কোনভাবেই সাইবার অপরাধ রুখতে পারছে না প্রযুক্তিবিদরা। এটা দিনকে দিন ডালপালা ছড়াচ্ছে। নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লুট হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে সেলিব্রেটিদের অতি গোপনে রাখা ব্যক্তিগত ছবি। এ মুহূর্তে নেট দুনিয়ার যে অপরাধ সবার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার পোশাকি নাম সেক্সটরশন। মার্কিন মুলুকে সেক্সটরশন যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমত চিন্তায় পড়েছে সে দেশের প্রশাসন।
কী এই সেক্সটরশন? এক্ষেত্রে কারোর ব্যক্তিগত মেইল আইডি হ্যাক করে খোলামেলা ছবি হাতিয়ে নেয় অপরাধী। অনেক ক্ষেত্রে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত পিসিও দখল করে হ্যাকাররা। তারপর সেই ছবি ভুক্তভোগীর মেইলে পাঠিয়ে আরও ওই জাতীয় ছবি, ভিডিও বা টাকা-পয়সা দাবি করে। না দিলে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অনেকে গোপনে ওই হ্যাকারদের চাহিদা পূরণ করে। অনেক সময় হ্যাকারদের চাহিদা পূরণ করতে তাদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কও তৈরি করতে হয়। গত বছর সেক্সটরশনের এক হাজার ৩৭৯টি অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়। তবে তদন্তকারীদের ধারণা আসল সংখ্যাটা অনেক বেশি। সেটা কয়েক হাজার থেকে লাখও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে- সেক্সটরশনের বেশিরভাগ শিকার ১৮ বছরের কম বয়সি ছেলে। আর প্রাপ্তবয়স্ক শিকাররা কিন্তু প্রত্যেকেই মহিলা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকলজ্জার ভয়ে এ ক্ষেত্রে চুপ করে থাকাই শ্রেয় মনে করেন আক্রান্তরা। আইনের আশ্রয় নেন না। আর এ কারণেই এই অপরাধ ক্রমে বেড়েই চলেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ