মেয়েদের প্রশিক্ষক হওয়া আর ছেলেদের দায়িত্ব পালনে যে পার্থক্য রয়েছে তা গোলাম রব্বানী ছোটনের বেলায় লক্ষ করা যাচ্ছে। তার প্রশিক্ষণের বাংলাদেশ অনেক ট্রফি জিতেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী জাতীয় দল প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছোটনের প্রশিক্ষণেই। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেও একাধিক ট্রফি জিতেছে। ছোটন এবার অনূর্ধ্ব-১৯ যুবদলের কোচ হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন খেলতে ভারতে রয়েছেন। বাংলাদেশ কিন্তু বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। গতবার মারুফুল হকের প্রশিক্ষণেই বিজয়ের পতাকা উড়েছিল। এবার ছোটনের প্রশিক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ততটা শক্ত বা তৎপর মনে হচ্ছে না। যাক তারপরও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল ভারতের অরুণাচলে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। ভুটানকে টিকে থাকতে হলে পরবর্তী ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাতে হবে। না হয় বিদায়। যাক কে উঠবে তা বিষয় নয়। বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে খেলবে এটাই বড় স্বস্তি। সত্যি বলতে কী গতকালকের ম্যাচটি ছিল বাংলাদেেশর বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই গ্রুপ পর্ব খেলে চ্যাম্পিয়নদের দেশে ফিরতে হতো।
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কে হবে সেটাই অপেক্ষা। ৩-০ ব্যবধানকে সহজ জয়ই বলতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে এরপরও দল তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছে কি না? প্রথমার্ধে ২ গোল না হলে চাপেই থাকতে হতো। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করেছে। এমনকি ম্যাচ হেরেও যেতে পারত। গতকালও সেই ভয়টা পেয়ে বসেছিল ফুটবলপ্রেমীদের।
দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়েই আক্রমণের পথ খুঁজে পায় ভুটান। তাই ম্যাচ যখন ৬ মিনিটে ইনজুরি টাইমে গড়ায় তখনো ভয় কাজ করছিল। এ সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল ফয়সাল দলের তৃতীয় গোল করে স্বস্তি ফেরান। ১১ মিনিটেই মোরশেদ আলী গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখেন। ২৮ মিনিটে সুমন সরেন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তিন গোল করেও চিন্তায় থাকতে হলো, সেমিফাইনালে কী করবে বাংলাদেশ?