প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কেআরএলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরও গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ী দলের অধিনায়ক বিপ্লব আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপের চূড়ান্ত পর্বের খেলার। যদিও কাল প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কান বিমানবাহিনী। কিন্তু কোনো সুবিধাই করতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো স্বাগতিকদের ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রেসিডেন্ট কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে নিয়েছে শেখ রাসেল। কাল পয়েন্ট তালিকার দুর্বল দল ভুটানের উজিয়েন একাডেমির বিপক্ষে খেলতে নামবে 'বেঙ্গল ব্লুজ'রা। কাল দিনের প্রথম খেলায় পাকিস্তানের কেআরএল ৩-০ গোলে হারিয়েছে উজিয়েনকে। কেআরএলের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে শীর্ষে অবস্থান করছে রাসেল। এএফসি প্রেসিডেন্ট কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে জিততেই হতো বেঙ্গল ব্লুজদের। যদিও প্রথম ম্যাচের তিন পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল শ্রীলঙ্কা বিমানবাহিনী। কিন্তু এটা কোনো বাধা হতে পারেনি রাসেলের। জিততে মরিয়া রাসেলের বিদেশি কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই খেলতে নামেন। গোলের জন্য মরিয়া দুকানোভিচ শিষ্যরা অলআউট ফুটবল খেলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায়। হাইতিয়ান স্ট্রাইকার প্যাসকেল মিলিয়েন ডিফেন্স চেরা থ্রু দেন শাকিল আহমেদকে। বল ধরে শাকিল ঠাণ্ডা মাথায় প্লেসিং শটে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। গোলের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় বিপ্লব বাহিনী। পাঁচ মিনিটে আদায় করে নেয় চার চারটি কর্নার। কিন্তু গোল পায়নি তাতে। অবশেষে ৩৫ মিনিটে গোলসংখ্যা দ্বিগুণ করে মিথুন চৌধুরী। এবারের গোলের কারিগরও প্যাসকেল। মধ্যমাঠ থেকে আগুয়ান বল ধরে হাইতিয়ান বাড়িয়ে দেন ডি বক্সে থাকা মিথুনকে। মিথুন বল ধরে সময়ক্ষেপণ না করে দলকে উৎসবে ভাসান (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় শেখ রাসেল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল করে বেঙ্গল ব্লুজরা। অবশ্য গোলশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু রাসেলের রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি। এর মধ্যেই ৫৫ মিনিটে গোলসংখ্যা তিনে উন্নীত করেন মিথুন (৩-০)। এই গোলের সুরকারও প্যাসকেল। পাঁচ মিনিট পর গোল সংখ্যা একহালি করেন হাইতিয়ান প্যাসকেল (৪-০)। চমৎকার ফ্রি কিকে আসরে নিজের প্রথম গোল করেন প্যাসকেল। খেলার অন্তিম মুহূর্তে পঞ্চম গোল করেন বদলি খেলোয়াড় সবুজ বিশ্বাস। ৮৬ মিনিটে সবুজ প্লেসিং শটে গোলটি করেন (৫-০)।