হরমোন পরীক্ষায় শরীরে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি পুরুষ হরমোন পাওয়া গেছে ভারতীয় নারী স্প্রিন্টার দূতি চাঁদের। তাকে বলা হয়েছিল হরমোন চিকিৎসা নিতে। তিনি রাজি হননি। অমনি নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে দূতির ওপর। আদালতে আপিল করেন তিনি। দূতির মতে তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সেই আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
নারী হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন ভারতীয় এই স্প্রিন্টার। কিন্তু অঙ্গভঙ্গি, অচরণসহ কিছু বিষয়ের জন্য তার নারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে পরীক্ষা করে শরীরে অধিক মাত্রায় পুরুষ হরমোন পাওয়া যায়।
তবে পরীক্ষার পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দূতি বলেন, যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক স্পোর্টস গভর্নিং বডি, তা ত্রুটিপূর্ণ। এতে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি আপিলের সিদ্ধান্ত নেন।
নারী অ্যাথলেটদের শরীরে টেস্টস্টেরন বেশি হলে সাধারণত তারা হরমোন থেরাপি নেন। আর তা না হলে নীরবে খেলার মাঠ থেকে ঝরে পড়েন। দূতি চাঁদের হরমোন থেরাপি নিতে রাজি না হওয়াকে ক্রীড়াজগতে বিরল বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/২৪ মার্চ ২০১৫/এস আহমেদ