চোট সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এবং খেলোয়াড়দের সুস্থ ও ফিট রাখার লক্ষ্যে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের যে ধারা গড়ে উঠছে, মাদ্রিদও তাতে শামিল হলো।
গত কয়েক মৌসুমে একের পর এক ইনজুরির ধাক্কা সামলাতে হয়েছে ক্লাবটিকে। এই অভিজ্ঞতার পরই ক্লাবের উচ্চপর্যায়ে চোট প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন কোচিং স্টাফের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং এক মৌসুম পার করার পর—যার মধ্যে ছিল ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণও—এবার ডেটাভিত্তিক প্রযুক্তির সহায়তায় ইনজুরির সম্ভাবনা কমিয়ে খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ ফিটনেস নিশ্চিত করতে চায় রিয়াল।
মার্কা পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, রিয়াল মাদ্রিদ এখন এমন কিছু ‘এলিট’ ক্লাবের অংশ যারা খেলোয়াড়দের যত্নে এআই প্রযুক্তিতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, বায়ার্ন মিউনিখ, ফ্ল্যামেঙ্গো এবং পালমেইরাসের মতো ক্লাবও।
এই প্রযুক্তি ইনজুরির সম্ভাব্য ঝুঁকি আগেভাগে শনাক্ত করতে সক্ষম, যার ফলে চিকিৎসা ও রিকভারি প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়। এতে ক্লাবগুলো কেবল ক্রীড়াক্ষেত্রে নয়, কাঠামোগত ও আর্থিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পাচ্ছে। এই প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হলো, চোট লাগার আগেই তা অনুমান করা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা—যা কেবল খেলার দিক থেকেই নয়, কাঠামোগত ও আর্থিকভাবেও উপকারী।
কিভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি:
এই এআই প্ল্যাটফর্মগুলো অসংখ্য তথ্য বিশ্লেষণ করে—যেমন ট্রেনিং লোড, আগের ইনজুরি ইতিহাস, ঘুমের মান, পুষ্টি, ম্যাচ পারফরম্যান্স এমনকি মানসিক অবস্থাও। এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয় ক্যামেরা, সেন্সর ও জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে, যা একজন খেলোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিপূর্ণ ও নিখুঁত ধারণা দেয়—যেটা কেবল মানব পর্যবেক্ষণে সম্ভব নয়।
এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য হলো আগেভাগেই সতর্ক সংকেত চিহ্নিত করে প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করা, যাতে চোট এড়ানো যায়। কারণ একটি সাধারণ ইনজুরিও একজন খেলোয়াড়কে তিন থেকে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে রাখতে পারে—যা দলটির জন্য প্রতিযোগিতামূলক ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম