সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড এনটি ডোপিং এজেন্সি'র (ওয়াডা) দেয়া এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার খেলোয়াড়দেরকে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেয়া হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খেলোয়াড়রা মাদক সেবনের পাশাপাশি আরও অন্যান্য সবধরনের দুর্নীতির সাথে যুক্ত। ওয়াডা আরও বলেছে যেন পাঁচজন খেলোয়াড় এবং পাঁচজন কোচকে সারাজিবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
এনটি ডোপিং এজেন্সি খেলোয়াড়দের রক্ত পরীক্ষা এবং তদন্ত করে যে ফলাফল পেয়েছে তাতে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড গভরনিং বডিকেও (আইএএএফ) এই অবস্থার জন্য দায়ী করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএএএফ এর যে এনটি ডোপিং প্রোগ্রাম আছে সেটা ত্রুটিযুক্ত। সেটা ঠিকমত কাজ করলে এই অবস্থা হতো না।
এনটি ডোপিং এজেন্সি কমিশনের প্রধান ডিক পাউন্ড বলেছেন, রাশিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে তাদের খেলোয়াড়দের মাদক সেবন কার্যক্রম যেন তাদের দেশ থেকে পূর্ব অনুমোদিত।
এনটি ডোপিং এজেন্সি থেকে আরও বলা হয় যে, নিষেধ করা সত্ত্বেও রাশিয়ান খেলোয়াড়দের ১৪০০ রক্তের নমুনা মস্কো গবেষণাগার ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করে ফেলে।
এই ফলাফল থেকে এটাও ধারণা করা হচ্ছে যে ২০১৪ সালের অলিম্পিকে যেখানে রাশিয়া ২৪ টি গোল্ড মেডেল পেয়েছিল, সেটাও পক্ষপাতদুষ্ট ছিল কারন এই অবস্থায় খেলোয়াড়দেরকে খেলতে দেয়াই উচিত হয়নি।
কাজেই ২০১৬ সালের অলিম্পিকে আমাদের পরামর্শ হচ্ছে রুশ ফেডারেশনকে মুলতবি করা। আমারা এখন কেবল আশা করতে পারি যে তারা এই অবস্থা শুধরানোর জন্য যা যা করনীয় সেটা করবে। সেটা যদি তারা না করে তাহলে অলিম্পিকে কোন রুশ খেলোয়াড় থাকবে না এবং আমরা সেচ্ছায় কোন খেলোয়াড়কে বাদ দিতে চাইনা।
আইএএএফ এর প্রেসিডেন্ট লর্ড কয়ি বলেছেন, এটা খেলার জগতে একটা অন্ধকার দিন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন