বিশ্বকাপের আগেই ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন এ দু'জন ক্রিকেটার। এ কারণে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের পদটি এখন শূন্য পড়ে রয়েছে। আগামী এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। এ জন্য দলের দায়িত্ব কে নিচ্ছেন তা নিয়ে হিসাব কষা শুরু হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে অনেক খেলোয়াড়কেই এগিয়ে রাখছেন পাকিস্তানের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা মতে, পাকিস্তানের দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে তার যুক্তিও বেশ বড়।
বিশ্বকাপে দারুণ বোলিং করেছেন ওয়াহাব রিয়াজ। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আক্রমনাত্মক বোলিংয়ের জন্য ইতিমধ্যে বহু কিংবদন্তী ক্রিকেটারের প্রশংসা কুড়িছেন তিনি। আবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
রমিজ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওর (ওয়াহাব) বোলিং দেখেছি। আবার দেশে ফিরে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সে। ওর মধ্যে বড় ‘নেতা’ হওয়ার গুণ দেখা গেছে। কারণ, সে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে। যা পাকিস্তান ক্রিকেটকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন। আমি মনে করি, ওয়াহাব অধিনায়ক হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেটকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবে।’
এদিকে, পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অধিনায়ক হিসেবে সাবেক টি-২০ অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ ও আজহার আলীর নাম বলেছেন বিশ্বসেরা স্পিনার সাঈদ আজমল। এ দুজনকে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার সেরা পছন্দ বলে মনে করছেন তিনি।
অভিজ্ঞ ইউনিস খান ওয়ানডে অধিনায়ক প্রার্থী হতে পারেন কি না? ওই অনুষ্ঠানে এমন এক প্রশ্নে আজমল বলেন, ‘ইউনিস খানের মনে যে কী আছে, আমি জানি না। তবে আমি তাকে অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী মনে করি না। কারণ তার যেখানে ওয়ানডে খেলারই নিশ্চয়তা নেই, সেখানে সে কীভাবে অধিনায়ক হবে।’
তবে সব ছাপিয়ে পাকিস্তানের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কে হন, কার কাঁধে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেয় পিসিবি, সেটাই এখন দেখার পালা!
বিডি-প্রতিদিন/২৩, মার্চ, ২০১৫/মাহবুব