একটা সময় ছিল, চাপ নিয়ে বার্সেলোনা হয়ে উঠত আরও দুর্দান্ত। এমন অনেক ম্যাচেই বার্সেলোনা বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে যখন প্রথম গোল হজম করতে হয়েছে। কিন্তু সময় বদলে গেছে। বার্সেলোনা চাপ নিয়ে খেলতে যেন ভুলেই গেছে। গার্ডিওলার হাতে গড়া দুর্দান্ত একটা দল ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে সব গৌরব! তবে নিবু নিবু প্রদীপও তো মাঝে মধ্যে আলোকমালায় ভাসিয়ে দেয় চারপাশ। রবিবার ন্যু ক্যাম্পে মেসিরা তাই করলেন। অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ১-০ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরও ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা। এই জয়ে লা লিগায় শিরোপা জয়ের ক্ষীণ আশাটা এখনো জিইয়ে রেখেছেন মেসিরা।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচ। টানা তিনটা পরাজয়ের ধাক্কা। সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। তাছাড়া গত ডিসেম্বরে অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের কাছে পরাজয়ের (১-০) দুঃসহ জ্বালা। সবমিলিয়ে লিওনেল মেসিদের ওপর পাহাড়সম চাপ ছিল রবিবার। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে জুবেলদিয়ার গোলে অ্যাটলেটিক বিলবাও এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সা সমর্থকদের চিড় ধরা বিশ্বাসটাও উধাও হয়ে গিয়েছিল। ন্যু ক্যাম্পে অবশ্য অন্যদিনের মতো এতটা দর্শক সমাগম ছিল না। লাখের পরিবর্তে দর্শক ছিল মাত্র ৫৭ হাজার! তবে ভক্তদের হৃদয় শেষ পর্যন্ত ভাঙতে দেননি লিওনেল মেসি এবং পেদ্রো। ৭২ মিনিটে দানি আলভেজ, আলেঙ্সি সানচেজ এবং পেদ্রোর সম্মিলিত প্রয়াসে সমতায় ফেরে কাতালানরা। গোলটা অবশ্য লেখা হয়েছে পেদ্রোর নামের পাশেই। লিওনেল মেসি তার কারিশমা দেখান ৭৪ মিনিটে। ডি-বক্সে লাইন থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। এ গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
লা লিগায় ৩৪ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনার অবস্থান। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সংগ্রহ ৮৫ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তিন নম্বরে অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগার শিরোপা জয়ের জন্য বার্সেলোনাকে সামনের চারটা ম্যাচ জিতলেই হবে না, রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে অন্তত একটা করে ম্যাচ ড্রও করতে হবে।