দিনের প্রথম সেশনে নাজমুলরা সাজঘরে বসে গল্প করেছেন। দ্বিতীয় সেশনে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। তার পরও বল মাঠে গড়াতে সমস্যা হয়নি। বরং উইকেটে থিতু হতে টাইগার ব্যাটাররা জিম্বাবুয়ের পেসারদের গতির বিপক্ষে পরীক্ষা দিয়েছেন। তৃতীয় সেশনে খেলা হয়েছে। তবে পুরো সময় খেলা হতে পারেনি। দিনের নির্ধারিত সময়ের ৩৩ ওভার আগে আলো স্বল্পতায় দুই আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দেন। সিলেট টেস্টে গতকাল তৃতীয় দিন খেলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৪৪ ওভার। নাজমুল বাহিনী গোটা দিনে ৪৪ ওভারে ১৩৭ রান তুলেছে ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে। মেঘাচ্ছন্ন দিনে অবশ্য দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপরাজিত রয়েছেন ৬০ রানে। যদিও ব্যক্তিগত ২৬ রানে একবার জীবন পেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। নাজমুলের হাফ সেঞ্চুরি ও ‘লোকাল হিরো’ উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিকের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে। আজ চতুর্থ দিন ১১২ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামবে টাইগাররা। হাতে আছে ৬ উইকেট।
প্রথম ইনিংসের হাফ সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রানে। তৃতীয় দিন শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চাইছেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল, ‘টার্গেট ৩০০ রান হলে ভালো হয়। যদি ৩০০ না হয় তাহলে ২৭০ কিংবা ২৮০ হলেও হবে।’
টেস্টের প্রথম দিনও বৃষ্টি বাধা হয়েছিল। সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম দিনেই ১৯১ রানে অলআউট হয়েছিল নাজমুল বাহিনী। সফরকারীরা দিন পার করেছিল বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে। দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়ান নাজমুলরা। অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ঘূর্ণি ও ‘স্পিডস্টার’ নাহিদ রানার গতিতে ২৭৩ রানে বেঁধে ফেলে জিম্বাবুয়েকে। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে ওপেনার সাদমান ইসলামের উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিস্নাত দিনে খেলা হয়েছে ৪৪ ওভার। বাংলাদেশ রান করেছে ৫৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৭। হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক নাজমুল। তার আগে দুবার জীবন পেয়েও ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি জয়। ১৭ ইনিংসে এই টাইগার ওপেনারের নেই কোনো ৫০ রানের ইনিংস। অধিনায়কের হাফ সেঞ্চুরির দিনে ফের ব্যর্থ হয়েছেন দেশসেরা টেস্ট ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। দুই ইনিংসেই ডাবল ফিগারের ঘরে পৌঁছাত ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক। দলীয় ৭৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি বাঁধেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল। তৃতীয় উইকটে জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৬৫ রান। মাত্র ৩ রানের জন্য জোড়া হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ৫৬ রান করা মুমিনুল গতকাল সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রানে। ৮৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চার। প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল। গতকাল অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে। ১০৩ বলের ইনিংসটিতে ৭টি চার ছিল। ৩৪ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা নাজমুলের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। টাইগার অধিনায়ক এর আগে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে। জাকির অপরাজিত রয়েছেন ২১ রানে।