পরিচালনা পর্ষদের সভার আগে শেন জার্গেনসেনের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা সময় আলোচনা করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আলাপে সভাপতি পদত্যাগের কারণ জানতে চেয়েছেন কোচের কাছে। খোলামেলা আলাপে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন কোচ। বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করতে না চাইলেও জুন মাসে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে কোচিং করানোর ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। জার্গেনসেন চাইলেও সবকিছু বিবেচনা করে তাকে না রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালকরা। এছাড়া আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যেও তার জায়গায় নতুন কোচ নিয়োগ দিতে চাইছে বিসিবি। অবশ্য ভারত সিরিজে একজন স্থানীয় কোচ দায়িত্ব পালন করবেন বলেই ইঙ্গিত দেন বিসিবি সভাপতি। ২৮ এপ্রিল হঠাৎ করেই জাতীয় দলের মূল কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন জার্গেনসেন। তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর বিপাকে পড়ে যায় বিসিবি। জার্গেনসেনের মেয়াদ ছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার ১০ মাস আগে সরে দাঁড়ানোয় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে ক্রিকেটাররা। এই অবস্থান থেকে দ্রুত উদ্ধার পেতে মরিয়া হয়ে উঠে বিসিবি। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে কাল জার্গেনসেনের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। আলোচনার পর পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, একটি সিরিজের জন্য জার্গেনসেনকে রাখার কোনো কারণ নেই। কাল সভা শেষে মিডিয়ার মুখোমুখিতে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আমরা কোচের বিষয়ে আলোচনা করেছি। সবার মত, একটি সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে জার্গেনসেনকে রাখার কোনো কারণ নেই। তাই আমরা তাকে আর রাখছি না।' ফলে কালকের পরই বাংলাদেশ ক্রিকেটে সমাপ্তি ঘটল জার্গেনসেনের তিন বছরের অধ্যায়। জার্গেনসেন অধ্যায় শেষ। তাহলে কি বিশ্বকাপে স্থানীয় কোচ থাকবেন? বিসিবি সভাপতি বলেন, 'স্থানীয় কোচদের বিষয়ে আমাদের ফ্যাসিনেশন রয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনেক বড় একটি টুর্নামেন্ট। এখানে ভালোমানের একজন কোচই থাকবেন। আগামী এক-দেড়মাসের মধ্যেই আমরা কোচ নিয়োগ দিতে পারব বলে আশা করছি। এরমধ্যে ৫-৬ জনের সঙ্গে আলাপ করেছি আমরা। তবে এখনই তাদের নাম বলা যাবে না।' কোচ চূড়ান্ত করতে কাল মাহাবুবুল আনাম, জালাল ইউনুস, আকরাম খান, নাইমুর রহমান দুর্জয় ও খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। বিদেশি কোচের সন্ধানে নামলেও ভারতের বিপক্ষে সিরিজে স্থানীয় কোচ থাকতে পারেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি, 'ভারত সিরিজে স্থানীয় কোচ থাকার সম্ভাবনাই বেশি।' এক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে দুজনের নাম, মিজানুর রহমান বাবুল ও সারওয়ার ইমরান। তবে এগিয়ে রয়েছেন মিজানুর রহমান বাবুল।