টাইগারদের কখনই খালি হাতে ফেরায়নি বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। দু হাত উজার করে দিয়েছে সব সময়। প্রথম টেস্ট জয় থেকে শুরু। এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর অসংখ্য রূপকথার সাক্ষী বন্দর নগরী। ১৯ নম্বর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আকাঙ্ক্ষায় কাল চট্টগ্রামে পা রাখে মাশরাফি বাহিনী। একই বিমানে এসেছে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাও। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্বাগতিকদের সিরিজ জয়ের প্রেরণা হতে পারে বীর প্রসবনী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যেন টাইগারদের সাফল্যের পরিপূরক। এখানে ১৫ ওয়ানডেতে ৯টিতে হেসেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ১০ ওয়ানডের মাত্র দুটিতে হেরেছে টাইগাররা। সর্বশেষ হার ২০১১ সালে, পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ৫৮ রানে। টাইগারদের শক্তি সামর্থ্যের কথা চিন্তা করে এবারও তৈরি করা হয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। টাইগারদের স্পিনারদের পাশাপাশি টিকে থাকতে পারলে ব্যাটসম্যানও রান পাবেন এ উইকেটে। উইকেট নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, 'হোম সুবিধার কথা চিন্তা করে উইকেট তৈরি করা হয়েছে।' ১২ দিনের চট্টগ্রামে সফরে একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল। কাল সাড়ে ৩টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে করে দুদল চট্টগ্রাম পৌঁছায়। ক্রিকেটাররা অবস্থান করছেন রেডিসন ব্লু হোটেলে। আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ অনুশীলন করবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বুধবার বিকাল ৩টায় শেষ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।