ক্রিকেট দুনিয়ার ঈশ্বর ভাবা হয় শচীন টেন্ডুলকারকে। টেস্ট-ওয়ানডে ক্রিকেটের এই দুই ফর্মাটেই সর্বাধিক রান এবং সর্বাধিক সেঞ্চুরিরর মালিক তিনি। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্টের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর ইনজুরির কারণে অনেকবার দল থেকে বাদ পড়েছেন সত্য। কিন্তু ফর্মের কারণে বাদ পড়া তার সাথে কল্পনাই করা যায় না!
বাজে ফর্মের জন্য টেন্ডুলকার দল থেকে বাদ পড়েছেন তার ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে কখনই হয়নি। আর টেন্ডুলকারকে নিয়ে এমন কথা ভাবাও যেন অসম্ভব। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষের দিকে ২০১২ সালে অবস্থাটা এমনই দাঁড়িয়ে ছিল, ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়তে পারতেন এই ক্রিকেট ঈশ্বরও। অবশ্য ডিসেম্বরে অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন টেন্ডুলকার।
সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তখনকার প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাতিল বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর, ২০১২ আমরা শচীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম।’
তিনি আরও জানান, ‘তিনি আমাদের জানান তার অবসরের কোন পরিকল্পনা নেই। কিন্তু নির্বাচক কমিটি তাকে নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। বোর্ডকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। সম্ভবত শচীন বুঝতে পেরেছিল পরবর্তী সভায় কী সিদ্ধান্ত আসছে। অতঃপর তিনি ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন। যদি তিনি ঘোষণা না দিতেন, নিশ্চিতভাবে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হত।’
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর