নারী নির্যাতনের মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে জেলে যেতে হয়। তিনদিনের মাথায় জামিনে মুক্তিও পান তিনি। মুক্তি পেয়ে রুবেল মিরপুরে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েন। তারপরও সংশয় ছিল তার বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে। কেননা ১৪ ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। সুতরাং বিশ্বকাপ খেলতে রুবেলতো দেশের বাইরে যেতে হবে। আদালত তাকে জামিন দিলেও এ অবস্থায় বিদেশ যেতে পারবে কিনা এ ব্যাপারটি পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু আদালত গতকাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশ যেতে রুবেলের কোনো বাধা নেই। এমনকি তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রুবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার এ আদেশ দেন। রুবেলের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আদালতে পৃথক দুটি আবেদন করেন। আবেদন দুটিতে রুবেলের বিদেশ যেতে পুলিশ বাধা না দিতে এবং ফৌজদারি কারাবিধির ২০৬ ধারায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আরজি জানানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন। অর্থাৎ বিশ্বকাপ খেলতে রুবেলের আর কোনো বাধা থাকল না। উল্লেখ্য, মডেল তারকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী বাদী হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুবেলকে আসামি করে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বাদীর সঙ্গে রুবেলের পরিচয় হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। রুবেলকে বিয়ের জন্য তাগিদ দিলে তিনি এড়িয়ে যান। চলতি মাসের ৮ তারিখে রুবেল মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাতের আদালতে আত্দসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠান হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস রুবেলের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুবেলের চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। রুবেলকে জাতীয় ক্রিকেট দল ও বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়ার জন্য হ্যাপী রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন।