১৯৯৭ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেছিলেন আকরাম খান। আকরামের ওই ইনিংসে ভর করেই ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে টানা বিশ্বকাপ খেলছে টাইগাররা। এবার বোধহয় সরাসরি খেলার যোগ্যতা হারাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ খেলতে খুব সম্ভবত মুশফিকুর রহিমদের বাছাই পর্বের কঠিন বেড়া ডিঙাতে হবে। বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ক্রিকেট দলের এই বাছাই পর্ব খেলার বিষয়টা জানতেন না।
২০১১ সালের জুন মাসে আইসিসির সভায় চূড়ান্ত হয় বাছাইপর্ব খেলার বিষয়টি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ আসর বসবে ইংল্যান্ডে। সে আসরের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল। বাকি দুই দল চূড়ান্ত হবে টেস্ট খেলুড়ে দুই দেশ ও আইসিসি সহযোগী শীর্ষ ৬ দলের বাছাইপর্ব থেকে। র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ান্ত আটে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশেরও। এজন্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি র্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে থাকতে পারে টাইগাররা তাহলেই বাছাই পর্ব খেলতে হবে না। যদি না থাকে তাহলেই খেলতে হবে বাছাইপর্ব। বিশ্বকাপ খেলতে বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে, এটা জানতেন না আকরাম, 'আমি বিষয়টি জানতাম না। এছাড়া ২০১১ সালে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিও বিষয়টি জানায়নি।' যদি বাছাইপর্ব খেলতে হয়, তাহলে বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে আইসিসি ট্রফি খেলার মতো।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। সেই বাছাইপর্ব হবে আবার বাংলাদেশে ২০১৮ সালে। তার আগে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। আসরে বাংলাদেশ খেলবে 'এ' গ্রুপে। গ্রুপের বাকি দলগুলো দুই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ১৫ দিনের ক্যাম্প করবে অস্ট্রেলিয়ায়। ক্যাম্প নিশ্চিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকরাম, 'আমরা বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় দুই দিনের ক্যাম্প করব। ক্যাম্প নিশ্চিত হয়েছে।'