সাম্প্রতিক গবেষণায় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অবস্থান ও এর চারপাশের মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করা হয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, আমাদের গ্যালাক্সি একটি অনেক বড় ‘আকর্ষণ বলয়ে (Basin of Attraction) অবস্থিত’ যা পূর্বের ধারণাগুলোর চেয়ে প্রায় দশ গুণ বড় হতে পারে।
এই আবিষ্কার আমাদের গ্যালাক্সির চারপাশের মহাজাগতিক কাঠামোর মাপ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আকর্ষণ বলয়গুলি এমন মহাকর্ষীয় অঞ্চল যেখানে বস্তুসমূহ একটি বিশাল কেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। এদের ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিভিন্ন স্তরের মধ্যে স্তর হিসেবে করা যেতে পারে। যেমন আমাদের সৌরজগত মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অংশ, মিল্কিওয়ে আবার স্থানীয় গ্রুপের অন্তর্গত যা বৃহত্তর কাঠামো যেমন ভার্গো ক্লাস্টার এবং লানিয়াকিয়া সুপারক্লাস্টারের অংশ।
সম্প্রতি ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমিতে (Nature Astronomy) প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, মিল্কিওয়ে সম্ভবত লানিয়াকিয়া থেকে আরও বড় একটি কাঠামোর অংশ, যা সম্ভবত শ্যাপলি কনসেনট্রেশনের সাথে যুক্ত। শ্যাপলি কনসেনট্রেশন একটি বিশাল গ্যালাক্সি ক্লাস্টার যা দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। কিন্তু এর আগে মনে করা হতো না যে, এটি আমাদের গ্যালাক্সির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এর মহাকর্ষীয় প্রভাব আমাদের পূর্বে ধারণার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত হতে পারে।
লেইবনিজ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স পটসডাম-এর মহাজাগতিক বিজ্ঞানী ড. নোয়াম লিবেস্কাইন্ড উল্লেখ করেছেন, মহাবিশ্বের জ্ঞান সম্প্রসারিত করার সাথে সাথে আমরা আরও বেশি সংযুক্ত এবং বৃহত্তর মহাজাগতিক কাঠামোর সন্ধান পাচ্ছি, যা আমাদের পূর্বের কল্পনার সীমা অতিক্রম করেছে। এই গবেষণা দল ২০১৪ সালে প্রথম লানিয়াকিয়া আবিষ্কার করেছিল। তারা ধারণা করছে যে, মিল্কিওয়ে এই বৃহত্তর আকর্ষণ বলয়ের অংশ তার প্রায় ৬০% সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. এহসান কোরকচি জানান, মহাবিশ্বের জরিপে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এমনকি সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিও মহাবিশ্বের সম্পূর্ণ চিত্র ধারণ করতে যথেষ্ট নাও হতে পারে। সূত্র : এনডিটিভি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল