বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রেকর্ড গড়ে কোয়ালিফায়ার পর্বে উঠেছে খুলনা টাইহার্স। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ঢাকার বিপক্ষে রেকর্ড ২০৫ রান তাড়া করে ১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় খুলনা।
শনিবার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শান্ত’র দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ১১ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় পায় খুলনা।
বিপিএল ইতিহাসে এর আগে এত বড় স্কোর তাড়া করে জয় পায়নি কোনো দল। এই জয়ে রাজশাহী রয়েলসকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা।
২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে খুলানা ঝড়ো সূচনা এনে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন তারা। মিরাজ ২৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন।
অর্ধ-শতক তুলে নেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটেও ওভারপ্রতি রানে রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকে শান্ত ও রাইলি রুশো। এই দুইজনের ব্যাটেই ম্যাচটি খুলনা হাতের নাগালে নিয়ে আসে। ৮১ রানে জুটি গড়ে রুশো দলীয় ১৫১ রানের মাথায় আউট হন।
এরপর ম্যাচের বাকি সময়টুকু শান্ত একাই টেনে নিয়ে যান। বিপিএলের পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পান এই বাহাতি ওপেনার। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেন শান্ত। সেই সঙ্গে মোহাম্মদ শাহজাদের পর বিপিএলে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কম বয়সে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। শেষ পর্যন্ত ১১ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে হারিয়ে ২০৭ রান তুলে নেয় খুলনা।
শান্ত ৫৭ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ঢাকার সাদাব খান ও মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়লেও মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে খুলনার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের বড় পুঁজি পায় ঢাকা। টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মুমিনুল হক আউট হন ৫৯ বলে ৯১ রান করে। অন্যদিকে মেহেদী ৩৬ বলে ৬৮ রান করে আপরাজিত ছিলেন।
খুলনার রবি ফ্রাইলিংক ২টি, মোহাম্মদ আমির ও শফিউল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ সেরা হয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন