‘সামথিং ইজ বেটার দ্যান নাথিং কিংবা নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’-এই সূত্রেই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সৌম্য সরকার ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের একাদশে জায়গা পেয়েছেন সেই সূত্র মেনে।
সিরিজে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচে দলে জায়গা পাওয়া সৌম্য খেলেছেনও তিন নম্বর পজিশনে। রানও করেছেন ২৩। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ১৭ বল। স্ট্রাইকরেট ১৩৫।
২০৯ রানের টার্গেটে তিন নম্বরে খেলতে নেমে সৌম্যর এই রান সুবিধের কিংবা নজরকাড়া কিছু নয়। কারণ তিন নম্বর জায়গাটা ক্রিকেটের যেকোনো ফরম্যাটেই গুরুত্বপূর্ণ। এক হিসেবে এটা বিকল্প ওপেনিং পজিশনও। মানে তিনে যিনি খেলবেন, তিনি ওপেনিংয়ের ধাক্কা সামলে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখবেন নিশ্চয়ই।
অনেক ক্ষেত্রে ওপেনিংয়ের চেয়েও ভরসার জায়গা এই ‘নাম্বার থ্রি’। সেকারণেই বিরাট কোহলির মতো দক্ষ ক্রিকেটাররা নাম্বার তিনে খেলেন।
তবে হঠাৎ দলে ডাক পাওয়া ও অচেনা পজিশনে খেলায় অনেকেই সৌম্য সরকারের এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাথে ২৭ বলে ৪৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটাও ভালো ছিল বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে সৌম্য যথেষ্ট চমক দেখাতে পারবেন কিনা সে নিয়েও আছে প্রশ্ন। কারণ, বহুদিন দলের বাইরে থাকা সৌম্যকে ঘরোয়া লিগেও তাক লাগানো কিছু করতে দেখা যায়নি। আবার কেউ বলছেন, আজ সৌম্য যেটুকু খেলেছেন, তাতে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার প্রবণতা ছিল চোখে পড়ার মতো, সাথে ব্যাট হাতেও তাকে সাবলীল মনে হয়েছে। তবে সাবলীলতাকে ছন্দে ফিরিয়ে ইনিংস লম্বা করার মন্ত্রটা সৌম্যকে নিশ্চয়ই রপ্ত করতে হবে। না হয় ‘সামথিং ইজ বেটার দ্যান নাথিং’ থিওরিতে দলে জায়গা পেলেও সৌম্যের টিকে থাকার লড়াইটা কঠিন হবে। ফের থাকবে দল থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল