দীর্ঘ ১৫ বছর পর চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশসহ ছয়টি দল অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের তিনটি ও একটি সেমিফাইনাল- মোট চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। ক্রমেই ঘনিয়ে আসা এ টুর্নামেন্টের জন্য এখন স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে জোরেশোরে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রেসক্রিপশন মেনেই চলছে সংস্কারকাজ। দু-চার দিনের মধ্যেই সংস্কারকাজ শেষে স্টেডিয়াম পুরো প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সর্বশেষ আয়োজিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছরেও অনুষ্ঠিত হয়নি এ টুর্নামেন্টটি। বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর জোরেশোরেই বলেছিলেন এ টুর্নামেন্ট আয়োজন তিনি করবেন। সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তবায়ন ঘটছে চলতি মাসের শেষের দিকে। টুর্নামেন্টটি ১৬ জানুয়ারি থেকে হওয়ার কথা থাকলেও এক দফা পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। আর অনেক আলোচনার এ টুর্নামেন্টের শুরুটা হচ্ছে সিলেট থেকেই। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী পর্বটা সিলেট জেলা স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানে।
বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য সিলেট জেলা স্টেডিয়াম নির্ধারিত হওয়ার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মাঠ সংস্কারে উদ্যোগ নেয়। পরে স্টেডিয়ামের সার্বিক অবস্থা দেখে যান এনএসসির প্রকৌশলী। এ ছাড়া বাফুফের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুলও স্টেডিয়ামের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে যান। আন্তর্জাতিক এ টুর্নামেন্টের জন্য স্টেডিয়ামের যেসব সংস্কারকাজ করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে মাঠ থেকে ক্রিকেট পিচ সরানো, ফ্লাডলাইটের আধুনিকায়ন, সাজঘর, প্রেসবক্স ও ভিআইপি বক্সে উন্নয়ন, স্টেডিয়ামের গেট ও নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বেষ্টনী, ডিজিটাল স্কোর বোর্ড প্রভৃতি। এর মধ্যে মাঠ থেকে ক্রিকেট পিচ সরানো ও বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের দিন ভেঙে যাওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর সংস্কার সাধনও হয়েছে। এ ছাড়া ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী প্লেয়ার ড্রেসিংরুম ভবন থেকে প্রেসবক্স সরিয়ে আনা হয়েছে ক্রীড়া ভবনের চতুর্থ তলায়। প্রেসবক্সে আধুনিকায়নও করা হয়েছে, যেখানে একসঙ্গে শতাধিক সংবাদকর্মী ম্যাচ কাভার করার সুযোগ পাবেন। স্টেডিয়ামের দোতলায় ভিআইপি বক্সওে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। আমূল পাল্টে ফেলা হচ্ছে এটির খোলনলচে। এসব কাজের জন্য ইতিমধ্যে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ, ফ্লাডলাইটের আধুনিকায়ন, তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধু কাপের সব কটি ম্যাচ হবে সন্ধ্যা ৫টা থেকে। ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন। সেজন্য ফ্লাডলাইটের সংস্কার জরুরি। এ কাজে ব্যয় হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে জেলা ফুটবল সংস্থার (ডিএফএ) সভাপতি মাহী উদ্দিন সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে। বেশকিছু কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এসব কাজের জন্য বাফুফে থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ফ্লাডলাইটের আধুনিকায়নের কাজও চলছে বলে জানান।