আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ। দ্বিতীয়বারের মতো স্বাগতিক হচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকতার সুবিধায় জুনিয়র টাইগাররা যাতে ভালো ফল করে, প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সেই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে কাল দেশে ফিরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও পিনাক ঘোষরা। ফিরেছেন যুব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫-২ ব্যবধানে সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এই আত্মবিশ্বাস যুব বিশ্বকাপে ভালো করার রসদ জোগাবে মিরাজদের। স্বপ্ন দেখানোর কারিগর কোচ মিজানুর রহমান বাবুলেরও বিশ্বাস, এবার ঘরের মাঠে অসাধারণ পারফরম্যান্স করবে যুব দল।
পরিষ্কার ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে যুবারা। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের ঘুরিয়ে সিরিজ জিতলেও সফরকে প্রস্তুতিমূলক বলতে নারাজ যুব কোচ বাবুল, 'আগামী বছর যুব বিশ্বকাপ। তার আগে যত ম্যাচ খেলবে দল, সবই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর তেমনই। আমি করি এটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক সিরিজ নয়, আমরা গিয়েছি বাই লেটারাল সিরিজ খেলতে।' প্রস্তুতিমূলক কিংবা বাই লেটারাল, যাই হউক, সিরিজ জয় যুবাদের আত্মবিশ্বাসকে গগনে নিয়ে ঠেকাবে বিশ্বাস কোচের, 'দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তাদেরকে তাদের মাটিতে হারানো সহজ নয়। মিরাজরা সেই কাজটিই করেছেন দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারানোয় ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে বহুগুণ। এই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে দিবে বিশ্বকাপে।' যুব বিশ্বকাপে মিরাজদের গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই এই সফরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে যুবাদের মনে করেন কোচ বাবুল, 'বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপেই খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্যই কাজে লাগবে।' যুব বিশ্বকাপের গ্রুপিং এখনো চূড়ান্ত হয়নি। জুনিয়র টাইগারদের গ্রুপে প্রোটিয়া যুবারা ছাড়াও থাকবে আইসিসির দুই সহযোগী দেশ। প্রতিটি গ্রুপ থেকে কাপ পর্বে খেলবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল। ফলে কাপ পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বাংলাদেশের। এই সিরিজ জয় সেই সম্ভাবনাকে আরও এগিয়ে দিল কয়েক ধাপ, 'কাপ পর্বে খেলাই মূল টার্গেট। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলার টার্গেট অবশ্যই থাকবে। ক্রিকেটাররা যেভাবে নিজেদের তৈরি করে নিচ্ছেন, তাতে ভালো ফলাফলের চিন্তা করাই উচিত আমাদের।' বিপরীত পরিবেশ হলেও যুবারা অসাধারণ পারফম্যান্স করেছেন সফরে। এক ম্যাচে ১৫০ রান করেন পিনাক ঘোষ। ১৪১ বলের ইনিংসে ২১টি চার ছাড়াও ছিল ১টি ছক্কা। অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ উইকেট নেন ১২টি। ভালো ব্যাটিং করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলে খেলতে পারেন বলে বিশ্বাস কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের, 'সফরে সবাই ভালো খেলেছেন। নাহলে সিরিজ জেতা সম্ভব হতো না। তারপরও বিশেষ করে বলতে হয় মিরাজের কথা। পেসবান্ধব উইকেটেই সে দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন। পিনাক, শান্ত ভালো খেলেছেন। এই দল থেকেই অনেকেই জাতীয় দলে ঢুকে পড়বেন বলে বিশ্বাস রয়েছে আমার।'