ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সর্বোচ্চ দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বেশ দাপটের সাথেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১৯ রানে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা দারুণ কাটলো টিম বাংলাদেশের। প্রথমে টেস্ট সিরিজ হারের পর ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ওয়ানডে সিরিজে আলো ছড়িয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপর টি-টোয়েন্টিতেও বিশ্বসেরা ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তামিম-মুশফিকরা। সোমবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে টাইগাররা।
তবে টাইগারদের এই জয়ের পেছনে দারুণ ভূমিকা ছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সিরিজে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়েছেন তিনি। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে ব্যাট হাতে কার্যকরী ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়ে এসে প্রতিপক্ষের রানের চাকা আটকে রাখতেও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। তারই জের ধরে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৬ বছর পর বিদেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ দল। অথচ সেন্ট কিটসে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ৭ উইকেটে। সে ম্যাচে সাকিব ব্যাটিংয়ে ১০ বলে ১৯ রান করলেও বোলিংয়ে ২.১ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
শেষ দুই ম্যাচ হয় ফ্লোরিডায়। মার্কিন মুলুকে গিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পরপর দুই ম্যাচ জিতে জিতল সিরিজও। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ে ব্যাটে-বলে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন সাকিব। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ১২ রানের জয়ে প্রথমে ব্যাট হাতে খেলেন ৩৮ বলে ৬০ রানের ইনিংস। বাঁহাতি স্পিনার পরে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
আজ শেষ ম্যাচে সাকিব করেন ২২ বলে ২৪ রান। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২২ রানে দিয়ে নিয়েছেন মারলন স্যামুয়েলসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ম্যাচ শেষে সাকিব নিজেই বললেন, ‘আমার মনে হয়, পুরো সিরিজে আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। আমি ঠিকমতো বলকে হিট করতে পেরেছি। যা আমাকে বোলিং আর অধিনায়কত্বে ভালো করতে সাহায্য করেছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ৬ আগস্ট ২০১৮/ ওয়াসিফ