বাংলাদেশের ক্রিকেটের কতটা যে উন্নতি হয়েছে তা এখন ভালো করেই জানে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। বিশেষ করে পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ডকে কয়েকবার হোয়াইটওয়াশ করছে টাইগাররা, বিশ্বকাপে বারবার বাংলাদেশের কাছে হোঁচল খেয়েছে ইংল্যান্ড, সম্প্রতি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারতের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় আর সর্বশেষ উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামিয়ে আনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ বর্তমান ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি।
ভাবছেন, দুই একটা সিরিজ জিতলে কি পরাশক্তি হওয়া যায়। তাই হয়তো একটু বেশি বলা হচ্ছে কী? আচ্ছা একবার ভাবুন তো, গত বছরের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের চলতি মাস পর্যন্ত ওয়ানডে খেলা দেশগুলোর মধ্যে জয়ের পাল্লা সবচেয়ে ভারি কোন দলের দিকে। আপনার মাথার মধ্যে অবশ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। কিন্তু আপনি ভুল ভাবছেন, এ তালিকায় সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড আর দুইয়ে বাংলাদেশ! হবাক হলেন তো।
এই সময়টাতে টিম বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৪টি ম্যাচে। আর নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ১৯টি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। যদিও বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেলে এ সংখ্যাটা আরও বাড়তো। অথচ ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের আগে বাংলাদেশ।
যদি এটা সামিয়ক সু-সময়ের আশীর্বাদ হয়, আলাদা কথা। কিন্তু এমন মহাসাফল্য যদি এখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচিতি হয়, তা হলে একটা কথা লিখে ফেলা উচিত ক্রিকেট পরাশক্তি।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব