ফেসবুক ও গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে লগইন করা যায়। এতে আলাদা করে ই-মেইল বা পাসওয়ার্ড লেখার ঝামেলা এড়ানো যায়, যা অনেক ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করে। এই পদ্ধতিটি ‘সিঙ্গেল সাইন ইন’ (এসএসও) নামে পরিচিত, যা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এসএসও পদ্ধতির কার্যক্রম:
এসএসও পদ্ধতিতে লগইন করার সময় ফেসবুক বা গুগল অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারী একবার লগইন করলে প্রাথমিক অ্যাকাউন্ট থেকে নাম, ই-মেইল, প্রোফাইল ছবি, এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ। অনেক ক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, জন্মতারিখ, বয়স, এবং লোকেশনও সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, এসএসও পদ্ধতির মাধ্যমে লগইন করা সাইটগুলো কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করছে, তা বেশিরভাগ ব্যবহারকারী জানেন না। এই তথ্যগুলো পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা:
এসএসও পদ্ধতির সুবিধা থাকলেও, এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ফেসবুক ও গুগল অ্যাকাউন্টের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ সংগ্রহ করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে, এসব তথ্য ব্যবহার করে সাইবার হামলা চালানোর সম্ভাবনাও থাকে। কোনো একটি ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে ব্যবহারকারীর অন্যান্য অ্যাকাউন্টও সহজে হ্যাক হতে পারে, কারণ এসএসও পদ্ধতিতে লগইন করা একাধিক সাইট বা অ্যাপ একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।
ফলে, এসএসও পদ্ধতিতে সহজে অনলাইন অ্যাকাউন্ট চালু করা গেলেও, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল