কয়েক দিন আগেই একটা সাক্ষাৎকারে ৫০ ওভারের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, পাঁচ ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজের কোনো যৌক্তিকতা তিনি দেখেন না। বিশেষ করে যেখানে শেষের ম্যাচগুলো শুধু মাত্র আনুষ্ঠানিকতা। বিষয়টি নিয়ে ভাবছে আইসিসিও। ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান পদ্ধতিকে ঢেলে সাজানোর একটা উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছেন এসব।
নতুন নিয়মে দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো হবে ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য অলিখিত একটা বাছাইপর্ব হিসেবে। আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া ১৩টি দেশ এই ৩ বছরে একে অন্যের মুখোমুখি হবে। সবাই সবার সঙ্গে অন্তত একটা করে সিরিজ খেলবে।
শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে কারা খেলবে, সেটা ঠিক হবে এই সিরিজগুলোর ফলাফলের হিসাবে। আর শেষ বছরে যেসব দল বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নিতে পারবে না, তারা নিজেদের মধ্যে প্লে-অফ খেলবে।
শুধু ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও একই ধরনের পদ্ধতি চালু হতে পারে। যার মানে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সীমিত ওভারের ক্রিকেট থাকতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, তথাকথিত বড় দলগুলো যাদের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আগ্রহী হয় না; তাদের বিপক্ষেও এখন অন্তত একটি সিরিজ খেলতেই হবে।
বাংলাদেশই যেমন তিন বছরে ১২টি দলের বিপক্ষে খেলবে সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবে। এখনকার সিরিজগুলোতে কটি ম্যাচ হবে, তারও ঠিক নেই। তবে আইসিসি নিয়ম করে দিচ্ছে, প্রতিটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে তিন ম্যাচের করে।
টেস্টে আইসিসির দুই স্তরের ক্রিকেটের পরিকল্পনা ভেস্তে গেলেও ওয়ানডেতে কাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। আইসিসির নতুন প্রস্তাবে এখনকার ‘এফটিপিই’ থাকছে। অবশ্য বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও একটি পরিবর্তন আসছে। দুই বছর পর পর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই দেশ মুখোমুখি হবে। সেখান থেকেই নির্ধারণ করা হবে চ্যাম্পিয়ন। সেটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসি। ২০১৯ সালের দিকে নতুন এই সংস্করণ শুরু হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর