কেউ জানেই না যে, তার হার্ট সার্জারি হয়েছিল ২০০৫ সালে। তারপর থেকেই জীবনকে উপভোগ করা শুরু করেছিলেন ক্রিস গেইল। সম্প্রতি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তার আত্মজীবনী প্রকাশের অনুষ্ঠানে তিনি নিজেই এই অজানা তথ্য ফাঁস করেছেন।
গেইল জানান, ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরে তার হৃদপিণ্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে। কাউকে এই খবর জানানো হয়নি। তার দলের অনেক সতীর্থও জানতেন না। এমার্জেন্সি অপারেশন হয় তার হৃদপিণ্ডে। অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হওয়ার পরে তার বাবা-মা’কে খবর দেওয়া হয়।
গেইল বলেন‘‘কেউ জানেই না এই খবর। আমার বাবা-মা’ও নয়। অস্ত্রোপচার হয়ে যাওয়ার পরে বাবা-মা’কে জানিয়েছিলাম’’। এর ফলে অ্যাডিলেডে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে তিনি খেলতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ‘‘জীবনের গুরুত্ব কী ভীষণ, সেটা তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। তারপরেই ঠিক করে নিই যে, জীবনকে পুরো মাত্রায় উপভোগ করব আমি। আর এখনও সেটাই আমি করে চলেছি।’’
দিল্লিতে তাঁর আত্মজীবনী ‘সিক্স মেশিন’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে গেইল এসব কথা বলেন। যিনি চেন্নাইতে বলে এসেছেন, নাচতে এত ভালবাসেন যে, এবার একটি ডান্স শো করবেন বলেও ভাবনাচিন্তা করছেন।
তবে বাবা হওয়ার পর তিনি যে অনেক পরিণত মানুষ হয়ে উঠেছেন, সেটাও স্বীকার করেছেন গেইল। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘ফ্যামিলি ম্যান হয়ে ওঠাটা নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখন গর্ব করে বলতে পারি যে, আমি একটি কন্যাসন্তানের পিতা।’’
আত্মজীবনী নিয়ে তিনি বলেন, 'এই বইটা পড়ে অন্য এক ক্রিস গেইল’কে আবিষ্কার করা যাবে। আমার ব্যাটিংয়ের মতোই বিনোদন থাকছে বইতে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মাঠে হয়তো আমি অনেক বিনোদন উপহার দিই। কিন্তু আমার ছোটবেলা থেকে শুরু করে জীবনের নানা অধ্যায়ের কাহিনি জানা যাবে এই বই থেকে। আর সেই কাহিনিগুলোও কম বিনোদনমূলক নয়।’’
গেইলের সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেটের আর এক প্রাক্তন এন্টারটেনার। বীরেন্দ্র সেহবাগ। যিনি গেইলকে বর্ণনা করলেন ক্রিকেটের আদর্শ দূত হিসাবে। মাঠের মধ্যে দু’জনের কথাবার্তা কেমন হতো? জিজ্ঞেস করায় সেহবাগ বললেন, ‘‘আমরা ছক্কা মারা নিয়ে কথা বলতাম আর বলতাম কীভাবে প্রতিপক্ষ বোলিংকে ধ্বংস করা যায়।’’
সূত্র: এবেলা
বিডি প্রতিদিন/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৫