একটা ভুল শট আর আউট। ক্ষমা করেনি ক্রিকেট। বিদায় লগ্নে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাননি সৌরভ গাঙ্গুলি। নিজের প্রথম বইতে সৌরভ অবশেষে জানালেন, "না, আমার কোনও আক্ষেপ নেই।"
সেই সঙ্গে আরও জানালেন, "নাগপুরে আমি একটা বলিষ্ঠ শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছি, তার জন্য আজও দুঃখ হয়।" জীবনের শেষ টেস্টে সৌরভ প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৮৫ (১৫৩) রান। আর
দ্বিতীয় ইনিংসে ০ (১) রান।
২০০৮ সালে নাগপুরে সেই সময়ের বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী টেস্ট দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলার ব্রেট লি'র বাউন্স, জনসনের পেস, ওয়াটসনের সুইং কিংবা ক্রেজার স্পিন কোনও কিছুই সেদিন থামাতে পারেনি সৌরভের ব্যাটকে। গাঙ্গুলির ৮৫ রানের সেই ইনিংসে ছিল কপি বুক ড্রাইভ থেকে চোখে লেগে থাকা স্কোয়ার কাট।
তবে স্পিন ভাল খেলা সৌরভ আউট হলেন স্পিনেই। স্কোরবোর্ডে সৌরভের রান তখন ৮৫। ক্রেজার বলে ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে, প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ভারতের অন্যতম সেরা বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। শতরান থেকে ১৫ রান দূরে থেমে যাওয়াটাই যে ক্রিকেট জীবনের সব থেকে দুঃখের, অবশেষে এই চরম সত্য নিজেই জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
আর জীবনের শেষ ইনিংসে সৌরভ ২২ গজে সময় কাটিয়েছিলেন মাত্র ১ মিনিট। দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ক্রেজারের বলেই আউট হন তিনি। প্রথম বলেই স্পিনের বিপরীতে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন সৌরভ। এতে একটুও আক্ষেপ নেই। কিন্তু প্রথম ইনিংসের শতরান না পাওয়া, যেটা সৌরভকে আজও দুঃখ দেয়। সেটাই হল তার ক্রিকেট জীবনের সব থেকে দুঃখের 'বিরাট সফর'।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর