দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আবদুল্লাহ শফিকের দুঃস্বপ্নের পথচলা অব্যাহত রয়েছে। আবারও তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তাতে তার নাম উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে। স্বাভাবিকভাবেই রেকর্ডটি অনাকাঙ্ক্ষিত!
জোহানেসবার্গে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) তৃতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচের দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে আউট হন শফিক। পেসার কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। সিরিজে তিন ম্যাচের সবকটিতে রান না করেই আউট হলেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে টানা সবচেয়ে বেশি ইনিংসে শূন্য রানে আউটের রেকর্ড এটিই।
পার্লে প্রথম ম্যাচে ৪ বলে, কেপ টাউনে দ্বিতীয় ম্যাচে ২ বলে, আর শেষ ম্যাচে প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরলেন শফিক। পাকিস্তানের হয়ে টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন আরও পাঁচ জন। ১৯৯৩ সালে শোয়েব মোহাম্মদ, ১৯৯৬ সালে শাদাব কাবির, ২০০০ সালে মোহাম্মদ ওয়াসিম, ২০০৪ সালে শোয়েব মালিক ও ২০১০ সালে সালমান বাট তিন ইনিংসে শূন্যতে ফিরেছিলেন।
আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে শফিক ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের সবাইকে। এই বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭ বার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি, পাকিস্তানের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে যা সর্বোচ্চ।
শফিক ‘মুক্তি’ দিয়েছেন ইমরান নাজির ও মোহাম্মদ হাফিজকে। ২০০০ সালে ৩২ ইনিংসে ৬ বার শূন্য রানে ফিরেছিলেন নাজির, ২০১২ সালে ৪৩ ইনিংসে ৬ বার হাফিজ। এই দুজনকে শাফিক ছাড়িয়ে গেলেন ২১ ইনিংসেই। এই বছরে ওয়ানডেতে ৩ বার ছাড়া টেস্টে ৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন শাফিক। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে টানা চার ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার তেতো অভিজ্ঞতাও আছে তার।
শফিকের সামনে এখন ওয়ানডেতে টানা সবচেয়ে বেশি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ডের শঙ্কা। টানা চার ইনিংসে শূন্য করে রেকর্ডটি যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গাস লগি, শ্রীলঙ্কার প্রামোদ্যা উইক্রামাসিংহে, জিম্বাবুয়ের হেনরি ওলোঙ্গা, ইংল্যান্ডের ক্রেইগ হোয়াইট ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার। শফিক আপাতত স্বস্তি অনুভব করতে পারেন যে, এই বছরে আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই পাকিস্তানের!
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ