোকেরাও রয়েছে, তারা ছায়াছায়া, খুব প্রত্যক্ষ নয়। তারা নতুন ব্যবস্থার কথা ভাবে, কমিউনিজমের কথাও। মোট বিষয়টা দাঁড়ায় এই যে, প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যর্থ হয়ে গেছে, এটা ভেঙে পড়ছে। আন্নার মতো মানুষদের পক্ষে এখানে তাই আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকছে না। টলস্টয়ের এ উপন্যাসে আসন্ন বিপ্লবের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। রেলগাড়ির নিচে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া আন্নার সুন্দর দেহটি যেন বলে দিচ্ছে, ওই রাষ্ট্র ও সমাজ মানুষের স্বপ্নগুলো ওইভাবেই কেটে টুকরো টুকরো করবে, যদি বিপরীত কিছু না ঘটে।

এক অর্থে টলস্টয় রক্ষণশীল। তিনি রক্তপাত পছন্দ করতেন না, রাষ্ট্রবিপ্লবও নয়। কিন্তু তাঁর লেখার ভিতর দিয়ে রুশ বিপ্লবকে এগিয়ে আনছিলেন তিনি বিদ্যমান রাষ্ট্রের অন্তঃসারশূন্যতা ও নিষ্ঠুরতাকে উন্মোচিত করে দিয়ে। এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। হৃদয় দিয়ে বুঝেছেন এবং অন্যের হৃদয়ে সেই বুঝটাকে সংক্রমিত করে দিয়েছেন।

‘আন্না কারেনিনা’র পরের উপন্যাস ‘পুনরুজ্জীবন’। এতে রাষ্ট্রের মুখচ্ছবি আরও প্রত্যক্ষ। কাটিউসা মাসলোভা একজন নিরপরাধ কিশোরী। সামন্ত পরিবারের যুবক নেখলিউদভ তাকে নষ্ট করল। মাসলোভার সন্তান হবে, কিন্তু সন্তানের পিতা নেখলিউদভ তখন অনেক দূরে। সে তখন সেনাবাহিনীর নবীন অফিসার। মাসলোভা কাজ করে, দেহ বিক্রি করে, জেলও খাটে। সবই বাঁচার চেষ্টায়। আসামি হয়ে আদালতে এসেছে মাসলোভা। অদৃষ্টের কী কৌতুকবোধ, সেই বিচারে জুরিদের একজন হয়ে বসে আছে নেখলিউদভ। নেখলিউদভ চিনেছে ওই মেয়েকে। তার ভিতরে পাপের বোধ জেগেছে। সে চাইল মাসলোভাকে রক্ষা করবে। কিন্তু পারল না। বিচারে জেল ও নির্বাসন হয়েছিল মাসলোভার। জেলটা মওকুফ করালো নেখলিউদভ, আমলাদের কাছে দেন-দরবার করে। কিন্তু নির্বাসন বলবৎ রইল।

মাসলোভা চলেছে সাইবেরিয়াতে। নেখলিউদভ চলেছে পিছু পিছু। তার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। সে প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। মাফ চাইবে। মাসলোভা রাজি হলে তাকে বিয়ে করবে। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটা নেখলিউদভ করতে পারলো মাসলোভার কাছে, সাইবেরিয়াতে গিয়ে। আশা করেছিল মাসলোভা কালবিলম্ব করবে না, সম্মত হতে। কিন্তু মাসলোভা ওই প্রস্তাবে সম্মত নয়। তার প্রত্যাখ্যানটা খুবই দৃঢ়। সে বললো, ‘বুঝেছি, সেবার আমার দেহটা ব্যবহার করেছ, এবার ব্যবহার করতে চাইছ আমার আত্মাটাকে। না, তা হবে না।’

আসলে মাসলোভারও পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। সেও আর আগের সেই পথহারা মেয়েটি নেই। পথের সন্ধান পেয়ে গেছে সে। সাইবেরিয়াতে তার সহবন্দিদের মধ্যে কয়েকজন ছিল রাজবন্দি। এরা অন্য ধরনের মানুষ। এরা সংযমী, মেধাবী : এরা বই পড়ে, একজনের থলের ভিতর দেখা যায় মার্কসের ‘পুঁজি’ বইটি উঁকি দিচ্ছে। এদেরই একজন হচ্ছে সাইমনসন। তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে মাসলোভার। তারা ভালোবেসে ফেলেছে পরস্পরকে। তাদের বিয়ে হবে।

নেখলিউদতরা যতই যা করুক, তারা বন্দি বটে, রাষ্ট্রের বৃত্তের ভিতর আবদ্ধ। ওই বৃত্তে কারওই মুক্তি নেই, না নেখলিউদভের, না মাসলোভার, না সাইমনসনের। বিশেষভাবে পীড়িত হবে মাসলোভারা। নেখলিউদভরা তাদের ব্যবহার করবে নিজেদের বিশেষ প্রয়োজনে। মানুষের মুক্তির জন্য নতুন ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। যে ব্যবস্থার পক্ষে সাইমনসনেরা লড়ছে। বলা বাহুল্য, ওদের মধ্যেই লেনিন ছিলেন, যার সন্ধান টলস্টয় তখনো পাননি, ‘পুনরুজ্জীবন’ উপন্যাসটি যখন তিনি লিখে শেষ করেন, ১৮৯৯-এ।

 

আমাদের এই উপমহাদেশে সাহিত্যচর্চার সঙ্গে রাষ্ট্রের একটা প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্ব ছিল। ইংরেজ আমলে যেমন, পরেও তেমনি। ইংরেজের শাসনামলে মনে হয়েছিল রাষ্ট্র বাংলা সাহিত্যকে বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। তা করেছে বটে। বাংলা গদ্যের সৃষ্টি ইংরেজ আগমনের ফল, এ কথা ইতিহাসে লেখা আছে। যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি আধুনিক বাংলা সাহিত্যকে অতটা এগিয়ে নিয়ে গেল তারাই বা কোথা থেকে আসত, ইংরেজ না এলে। ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তন না করলে, চাকরি-বাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি করে না দিলে কেইবা পড়ত বাংলা সাহিত্য। সবই সত্য।

কিন্তু বাঙালি যে ইংরেজির চর্চা না করে বাংলার চর্চা করল এটা রাষ্ট্রবিরোধিতা তো বটেই। সে মিশে গেল না। কেউ কেউ গেল, যারা ইংরেজ হতে চাইল। কিন্তু অত্যন্ত বড়ো মাপের অনেক মানুষ যে গেলেন না, তারা যে মাতৃভাষার চর্চা করলেন সেই ঘটনা বলে তো দিচ্ছে, গ্রহণের অন্তরালে সুদৃঢ় একটা বর্জন রয়ে গেছে। মাইকেল মধুসূদন চলে গিয়েছিলেন, তিনি সাহেব হয়েছেন, মেমসাহেব বিয়ে করেছেন, ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়েছিলেন, ইংরেজিতেই লিখবেন ঠিক করেছিলেন; কিন্তু ওই যে ফিরে এলেন, হলেন বাঙালি লেখক, ওইখানেই তাঁর আসল বিদ্রোহ, ইংরেজ হওয়ার বিদ্রোহের চেয়ে যা অনেক গভীর।

রাষ্ট্রভাষা ছিল ইংরেজি। বাঙালি সে ভাষার চর্চা করেছে; কিন্তু সে ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করেনি। না-করে বাংলা ভাষাকেই বরঞ্চ এগিয়ে নিয়ে গেছে। স্বাধীনতার দাবি সেই সাহিত্যে এসেছে, নানাভাবে, নানা সুরে। কিন্তু রাষ্ট্র ছিল অত্যন্ত প্রবল। তার ক্ষমতা ছিল অপরিমেয়। তার ক্ষতিকর দাপটকে যে অস্বীকার করা যাবে, তা সম্ভব ছিল না। না, সাহিত্যও পারেনি।

সাহিত্যের ক্ষতি হয়েছে দুটো। একটি সাম্প্রদায়িকতা, অন্যটি শ্রেণিবিভাজন। বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টান্ত সহজেই আসে। তিনি অসামান্য ছিলেন যেমন ইহজাগতিকতায়, তেমনি স্বাধীনতাপ্রিয়তায়। স্বাধীনতার পক্ষে লিখতে গিয়ে তাঁর লিখবার কথা ছিল ইংরেজের বিরুদ্ধে; কিন্তু তা লেখা সম্ভব ছিল না বলে ‘আনন্দমঠ’ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’তে শত্রু হিসেবে দাঁড় করালেন অনুপস্থিত মুসলমানকে। সাহিত্যে ওই যে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করল, ওই যে নদী ঘুরে গেল তার স্বাভাবিক ধারা থেকে ভিন্ন দিকে, তার প্রভাব পরবর্তীকালে অনেক ক্ষতির কারণ হয়েছে। বাঙালির জন্য। ১৯৪৭-এ এসে বঙ্গদেশ যে দুই-টুকরো হলো তার প্রধান কারণ সাম্প্রদায়িকতা এবং সেই কারণকে সাহিত্য প্রতিহত করেনি, বরঞ্চ পুষ্টই করেছে।

আর রইল শ্রেণি। ইংরেজের রাষ্ট্র বিদ্যমান শ্রেণিবিভাজনকে আরও শক্ত করেছে। সাহিত্য তাকে ভাঙতে কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়নি। সাহিত্য রয়ে গেছে বিত্তবান শ্রেণির সংস্কৃতি হিসেবে। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে আমরা বাংলা সাহিত্যের চর্চা করেছি রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় নয়, রাষ্ট্রীয় বৈরিতার ভিতরে। হ্যাঁ, পুরস্কার ছিল, পত্রিকা ছিল, গণমাধ্যমে প্রচার পাওয়া যেত; কিন্তু মূল সত্যটা ছিল এই যে, ওই রাষ্ট্র বাংলা ভাষাকে রাখতে চেয়েছিল উর্দুর নিচে। ঠিক যেমন ইংরেজরা চেয়েছিল ইংরেজিই হবে প্রধান, মোগলরা চেয়েছিল ফার্সির প্রাধান্য, আর্যরা সংস্কৃতের, তেমনি পাকিস্তানিরা চাইল উর্দু হবে প্রধান, বাংলা দ্বিতীয়। বাঙালি সেটা মানেনি।

কিন্তু সাহিত্যে রাষ্ট্রবিরোধিতা কতটা এসেছে বা আসেনি সে প্রশ্নটা থাকে। না, বেশি আসেনি। সাতচল্লিশের পরে আমাদের সাহিত্য ছিল কবিতা-প্রধান। আমাদের প্রধান কবিরা রাষ্ট্রের মহিমাকীর্তন করে অনেক কবিতা ও গান লিখেছেন। সে ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে কোনো গ্লানি দেখা যায়নি। ফরাসি কিংবা রুশ বিপ্লবের পেছনে যেমন সাহিত্যের একটা ভূমিকা ছিল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পশ্চাৎভূমিতে তেমন কোনো সাহিত্যিক ঘটনা ঘটেনি। রাষ্ট্রের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের ব্যাপারটিকে গভীর ও প্রবল করতে না-পারা সাহিত্যের জন্য অবশ্যই একটা দুর্বলতা। সে দুর্বলতা সেদিনও ছিল; আজও রয়েছে। মানুষের জীবনের অচরিতার্থতা ও দুঃখকে (কেবল বৈষয়িক অর্থে নয়, বুদ্ধিবৃত্তিক ও অনুভূতিগত অর্থেও) নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারেনি। সেজন্য তার স্তরটা রয়ে গেছে বিনোদনের। আর ওই স্তরে যেহেতু টেলিভিশন ও স্মার্টফোন কাজ করছে আরও জোরেশোরে, সাহিত্য তাই নিজেকে ততটা প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারছে না; যতটা প্রয়োজনীয় হওয়া তার নিজের জন্য তো বটেই, আমাদের সংস্কৃতির জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

দেশে হালকা উপন্যাসের পাঠক আছে, গভীর সাহিত্যের পাঠক নেই, এই অভিযোগ রয়েছে। তা গভীর সাহিত্য তেমন একটা লেখা হচ্ছে কি? তেমন সৃষ্টি কোথায় যেখানে চিন্তা, অনুভব, উপলব্ধি, কল্পনা এক হয়ে গভীরতা লাভ করেছে? যা বড়ো, যেমন দার্শনিকতায় তেমনি নান্দনিকতায়?

রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যক্তির দ্বন্দ্বের জায়গাটিতে তাৎপর্যপূর্ণ রূপে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হলে সাহিত্য সাফল্য আশা করতে পারে না। এ সত্য সব বড়ো লেখকের লেখাতেই পাচ্ছি আমরা। আমাদের সাহিত্যের একটা বড়ো দুর্বলতাও সেই ব্যর্থতাতেই নিহিত রয়েছে।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
নিজের মাটি
নিজের মাটি
কুমির
কুমির
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
সংহার
সংহার
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ
স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
জেগে থাকার জন্য
জেগে থাকার জন্য
অগ্নিসখা
অগ্নিসখা
নাই কিছু নাই
নাই কিছু নাই
সর্বশেষ খবর
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ জুলাই)

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ কিংবা বিঘ্নিত হয়নি
গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ কিংবা বিঘ্নিত হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এডমিশন কার্নিভালে বিশেষ অফারে ভর্তি নিচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি
এডমিশন কার্নিভালে বিশেষ অফারে ভর্তি নিচ্ছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আসন সীমানা নির্ধারণ: বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি গঠন ইসির
আসন সীমানা নির্ধারণ: বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি গঠন ইসির

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক ঘণ্টার ব্যবধানে মোহাম্মদপুর দুই খুন, আটক ২
এক ঘণ্টার ব্যবধানে মোহাম্মদপুর দুই খুন, আটক ২

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩, আহত ৭
বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩, আহত ৭

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয় টাইগারদের
লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয় টাইগারদের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে ভুলের কারণে ফেসবুকের মনিটাইজেশন হারিয়ে আয় বন্ধ হতে পারে
যে ভুলের কারণে ফেসবুকের মনিটাইজেশন হারিয়ে আয় বন্ধ হতে পারে

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণের আভাস
টানা ৫ দিন ভারী বর্ষণের আভাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় ঢাবি সাদা দলের নিন্দা
এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় ঢাবি সাদা দলের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনসিপি'র উপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
এনসিপি'র উপর হামলার প্রতিবাদে রাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এনসিপির
গোপালগঞ্জে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এনসিপির

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডোপিংয়ের দায়ে ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় ৪ বছর নিষিদ্ধ
ডোপিংয়ের দায়ে ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় ৪ বছর নিষিদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশি টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ’-এর আত্মপ্রকাশ
নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশি টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ইউএসএ’-এর আত্মপ্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মহেশপুর সীমান্তে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মহেশপুর সীমান্তে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সোনা জান’ নিয়ে হাজির কনা
‘সোনা জান’ নিয়ে হাজির কনা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টা কর্মসূচি
ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টা কর্মসূচি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা
৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলি টু মাস্টার্স পরীক্ষায় সূচি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলি টু মাস্টার্স পরীক্ষায় সূচি প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গোপালগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
গোপালগঞ্জ জেলায় বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেট সীমান্ত দিয়ে ৫৫ জনকে পুশইন বিএসএফের
সিলেট সীমান্ত দিয়ে ৫৫ জনকে পুশইন বিএসএফের

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আশুগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যথাযোগ্য মর্যাদায় হাবিপ্রবিতে জুলাই শহীদ দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় হাবিপ্রবিতে জুলাই শহীদ দিবস পালিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে গাছের চারা বিতরণ
নবীনগরে গাছের চারা বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ৪
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ৪

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন
গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনসিপির গাড়িবহরে ফের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ
এনসিপির গাড়িবহরে ফের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়িতে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের হামলা
গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়িতে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের হামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলা
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সরাল ইসি
ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সরাল ইসি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর
নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্লকেড সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান নাহিদের
ব্লকেড সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান নাহিদের

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খালেদা জিয়ার সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের এখনই সময় : পিনাকী
খালেদা জিয়ার সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের এখনই সময় : পিনাকী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে বর্বরতায় জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে: অন্তর্বর্তী সরকার
গোপালগঞ্জে বর্বরতায় জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে: অন্তর্বর্তী সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা
সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশ করায় এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব সাময়িক বরখাস্ত
রাষ্ট্রের গোপন নথি প্রকাশ করায় এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব সাময়িক বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোরাই তার নিয়ে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগকে হত্যা করা হয় : ডিএমপি
চোরাই তার নিয়ে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগকে হত্যা করা হয় : ডিএমপি

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী দোসররা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : ফখরুল
আওয়ামী দোসররা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি
স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওমান সাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান
ওমান সাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মুরগি হেলাল গ্রেফতার
সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মুরগি হেলাল গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সমন্বিত চিকিৎসার অভাব, বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুহার
সমন্বিত চিকিৎসার অভাব, বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুহার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্সকে ক্ষমা করবে না ভুক্তভোগী পরিবার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্সকে ক্ষমা করবে না ভুক্তভোগী পরিবার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহবাগ মোড় অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ
শাহবাগ মোড় অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বরখাস্ত
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বরখাস্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাবে এই ৪ পানীয়
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাবে এই ৪ পানীয়

১৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল
টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামাসের কাছে নাকাল ইসরায়েলেল অত্যাধুনিক মারকাভা ৪
হামাসের কাছে নাকাল ইসরায়েলেল অত্যাধুনিক মারকাভা ৪

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃহস্পতিবার সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মুজিববাদীরা মুক্তিযুদ্ধকে কলুষিত করেছে, গোপালগঞ্জকেও কলুষিত করেছে: নাহিদ ইসলাম
মুজিববাদীরা মুক্তিযুদ্ধকে কলুষিত করেছে, গোপালগঞ্জকেও কলুষিত করেছে: নাহিদ ইসলাম

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানের শত শত বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কে পরমাণু জ্ঞান, বোমা মেরে ধ্বংস করা অসম্ভব’
‘ইরানের শত শত বিজ্ঞানীর মস্তিষ্কে পরমাণু জ্ঞান, বোমা মেরে ধ্বংস করা অসম্ভব’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে নারী-পুরুষসহ গ্রেপ্তার ১২ প্রবাসী
সৌদিতে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে নারী-পুরুষসহ গ্রেপ্তার ১২ প্রবাসী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অলিখিত ফাইনালে আজ কে হাসবে শেষ হাসি?
অলিখিত ফাইনালে আজ কে হাসবে শেষ হাসি?

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’
‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’

সম্পাদকীয়

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র
গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠোর অবস্থানে এনবিআর
কঠোর অবস্থানে এনবিআর

পেছনের পৃষ্ঠা

১০ বিলিয়ন ডলার হাতাল বেপরোয়া প্রতারক চক্র
১০ বিলিয়ন ডলার হাতাল বেপরোয়া প্রতারক চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড উৎপাদনের পরও ইলিশ রপ্তানিতে ধস
রেকর্ড উৎপাদনের পরও ইলিশ রপ্তানিতে ধস

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে বন্ধ সেই বাড়ি ভাঙার কাজ
অবশেষে বন্ধ সেই বাড়ি ভাঙার কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাবার চেয়েও ভয়ংকর পুত্র পাপ্পা গাজী
বাবার চেয়েও ভয়ংকর পুত্র পাপ্পা গাজী

প্রথম পৃষ্ঠা

যেভাবে অশ্লীলতায় ডুবেছিল ঢাকাই ছবি
যেভাবে অশ্লীলতায় ডুবেছিল ঢাকাই ছবি

শোবিজ

ইলিয়াস মোল্লাহর বস্তিবাণিজ্য
ইলিয়াস মোল্লাহর বস্তিবাণিজ্য

পেছনের পৃষ্ঠা

চার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
চার জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই সোহাগ হত্যায়
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই সোহাগ হত্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্কুলছাত্র ইনামুলের বিমান উড়ছে আকাশে!
স্কুলছাত্র ইনামুলের বিমান উড়ছে আকাশে!

নগর জীবন

নির্বাচন পিছিয়ে দিতেই ষড়যন্ত্র চলছে
নির্বাচন পিছিয়ে দিতেই ষড়যন্ত্র চলছে

প্রথম পৃষ্ঠা

চুরি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
চুরি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানে সংকট সেখানেই ভরসা সেনাবাহিনী
যেখানে সংকট সেখানেই ভরসা সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ রূপ নেয় সরকার পতন আন্দোলনে
বিক্ষোভ রূপ নেয় সরকার পতন আন্দোলনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাকটাস থেকে চন্দন সব মিলছে বৃক্ষমেলায়
ক্যাকটাস থেকে চন্দন সব মিলছে বৃক্ষমেলায়

রকমারি নগর পরিক্রমা

অদম্য লিতুনজিরার পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
অদম্য লিতুনজিরার পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

পেছনের পৃষ্ঠা

থাকা-খাওয়ার খোঁটা দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার
থাকা-খাওয়ার খোঁটা দেওয়ায় ট্রিপল মার্ডার

পেছনের পৃষ্ঠা

লাথি মেরে বের করে দেওয়ার হুমকি জামায়াত নেতার
লাথি মেরে বের করে দেওয়ার হুমকি জামায়াত নেতার

পেছনের পৃষ্ঠা

কাঠগড়ায় গলায় ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
কাঠগড়ায় গলায় ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি নেতার মৃত্যু, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বিএনপি নেতার মৃত্যু, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাড়ে ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ডার্ক ওয়েবে
সাড়ে ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ডার্ক ওয়েবে

পেছনের পৃষ্ঠা

কফিনমিছিল
কফিনমিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

ফেনীতে পুলিশকে মেরে হ্যান্ডকাফসহ পালালেন বিএনপি নেতা
ফেনীতে পুলিশকে মেরে হ্যান্ডকাফসহ পালালেন বিএনপি নেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

চোরাকারবারি ধরতে বিজিবির গুলি, ১০ মহিষ জব্দ
চোরাকারবারি ধরতে বিজিবির গুলি, ১০ মহিষ জব্দ

নগর জীবন

বিজিবি-সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩
বিজিবি-সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

দেশগ্রাম

সাবেক মন্ত্রী মোশাররফসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক মন্ত্রী মোশাররফসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নগর জীবন

কচুরিপানার নিচে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ
কচুরিপানার নিচে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা