তার আশা ছিল, তাকে হয়তো অধিনায়ক করা হবে আসন্ন মৌশুমের জন্য। তিনি নিজেও প্রস্তুত ছিলেন। এমনকি সংবাদমাধ্যমে বলেই দিয়েছিলেন, তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। কিন্তু আশাহত হলেন রবিন উত্থাপ্পা। শেষ পর্যন্ত কার্যত তাকে টেক্কা দিয়েই বাজিমাত করে গেলেন দীনেশ কার্তিক।
৪ তারিখে নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে, আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে। সেই প্রতিশ্রুতি মেনেই রবিবার সকালে ঘোষণা করে দেওয়া হয় দীনেশ কার্তিক হবেন নতুন কেকেআর অধিনায়ক। অথচ পরিস্থিতি রবিন উত্থাপ্পার নেতা হওয়ার দিকেই অনুকূল ছিল। অধিনায়ক পদের প্রধান দাবিদার ক্রিস লিনই চোট পেয়ে আইপিএল থেকে সম্ভবত ছিটকে গিয়েছেন। ধরা হয়েছিল কেকেআর সংসারে কার্যত নতুন দীনেশ কার্তিককে অধিনায়ক নির্বাচনের ঝুঁকি নেবেন না ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা।
শেষ চার মৌশুমে কেকেআরের বহু সুখ-দুঃখের সঙ্গী থেকেছেন উত্থাপ্পা। ৫৮টি আইপিএল ম্যাচে অংশ নিয়েছেন বেগুনি রঙের জার্সি পরে। অন্যদিকে, দীনেশ কার্তিক আইপিএলে ছ’টি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন। সেই সূত্রেই ধরা হয়েছিল নেতা হওয়ার অটোমেটিক চয়েস উত্থাপ্পা। তবে দিনের শেষে দীনেশ কার্তিককে বেছে নিয়ে কিছুটা চমকেই দিয়েছে কেকেআর শিবির।
যাই হোক, নেতা নির্বাচিত না হলেও উত্থাপ্পা বলে দিয়েছেন, ‘‘ডিকে (দীনেশ কার্তিক) এবং আমি যুব পর্যায় থেকে একে অন্যকে চিনি। তার সঙ্গে খেলার জন্য এখন থেকেই মুখিয়ে রয়েছি।’’
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর