ছক্কা হাঁকিয়ে জয়- সেটাও কিনা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টা নিছক কোনো এক ম্যাচে ‘জয়’ নয়, কোনো অঘটনও নয়, প্রত্যাশিত কোনো দৃশ্যের অবতারণাও নয়। সোজা কথায় ‘আত্মবিশ্বাসের বিস্ফোরণ’।
দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়ে খানেকটা বিপাকেই পড়েছিল টাইগাররা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তাই প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিলেন মাশরাফিরা। আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর এক জয়। ১৬২-রান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সর্বনিু স্কোর। এই জয় আসলে টাইগারদের ধারাবাহিকতার ফল। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ যে এখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি হিসেবে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে -তা নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কেননা ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জয়ীর তালিকা করলে দ্বিতীয় স্থানে থাকবেন মাশরাফিরা। শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মোট ১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে (১৯ ম্যাচের মধ্যে)। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৯টি। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো বাংলাদেশের পেছনে।
বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকেই বদলে যায় বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৫-০তে হারালেও পরিবর্তনটা চোখে পড়েনি তখনো। সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাকেও অনেকে চমক হিসেবে দেখেছেন। কিন্তু পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টনক নড়ে ক্রিকেট বিশ্বের। তারপর ভারত। এখন দক্ষিণ আফ্রিকা...এখনো সিরিজ জয় হয়নি। তবে টাইগারদের চোখে-মুখে যে আত্মবিশ্বাসের ছাপ, সেসঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচটা হচ্ছে ‘লাকি’ ভেন্যু চট্টগ্রামে-সিরিজ জয়ের আশা করাটা মোটেও উচ্চভিলাষী ভাবনা হওয়ার কথা নয়।
কিছুদিন আগে জয় পেলেও খেলা দেখে মন ভরতো না সমর্থকদের। কিন্তু এখন টাইগারদের খেলার ধরন-ধারণে ব্যাপক পরিবর্তন। প্রতিপক্ষকে পাল্টা আক্রমণ করে খেলে টাইগাররা। ক্রিকেটারদের ভিতর সে কী আগ্রাসী ভাব! যেন প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলবে। খেলার মাঠে এই ভাবটা থাকা খুবই জরুরি। কেননা শরীরী ভাষা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করলে জয়টা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও শৃঙ্খল। সবাই নিজের কাজটা বোঝেন। নিজের চেয়ে দলের সাফল্যই মুখ্য। সে কারণেই আসছে একের পর এক জয়। তবে শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য যে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এতো বেশি শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়েছে সাকিব আল হাসানকে শাস্তি দেওয়ার পরই। যদিও সেই শাস্তির ব্যাপার নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল, তবে আখেরে লাভই হয়েছে দলের।
বাংলাদেশ দল এখন কম্পিলিট একটি ইউনিট হিসেবে মাঠে থাকে। ব্যক্তি ভাবনা যার যেমনই থাক না কেন, কিংবা পারস্পরিক মনমালিন্য থাকলেও মাঠে সবাই এক। আর পুরো দলকে এক ছাতার নিচে আনা সম্ভব হয়েছে কেবল মাশরাফির কারণেই। কী মাঠে, কী বাইরে -পারফেক্ট ক্যাপ্টেন। সব ক্রিকেটারের সঙ্গেই তার আন্তরিকতা। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন আলাদা আলাদাভাবে। আর মাঠে ম্যাশের ক্যারিশমা সম্পর্কে তো কারও অজানা নেই। কখন কোন বোলারকে নিয়ে আসতে হবে, ফিল্ডিং কিভাবে সাজাতে হবে -সব কিছুতেই অনন্য মাশরাফি। যে দল এমন একজন ক্যাপ্টেনের দিক নির্দেশনায় চলে সে দলের পেছনে সাফল্য না ছুটে পারে!
শিরোনাম
- রাঙামাটিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
- কুয়েতে বিষাক্ত মদ পানে ১০ প্রবাসীর মৃত্যু
- নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন যাচাইয়ে কমিটি
- ভারতে আটক ২২ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর
- সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৮৫৮
- ফরিদপুরে ‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুই গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা : ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ কেন্দ্র পরিবর্তন
- মাদারীপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
- জাতিসংঘ মহাসচিবের জলবায়ু পরিবর্তন যুব উপদেষ্টা পরিষদে বাংলাদেশের ফারজানা
- মালয়েশিয়া থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
- ঝিনাইদহে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
- ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির
- নগরভবনের ফটক ঘেরাও করে ফুটপাত দখলমুক্তের দাবি
- চাঁদপুরে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় যাত্রী পারাপার
- নেতানিয়াহু পথ হারিয়ে ফেলেছেন : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
- চীনা নৌবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সানওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
- হাসিনাকে ফেরত চেয়ে মোদি বরাবর চিঠি
- জনসংযোগ কর্মকর্তাদের চিন্তা-পরিকল্পনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে: তথ্যসচিব
টাইগারদের বদলে যাওয়ার রহস্য
মেজবাহ্-উল-হক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর