হকিতে নাটকীয়তার শেষ নেই। চার ক্লাব বর্জন করাতে এবার ৭টি দলকে নিয়ে দেশীয় হকির সেরা আসর প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়। তবুও ভালোই চলছিল, কিন্তু শেষটা হলো দারুণ বিতর্কে। আর এ জন্য দায়ী করা যায় ফেডারেশনকেই। গতকাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী-ঊষা। মাঠে নামার আগে আট ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ঊষা ক্রীড়াচক্র। প্রথম পর্বে তারা আবাহনীকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল। অর্থাৎ জয় নয় ড্র করলেই ঊষা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। না, প্রতিশোধের লড়াইয়ে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিল আবাহনী। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে জিতে গেলে দুই দলেরই পয়েন্ট দাঁড়াল চবি্বশে। বাইলজে উল্লেখ ছিল যদি শেষ পর্যন্ত দুই দলের পয়েন্ট সমান হয় তাহলে প্লে অফ ম্যাচের মাধ্যমে শিরোপা নির্ধারণ হবে।
বাইলজ মানে একটা ফেডারেশনের সংবিধান। একে লঙ্ঘন করা মানেই শাস্তি পেতে হবে। না হকির সংবিধান ভেঙেছে স্বয়ং ফেডারেশনই। কেননা প্লে অফের বদলে দুই দলকে যুগ্ম ঘোষণা করা হয়েছে। কথা হচ্ছে কেন এ অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হলো। ফেডারেশন প্রেস রিলিজে ব্যাখ্যা দিয়েছে প্লে অফ ম্যাচ ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দুই দল ক্লান্তির কারণে ম্যাচ খেলতে অপরাগতা প্রকাশ করে। ফেডারেশন থেকে প্লে অফ ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু দু'দলই আপত্তি জানিয়ে বলে তারা বিদেশি অ্যাম্পায়ার ছাড়া খেলবে না। আজই দুই মালয়েশিয়ান অ্যাম্পায়ার ঢাকা ছাড়ছেন। এ অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে লিগ কমিটির জরুরি সভা ডাকা হলে সেখানে দুই দলের প্রতিনিধি ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানায়। দুই দলই তাদেরকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে বলে। পরে আবাহনী ও ঊষা লিখিতভাবে নিজেদের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন মেনে নেওয়াতে ওয়ার্কিং কমিটি তা অনুমোদন করে। অর্থাৎ এভাবে দুদল বিজয়ের হাসি হাসে।
বিতর্ক উঠেছে বাইলজে প্লে অফ ম্যাচ থাকার তারপরও ফেডারেশন দুই দলের কথা রাজি হলো কেন? বাইলজ না মানলে কি পরিণতি হবে তা জানিয়ে ফেডারেশন যদি শক্ত অবস্থানে থাকতো তাহলে কি দুই দল খেলতে বাধ্য হতো না। যাক ফেডারেশন এখন যতই যুক্তি দেখাক না কেন যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা লিগ শুরু করেছিলেন তা তারা ধরে রাখতে পারেনি। বিতর্ক দিয়েই আলোচিত লিগের ইতি টানলেন। আসা যাক ম্যাচ প্রসঙ্গে। ৭ মিনিটে আবাহনী পাকিস্তানি কাসিফ আলীর গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ৩০ ও ৩৪ মিনিটে পুস্কর ক্ষিসা মিমো দুই গোল দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালেও বাইলজ ভঙ্গ করে প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও আবাহনীকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়াতে কেউ প্লে-অফ ম্যাচ খেলতে রাজি না হওয়ায় গভীর রাতে বৈঠক করে দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। বার বার বাইলজ ভঙ্গ করায় কথা উঠেছে মানাই যখন হয় না তখন আর বাইলজ তৈরি করে লাভ কী?
শিরোনাম
- মুমিনের বিপদ-আপদ পাপমোচনে সহায়ক
- কষ্টার্জিত জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু পাকিস্তানের
- বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
- হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যা করে আদালতে আত্মসমর্পণ স্বামীর
- উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
- সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
- খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
- মেডিক্যাল শিক্ষকদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা
- বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
- বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- ঢাবিতে সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪০৩ জনকে শোকজ
- দুই দল যা-ই বলে, সরকার তা-ই করে : মির্জা আব্বাস
- পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
- ইরাক আগ্রাসনের ‘মূল হোতা’ সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মৃত্যু
- তরিকুল ইসলাম ছিলেন দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি: তৃপ্তি
- জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
- ‘১৭ বছর রাজপথে নির্যাতিত ত্যাগী কর্মীদের চোখে আজ আশার আলো’
- নির্বাচনের সময়ে ভুয়া খবর প্রচারে জেল-জরিমানা
- বগুড়ার ডিবির সাবেক ইনচার্জসহ দুইজনের প্রত্যাহার আদেশ বাতিল
গ্রীনডেল্টা হকি লিগ
আবাহনী-ঊষা যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়
প্লে স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং পেল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’
৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার