তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৯৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৭৬ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং বিপর্যয় ও হার নিয়ে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘আফিফ ও মিরাজ দারুণ ব্যাটিং করেছে। একসময় তো ১০০ রানও কঠিন মনে হচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেমনটা ধারণা করেছিলাম, উইকেট ঠিক তেমন ছিল না। পেস এবং বাউন্স আমরা ভালোভাবেই সামলাতে চানি। কিন্তু হঠাৎ বাউন্স করা কিংবা লাফিয়ে ওঠা বলে তো সেটা সম্ভব না।’
এদিন টসে জিতে ব্যটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৪ রান তুলতে গিয়ে ৫টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ালেও বড় রান করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে দলকে লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদি মিরাজ।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিদির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কেশব মাহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ব্যক্তিগত শূন্যরানে আউট হন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এদিকে দলীয় ওপেনার লিটন কুমার দাস আউট হওয়ার আগে করেন ১৫ রান। আর ইয়াসির আলি রাব্বি কিছুক্ষণ ক্রিজে অবস্থান করার পর ফেরেন ১২ বলে ২ রানে।
মাত্র ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে সামনে থেকে লিড দেন দুই টাইগার ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তুলেন ৬০ রান। রিয়াদ ফেরেন ২৫ রানে। পরের উইকেটে মিরাজকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন আফিফ। এরই মাঝে ব্যক্তিগত অর্ধশতকও পূর্ণ করেন তিনি। দেখে-শোনেই নিজের স্কোরটাও বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ক্যাগিসো রাবাদা বলে ব্যক্তিগত ৭২ রানে তাকে থামতে হয়েছে। ১০৭ বলে খেলা এই ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো।
এরপর ৩৮ রানে ফেরেন মেহেদি মিরাজও। এছাড়া শরিফুল করেন ২ রান। আর ৯ রানে তাসকিন এবং ২ রানে মোস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন। রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৮৬ রান তুলেন কুইন্টন ডি কক এবং জানেমান মালান। ২৬ রানে ফেরেন মালান। আর মাত্র ৪২ বলে ৬২ রান তুলে আউট হন ডি কক। পরে আর একটি মাত্র উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দলীয় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৩৭ রানে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক