বিষাদের রজনী কাটিয়ে প্রভাতের আলোয় হাসছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ভারত ও পাকিস্তান বধের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিন হারে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছিল তাও এখন দূরীভূত মিরপুরের আলো ঝলমলে এক জয়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা এখন উপভোগ করছেন মধ্য দুপুরের উত্তাপ। যে উত্তাপে প্রতিপক্ষদের জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে টাইগাররা। পারে প্রতিপক্ষের উদ্ধত শিরকে মাটির পৃথিবীতে নামিয়ে আনতে। মিরপুর স্টেডিয়ামে যে বিন্দুর সূচনা সে বিন্দু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের বৃত্ত পূরণ করার আশায় পৌঁছে গেছে চট্টগ্রামে। গতকাল বিকালেই ঢাকা থেকে উড়াল দিয়েছে টাইগারবাহিনী। সঙ্গী হয়েছে প্রোটিয়ারাও। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটভক্তের দৃষ্টিও পৌঁছে গেছে ক্রিকেটবান্ধব নগরী চট্টগ্রামে। আগামী দিনগুলোতে পুরো দেশের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবে এ বাণিজ্যিক নগরী। বাণিজ্য নয়, এ আকর্ষণ ক্রিকেটকে ঘিরে।
সামনে ঈদ। আলোর মেলায় পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানি। অথচ ক্রেতা নেই! মার্কেটের ভিড় জমা হয়েছে টিভি সেটের সামনে। যাদের সুযোগ আছে তারা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে অথবা তার দোরগোড়ায়। বাংলাদেশের সব আবেগ সেদিন জমা হয়েছিল মিরপুরে। এ কেবল ক্রিকেটই পারে! গত রবিবার ম্যাচের শুরুতে ভক্তদের ভয়কাতুরে মন ‘আফ্রিকান সিংহের আক্রমণে বিধ্বস্ত টাইগারের’ ছবি কল্পনায় ছুটে যেতে দেয়নি মিরপুরের গ্যালারিতে। শুরুর দিকটাতে তাই গ্যালারি ছিল ফাঁকা। তবে ম্যাচের গতিপথ স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছিল স্রোত। যে স্রোত ম্যাচ শেষে মিশেছিল বিজয় মিছিলে। ৭ উইকেটের যে জয় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে সমতা এনে দিয়েছে তাই তৈরি করেছে সিরিজ জয়ের সম্ভাব্য ভিতও। হয়তো আগামীকাল চট্টগ্রামে সে ভিতের উপরই গড়ে উঠবে বিজয় স্তম্ভ! আরও একটা জয়ের প্রত্যয় নিয়েই টাইগাররা চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।
সিরিজে পিছিয়ে থেকেও জয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের একেবারে কম নয়। প্রথম যেবার সিরিজ জিতে বাংলাদেশ ২০০৪/০৫ মৌসুমে সেবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। এই জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে আরও তিনটা সিরিজ জয়ের ইতিহাস আছে বাংলাদেশের। তবে ক্রিকেটের মুরুব্বীখ্যাত দলগুলোর বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। কেবল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১২/১৩ মৌসুমে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ১-১ ড্র করেছিল টাইগাররা। বাকি ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়।
ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ। গতকাল থেকেই রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। এই ঢল চট্টগ্রামেও কম থাকবে না। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত থাকবে সবাই। তারপরও বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের মন-প্রাণ জুড়ে থাকবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সঙ্গে। ঘরে ফেরার ফাঁকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারা জেনে নিবে লেটেস্ট স্কোর। তামিম এখনো ব্যাট করছে তো! মুস্তাফিজ কয়টা উইকেট পেল রে! জয় আর কত দূর! এসব প্রশ্নের ফাঁক গলে শেষ মুহূর্তে হয়ত ধরা দিবে সেই কাক্সিক্ষত মুহূর্ত। বাংলাদেশের মানুষ কি বিজয় মিছিল নিয়েই আপন আঙ্গিনায় পা রাখার সুযোগ পাবে!
শিরোনাম
- রাঙামাটিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
- কুয়েতে বিষাক্ত মদ পানে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু
- নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন যাচাইয়ে কমিটি
- ভারতে আটক ২২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
- সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৮৫৮
- ফরিদপুরে ‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুই গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা : ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন
- মাদারীপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- জাতিসংঘ মহাসচিবের জলবায়ু পরিবর্তন যুব উপদেষ্টা পরিষদে বাংলাদেশের ফারজানা
- মালয়েশিয়া থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
- ঝিনাইদহে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
- ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির
- নগরভবনের ফটক ঘেরাও করে ফুটপাত দখলমুক্তের দাবি
- চাঁদপুরে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় যাত্রী পারাপার
- নেতানিয়াহু পথ হারিয়ে ফেলেছেন : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
- চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সানওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
- হাসিনাকে ফেরত চেয়ে মোদি বরাবর চিঠি
- জনসংযোগ কর্মকর্তাদের চিন্তা-পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে: তথ্যসচিব
সবার দৃষ্টি চট্টগ্রামে
রাশেদুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর