শেষে পর্যন্ত আইনের হাত থেকে রেহাই পেলেন না ক্রিকেট বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বিসিসিআইয়ের সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মাইয়াপ্পন। তার বিরুদ্ধে আইপিএল ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক গঠিত তদন্তকারী কমিশন।
আইপিএলের ফিক্সিং বিতর্ক তদন্ত করতে গত বছরের ৮ অক্টোবর অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মুকুল মুদগালকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই তদন্ত প্যানেল গঠন করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। তারা চার মাস ধরে খেলোয়াড়, আইপিএল দলগুলোর স্বত্বাধিকারী, পুলিশ, সাংবাদিক, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। আজ সোমবার সেই প্রতিবেদনটিই তারা হস্তান্তর করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আনাঙ্গা কুমার পাটনায়েক ও জগদীশ সিং খেহেরের কাছে।
মুকুল মুদগাল সাংবাদিকদের বলেন, আশা করি, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন। আদালতের সুপারিশ বিসিসিআইয়ের অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
শ্রীনিবাসন অবশ্য এর আগে দাবি করেছিলেন, মাইয়াপ্পন কেবলই ক্রিকেটপ্রেমী, এর বেশি কিছু নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-প্রধানের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে প্যানেল।
গত বছর মে মাসের শেষ দিকেই পুলিশ গ্রেফতার করে ইন্ডিয়া সিমেন্টের মালিক মাইয়াপ্পনকে। সাময়িকভাবে হলেও সরে দাঁড়াতে হয় বিসিসিআইয়ের সভাপতি নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনকে। সরে দাঁড়ান আইপিএলের প্রধান রাজীব শুক্লা, বিসিসিআইয়ের সচিব সঞ্জয় জাগদালে ও কোষাধ্যক্ষ অজয় শিকরে। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক সাফল্যেও লাগে কালির ছোপ। গ্রেফতার হন টেস্ট ক্রিকেটার থেকে শুরু করে নবীন ক্রিকেটার, বলিউড তারকা, জুয়াড়ি, সন্দেহভাজন আরও অনেকে।