পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। রীতিমতো হাসপাতালে ভর্তি, তবুও সাকিব আল হাসান ফেরেননি দেশে। রূপকথা লেখার বিভোর চিন্তায় আপাতত মায়ের অসুখ, শাশুড়ির ক্যান্সারকেও পাশে সরিয়ে রেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জোহানেসবার্গ থেকে আবারও সেঞ্চুরিয়নে টিম টাইগার্স, বুধবার সেখানে সিরিজে শেষ ওয়ানডে।
প্রথম ওয়ানডেতে এখানেই সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে বীরের দর্পে এক নতুন ইতিহাস লিখেছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওদের মাটিতে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল তামিমের দল। তবে জোহানেসবার্গে সেই সুখের রেশ থাকেনি। ১৯৪ রানের মামুলি সংগ্রহে পিঙ্ক ডে ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বধ করে সিরিজ জয় করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তার অবশ্য কারণও আছে, সেই পুরনো রোগ ফিরেছিল টাইগার শিবিরে। তামিম-ইকবাল লিটন দাসের ওপেনিং জুটি বড় হয়নি। সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম কিংবা ইয়াসির রাব্বি কেউই সুবিধা করতে পারেননি। মানে টপ থেকে মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। সাথে ক্রাইসিস ম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পারেননি নামের প্রতি সুবিচার করতে।
শেষে কেবল আশার দ্বীপ জ্বেলেছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের লড়াইয়ে ১৯৪ রানের মুখ বাঁচানো সংগ্রহ পেয়েছিল টিম টাইগার্স। তবে শেষ ম্যাচ যেখানে সেই সেঞ্চুরিয়নেই তামিম-লিটন, সাকিব-ইয়াসির নৈপুণ্যে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল টাইগাররা। শরীফুল-তাসকিন আর মিরাজও বেশ দাপট দেখিয়েছিলেন বল হাতে।
প্রচলিত আছে, চাপে থাকলে নাকি সাকিব আল হাসান ভালো খেলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই নাকি বেরিয়ে আসে তার সেরাটা। ২০১৯ বিশ্বকাপে যেমন দেখেছিল বিশ্ব। এবার সাকিবের মাথার ওপর আরও বেশি চাপ। চাপ গোটা দলের মাথাতেই। কারণ দলের সেরা খেলোয়াড় ভালো না থাকলে আসলে কেউই ভালো সুর-তাল লয়ে থাকতে পারেন না। সাকিবের চাপকে শক্তিতে পরিণত করে তামিমের দল জ্বলে উঠতে পারবে তো? দেশের জন্য পরিবারে দুর্দিনকে উপেক্ষা করা সাকিবকে উপহার দিতে পারবেন তো সিরিজটা? উত্তরা কাল বিকাল পাঁচটাতেই দেবে সেঞ্চুরিয়ন। ততোটা সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল