চ্যাম্পিয়নের পরও ঢাকা মোহামেডানের পালে হাওয়া লাগেনি। বরং সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির। আসছে ফুটবল মৌসুমে যে মানের দল গড়েছে তাতে শিরোপা তো দূরের কথা লিগে কোনো পজিশনে থাকবে তা নিয়ে শঙ্কিত সমর্থকরা। ২০০৭ সালে মাঠে গড়ানোর পর গতবারই প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। সবমিলিয়ে ২৩ বছর পর লিগ জিতেছিল সাদা-কালোরা। ভাবা যায় মোহামেডানের মতো জনপ্রিয় ক্লাব প্রায় দুই যুগ লিগ শিরোপা থেকে বঞ্চিত ছিল। বাস্তবে তাই ঘটেছে, এতে সাংগঠনিক দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে ক্লাব কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে। মোহামেডানে এক সময় যেমন তারকানির্ভর দল ছিল। তেমনি কর্মকর্তাদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল আকাশছোঁয়ার মতো। দীর্ঘদিন ধরে নিবেদিত সংগঠকরা নেই বললে চলে। এখন নাকি ক্লাবের স্বার্থ নয়। ব্যক্তি স্বার্থটা বড় করে দেখা হয়। চলে পকেট ভারীর প্রতিযোগিতা?
অতীতে যা ঘটুক না কেন, ক্রীড়াপ্রেমীদের ধারণা ছিল লিগ জেতার পর ক্লাব ঘুরে দাঁড়াবে। দু-একজন পরিচালকের সহযোগিতায় লিগ জেতার স্বপ্ন পূরণ হলেও চেনারূপে ফিরতে পারেনি মোহামেডান। জোড়াতালি দিয়ে এবার দল সাজানো হচ্ছে। ক্লাবের বর্ষীয়ান সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ‘উপায় নেই টাকা পাব কোথায়? তা ছাড়া যে খেলোয়াড় ৫ লাখ টাকার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না সেখানে তো চায়লেই ৫০ লাখ দিতে পারি না। অন্যরা দিচ্ছে তাদের টাকা আছে বলে। আমাদের ফান্ড তো প্রায় শূন্য। তাই যতটুকু সামর্থ্য তা দিয়েই ঘর গুছিয়েছি। সামনে দুই ঘানার ফুটবলার আসছে। যতটুকু সম্ভব তাই করা হচ্ছে। সামনে ক্লাবের নির্বাচন হবে। দেখা যাক তখন ভাগ্য বদল হয় কি না। পরিচালক হবেন অথচ টাকা দেবেন না। এভাবে ক্লাব চলে কীভাবে? ক্লাবের ঐতিহ্য ফেরাতে আলোচনা চলছে। সত্যি বলতে কি এতটা করুণ পরিস্থিতি যে, মোহামেডান কবে চেনারূপে ফিরবে তা বলতে পারি না। ইচ্ছা তো হয় ৮০ বা ৯০ দশকের মতো দল সাজাতে কিন্তু তা তো এখন স্বপ্নই বলা যায়।’