দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ওমিক্রন। নতুন প্রজাতির এ করোনাভাইরাসের আক্রমণে ইতোমধ্যে এক ম্যাচ পরেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজটি বাতিল হয়ে গেছে। এবার একই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থিগিত করা হয়েছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটকে। এর ফলে দেশটিতে চলতি মাসে ভারত সফর নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রের খবর, আপাতত সিরিজ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এই বিষয়ে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আলোচনা করবে বোর্ড কর্মকর্তারা।
সূত্রের খবর, আগামীকাল শনিবার কলকাতায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সব কর্মকর্তারা। সেখানেও এই বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে। এরপর রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তবে পরিস্থিতি যা তাতে ১৭ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম।
জানা গেছে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন বিসিসিআই কর্মকর্তারা। সফরে তিনটি টেস্ট, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং চারটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। এই সিরিজ বাতিল হলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে দুই বোর্ডকে। তাই সিরিজ বাতিল করার সম্ভাবনা কম। সফর পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিসিসিআই।
খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চাইছেন না। অনেকেই এই বিষয়ে বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছেন। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন বিরাট কোহলি।
মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিরাট বলেন, 'আমরা এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছি আমরা। আশা করছি দুইদিনের মধ্যে সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। রাহুল দ্রাবিড় সব সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের ধোঁয়াশার মধ্যে রাখা উচিত নয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ