বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখালো দলটি ১২ ম্যাচ খেলে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থাকা ঢাকা প্লাটুন। ছোট লক্ষ্য এরপর হোচট খেলো দলটি। শেষ অবধি ১৩৮ রান তুলতে সামর্থ্য হলো তারা। আর এতেই ১১ রানের জয় নিয়ে বিপিএল শেষ করে রংপুর রেঞ্জার্স।
শুরুতেই ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে উত্তরবঙ্গের দল রংপুর। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেরেরা। আর ২ উইকেট নেন শাদাব।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। রানআউটে কাটা পড়েন আনামুল হক। পরে মেহেদী হাসানকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় দলটি। ব্যক্তিগত ২০ রান করা মেহেদীকে তুলে নিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন সানি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। একই বোলারের শিকার হয়ে ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং অর্ডার। তাসকিন আহমেদের বলে ফেরত আসেন মুমিনুল হক ও আসিফ আলি। অল্প বিরতিতে শাদাব ও ফাহিম আশরাফকে ফিনিশ করেন জুনায়েদ খান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। রংপুরের হয়ে তাসকিন, জুনায়েদ, সানি নেন ২টি করে উইকেট।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাটিং করতে নামে শেন ওয়াটসনের রংপুর রেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফির শিকার হন ওয়াটসন। তার পর মেহেদী হাসানের বলে ক্যামেরন ডেলপোর্ট দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে দলটি।
জোট ভাঙার পর তৎক্ষণাৎ ফেরেন জহুরুল। থিসারা পেরেরার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩ চারে ২৮ রান করেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। পরে আর কেউ ঝড় তুলতে পারেননি। উল্টো পেরেরার বোলিং তোপে পড়ে রংপুর। সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তাসকিন আহমেদ।
এতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান পেরেরা। তবে বাস্তবে রূপদান করতে পারেননি তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি রানআউটে কাটা পড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে উত্তরবঙ্গের দলটি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত