দীপাবলির পরেই ছিল ভাইফোঁটা। উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ইতিহাসের নগরী কলকাতাতে। ভাইফোঁটার দিন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রোহিত শর্মার ভারত ও কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। ভারতের জন্য ম্যাচটি ছিল ২০১১ সালের পর পুনরায় ফাইনাল খেলার। বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জন্য ছিল টানা তৃতীয়বার ফাইনাল খেলার ম্যাচ। এ ছাড়া ম্যাচটি ছিল চার বছর আগে ২০১৯ সালের সেমিফাইনালের প্রতিশোধ ও পুনরাবৃত্তির। চার বছর আগে ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলেছিলেন উইলিয়ামসনরা। রোহিত, বিরাট কোহলিদের জন্য প্রতিশোধের ম্যাচ। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তার ওপর ফাইনালে ওঠার লড়াই। ম্যাচটি দেখতে দুপুর থেকেই কলকাতাবাসী ঢুকে পড়েন বাড়িতে। একে তো ভাইফোঁটার উৎসব, তার ওপর প্রিয় দল ও প্রিয় ক্রিকেটারদের ফাইনালে ওঠার ম্যাচ। আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখেছেন সবাই। উৎসবমুখর পরিবেশে খেলা দেখেছেন সবাই। ৭০ রানে ম্যাচ জিতে শেষ হাসি হেসে ১২ বছর পর পুনরায় ফাইনালে উঠেছে ভারত। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের মতো মিছিল কিংবা রঙের ছড়াছড়ি হয়নি কলকাতায়। কিন্তু মার্কুইজ স্ট্রিট থেকে শুরু করে, কলিন্স রোড, হাওরা, ঠাকুরপুকুর, বালিগঞ্জে পটকাবাজি হয়েছে। উৎসবে মেতেছেন নগরবাসী। অবশ্য দীপাবলি থাকায় এমনিতেই উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল কলকাতাজুড়ে। শুধু কলকাতা নয়, গোটা ভারতেই ছিল উৎসব উৎসব পরিবেশ। আরব সাগরপাড়ের ‘বাণিজ্যিক নগরী’ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিত, শুভমান গিল, কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, মোহাম্মদ সামিরা মুখোমুখি হন ব্ল্যাক ক্যাপসদের। গিলের ৮০, কোহলির রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরি, আইয়ারের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান করে। জবাবে সামির ইতিহাসগড়া বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড ৩২৭ রানে অলআউট হয়। কোহলি এবারের বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিলেন ৪৭টি সেঞ্চুরি নিয়ে। পুণেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৮তম, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪৯তম সেঞ্চুরি করে স্পর্শ করেন ভারতীয় ক্রিকেট ‘কিংবদন্তি’ শচীন টেন্ডুলকারকে। গত পরশু ১১৩ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ রান করেন।
কোহলির অবিশ্বাস্য ব্যাটিং রেকর্ড নিয়ে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারী বলেন, ‘ক্রিকেটের জন্য কোহলি নন, কোহলির জন্য ক্রিকেট’। সামি বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৭ উইকেট নেন। এবারের বিশ্বকাপে তিনবার ৫ বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন সামি।