টানা কয়েকদিনের বর্ষণে স্যাঁতস্যাঁতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। গতকাল দুপুর রোদে উত্তপ্ত হলেও এর স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কতটা কেটেছে তা বল গড়ানোর আগে ধারণা করা সহজ নয়। দৰিণ আফ্রিকান অধিনায়ক হাশিম আমলা যেমন প্রত্যয়ের সঙ্গে উইকেটটাকে 'ফ্ল্যাট' বলে দিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক তেমনটা করেননি। তার মতে, উইকেটটা এখনো সত্তর ভাগও তৈরী হয়নি। এর মধ্যে উইকেট নিয়ে কথা বলাটা বোকামি হবে। ম্যাচ-ডে'র সকালই হয়তো উইকেটের মুখোশ উন্মোচন করবে পুরোপুরি। তবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটটা বদলে গেছে। যে ন্যাড়া উইকেটে আফ্রিকান সিংহদের বিরম্নদ্ধে ওয়ানডেতে লড়েছে এবং জিতেছে বাংলাদেশ তা বদলে গেছে। উইকেটে খানিকটা মাথা উঁচু করা ঘাস থাকলেও অবাক হওয়ার থাকবে না। উইকেট নিয়ে রাখ ডাক ওয়ানডে সিরিজেও দেখা গেছে। টেস্টেও যে এর ব্যতিক্রম হবে না, এ আর নতুন কী! তবে ফ্ল্যাট উইকেটের একটা যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। বোলারদের অতিরিক্ত সুবিধা দিলে যে দৰিণ আফ্রিকান বোলিং তোপ বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনকে দাঁড়াতে দিবে না এটা ক্রিকেটের ভক্ত মাত্রই অনুধাবন করতে পারেন। এর চেয়ে বরং ভালো, দুই দলই ব্যাটিংটা করম্নক ইচ্ছেমতো। ম্যাচের ফলাফল যদি নাও হয়, ৰতি কী! যে দলের বিপৰে গত আটটা টেস্টের সাতটাতেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় ওদের বিরম্নদ্ধে ড্রও কি কম! আর ভক্তরাও তো চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি দেখার অপেৰাতেই প্রহর গুনে। হোক না সেটা ধুম-ধারাক্কা টি-২০'র, মারকাটারি ওয়ানডে কিংবা বেরসিক টেস্ট! টানা কয়েকদিনের বর্ষণের পরও বাধ্য না হলে জহুর আহদেম চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটটা সম্ভবত ফ্ল্যাটই থাকছে। ব্যাটিং সহায়ক! প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা তো তাই বলে গেলেন। আর পিচ কিউরেটর বললেন, এ উইকেটে টস জিতলে দুই দলই ব্যাটিং নিতে চাইবে। সে সঙ্গে এটাও বললেন, জয়ের জন্য পাঁচটা দিনই খেলতে হবে। অবশ্য যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে তো কথাই নেই। পিচ কিউরেটরের কণ্ঠেও ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেরই প্রমাণ মিলে!