স্যার অ্যালেঙ্ ফার্গুসন নেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নেই সেই ধারও। ডেভিড ময়েসের পরিকল্পনায় বারবার হোঁচট খাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দলটি। ২০১৪ সালের প্রথম দিনেই গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে। হেরেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে। হেরেছে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে। অবশ্য একই দিন জয় পেয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী চার দল আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি ও লিভারপুর। বছরের প্রথম দিন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল আর্সেনাল ২-০ গোলে কার্ডিফকে, ম্যানসিটি ৩-২ গোলে সোয়ানসিকে, লিভারপুল ৩-০ গোলে হালসিটিকে এবং চেলসি ৩-০ গোলে হারিয়েছে সাউদাম্পটনকে।
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সর্বশেষ ২৫ বছর আগে হার দিয়ে বছর শুরু করেছিল রেড ডেভিলরা। ১৯৮৯ সালে বছরের প্রথম দিনই হেরেছিল ম্যানইউ। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে মৌসুমের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চার ম্যাচ হেরেছিল ম্যানইউ। ২৭ বছর পর আবারও সেই স্বাদ নিল। পরশু রাতে নিজ মাঠে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়েছিল ময়েসবাহিনী। ৩৪ মিনিটে স্পার্সদের এগিয়ে নেন ইমানুয়েল আদোবায়ের। এরিকসনের ক্রস থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে এগিয়ে নেন টটেনহ্যামকে। এরপর ৬৬ মিনিটে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করে স্পার্সরা। এবার গোল করেন প্রথম গোলের জোগানদাতা এরিকসন। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে ম্যানইউ। অবশ্য পরের মিনিটেই স্বাগতিকদের পক্ষে একটি গোল শোধ করেন ড্যানি ওয়েলব্যাক। এরপর আর কোনো গোল হয়নি ম্যাচে। ফলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। হারের জন্য ম্যানইউর কোচ ডেভিড ময়েস দোষারোপ করেছেন দুর্বল রেফারিংকে।
গতকাল টটেনহ্যামের বিপক্ষে হেরে শিরোপা রেসে ম্যানইউ পিছিয়ে পড়েছে অনেকটা। ২০ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন সপ্তম। শীর্ষে থাকা আর্সেনাল এগিয়ে রয়েছে ১১ পয়েন্ট। ২০ ম্যাচে গানারদের পয়েন্ট ৪৫। এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে চেলসি।