দুই ম্যাচ পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশে সাকিব আল হাসান। তাই মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত আইপিএলে রাজস্থানের বিরুদ্ধে কলকাতার ম্যাচটি প্রতি বাংলাদেশি দর্শকদের আকর্ষণ ছিল অনেক বেশি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও সতীর্থদের ব্যর্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় নাইটরা। তবে সাকিবদের পরাজয় নিয়েই ধাঁধার মধ্যে পড়েছেন দর্শকরা। মূল ম্যাচে দুই দলের স্কোর সমান, ১৫২ করে। সুপার ওভারেও টাই, ১১ করে। কিন্তু রাজস্থান রয়েলসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কিভাবে? অনেকেই ভেবেছিলেন যেহেতু সুপার ওভারে কলকাতা দুই উইকেট হারিয়েছিল, আর রাজস্থানের কোনো উইকেট হারায়নি। তাই উইকেটে এগিয়ে থেকে জিতেছে রাজস্থান। কিন্তু তা নয়, রাজস্থান রয়েলস জয় পেয়েছে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর জন্য। ক্রিকেটামোদীদের কাছে নিয়মটি নতুন মনে হলেও এটি কিন্তু নতুন কোনো নিয়ম নয়। টি-২০ ক্রিকেটে সুপার ওভারের ব্যবহার ২০০৮ সাল থেকে। আর সুপার ওভার টাই-এর এই নতুন নিয়মটি চালু হয় ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে। সুপার ওভারে স্কোর সমান হলে যে নিয়ম অনুসরণ করা হয়- এক. মূল ম্যাচ এবং সুপার ওভার মিলে যে দলের বাউন্ডারি বেশি সে দলই জয়ী হবে। দুই. মূল ম্যাচে যে দলের বাউন্ডারি বেশি সেই দলই বিজয়ী। তিন. আগের দুই নিয়মেও ফল না হলে সুপার ওভারের শেষ বল বিবেচনায় আনা হয়। শেষ বলে যে দলের রান বেশি জয় তাদেরই হবে। এতে উইকেট পতন, ডট বলও কাউন্ট করা হয়।
তবে যদি মূল ম্যাচটি ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয় সেক্ষেত্রে সরাসরি তিন নম্বর নিয়মটি মেনে ফল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই কলকাতা ও রাজস্থানের ম্যাচটি যেহেতু ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে হয়নি, তাই প্রথম নিয়ম অনুযায়ী জয় পেয়ে যায় রাজস্থান। তবে এই ম্যাচে কলকাতা হারলেও সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি বল হাতে চার ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। আর ব্যাট হাতে ১৮ বলে খেলেছেন ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।