অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেপালের সংগ্রহ ১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩ রান।
এদিকে প্রথমবারের মতো যুবাদের সবচেয়ে বড় আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের ওঠার হাতছানি। মুশফিক, সাকিব, তামিম, নাফিস, আশরাফুলদের মত তারকা ক্রিকেটাররা যা পারেননি তাই করে দেখানোর সুযোগ মিরাজদের সামনে।
যুব বিশ্বকাপের মেগা ইভেন্টে এর আগে বাংলাদেশ তিনবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। তিনবারই ছিটকে পড়তে হয়। এবার ঘরের মাঠের বিশ্বকাপকে নিজেদের কাছে রেখে দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, আরিফুল ইসলাম, পিনাক ঘোষ, সালেহ আহমেদ শাওন, সাঈদ সরকাররা। বর্তমান দলটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই টাইগার যুবারা কোয়ার্টারে উঠেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পরের ম্যাচে স্কটল্যান্ড আর নিজেদের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে উড়িয়ে দেয় মিজানুর রহমানের ছাত্ররা।
জয়ের আশাবাদ জানিয়ে মিরাজ বলেন, বাংলাদেশ এর আগে কখনো সেমিফাইনাল খেলেনি, যদি নেপালের সঙ্গে জিততে পারি, সেটি অনেক বড় অর্জন হবে। আগের চেয়ে মনোযোগ আরও বেশি থাকবে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, সবাই প্রত্যাশা করছে, সে অনুযায়ী খেলতে হবে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষ নেপালের চোখও রয়েছে সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জিতেছে তারা। অধিনায়ক রাজু রিজাল, সন্দীপ সুনার, আরিফ শেখ, কার্কি সিংরা নিজেদের ব্যাটিং দক্ষতা দেখিয়েছে টুর্নামেন্টের শুরু থেকে। আর বোলিংয়ে দারুণ ছন্দে রয়েছেন লেগস্পিনার সন্দীপ লামিছানি। এছাড়াও অফস্পিনার প্রেম থামাংয়ের সঙ্গে পেয়ার দিপেন্দ্র সিং আইরিও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন।
বাংলাদেশ-নেপাল যুবাদের পরিসংখ্যান দেখলে কাগজে-কলমে যদিও কিছুটা এগিয়ে নেপালিরা। তবে বাংলাদেশকেই এবার ফেভারিট মনে করছেন ক্রীড়াবিজ্ঞরা। আজকের ম্যাচে জিততে পারলে দারুণ একটি মাইলফলক ছোঁয়া হবে মেহেদি হাসান মিরাজের দলের। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের যুব বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পঞ্চম হয়েছিল। সেটিই এখন পর্যন্ত টাইগার যুবাদের সেরা সাফল্য হয়ে আছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ