রেফারি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শেষ বাঁশি বাজানোর। পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য উৎসবও করছিলেন উত্তর বারিধারার সমর্থকরা। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ গোল পেয়ে যায় ঢাকা মোহামেডান। সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মতিঝিলপাড়ার দলটি। ৯০ মিনিটে অরুপ বৈদ্যের নিচু ক্রস ধরে ওয়াহেদ ঠাণ্ডা মাথায় প্লেসিং শটে ঐতিহ্যবাহী দলটিকে ১-০ গোলে জয় উপহার দেন। দ্বিতীয় পর্বে এটা মোহামেডানের টানা দ্বিতীয় জয়। কাল বড় জয় পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রও। নিটল টাটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে গতকাল বিজেএমসিকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দারুণ এই জয়ে ১১ ম্যাচ শেষে মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ১৮। অপরদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে বিজেএমসির পয়েন্ট ১২।
সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বিজেএমসির পরিচালক (ক্রীড়া) আরিফ খান জয় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর বিজেএমসির পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার এই সরে দাঁড়ানোর ফলে অনেকটা বর্ণহীন হয়ে গেছে টিম বিজেএমসি। মাস খানেক ধরে ঠিকমতো অনুশীলনও হচ্ছে না বিজেএমসি ফুটবল দলের । এমন অবস্থায় লিগে খেলতে নেমে তারা ভালো করতে পারছে না। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে ফেনী সকারের কাছে হেরেছে তারা। কাল মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচেই চাপের মুখে ছিল বিজেএমসি। মুক্তিযোদ্ধার একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পরে তাদের রক্ষণভাগ।
২৩ মিনিটে প্রথম গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা। এ সময় ডি-বক্সে মাথা থেকে সানডে ফ্রি কিক করলে তা ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন বিজেএমসির গোলরক্ষক আরিফুল। ফিরতি বলে এনকোচা কিংসলে শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। ৪২ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে এনকোচা পাস দেন এলিটাকে। তিনি বল নিয়ে বক্সে ভেতর ঢুকে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। পুরো ম্যাচে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি বিজেএমসি। যার ফলে আরও গোল হজম করতে হয় তাদের। ৫০ মিনিটে এলিটা বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বঙ্ েঢুকে শট নেন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক তা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। পরের মিনিটেই তৃতীয় গোল হজম করে তারা। এ সময় বক্সে বাইরে থেকে সানডে পাস দেন এনকোচাকে । বক্সে ঢুকে এনকোচা বাঁ পায়ের শটে গোল করেন (৩-০)। ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৫৮ মিনিটে একটি গোল শোধ করে টিম বিজেএমসি। অপুর পাস থেকে স্যামসন দলের পক্ষে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন (১-৩)। ৬১ মিনিটে আবারও গোল পায় মুক্তিযোদ্ধা। জিতুর পাসে বল পেয়ে সানডে বক্সে বাইরে থেকে চমৎকার শটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন (৪-১)। ৭৯ মিনিটে নিজেদের বক্সে মুক্তিযোদ্ধার রনির হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। ইসমাইল বাঙ্গুরা শটে গোল করেন (৪-২)। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা।