মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মশা-মাছি ধুলায় অতিষ্ঠ রংপুরবাসী

নজরুল মৃধা, রংপুর

মশা-মাছি ধুলায় অতিষ্ঠ রংপুরবাসী

রংপুর নগরী এখন মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া অসময়ে মাছির উপদ্রব ও ধুলায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘরে-বাইরে সবখানে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরী ও কেডি খালে মশার বংশবিস্তার সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে রংপুর পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ও ডিমলার রাজা জানকী বল্লভ সেন ১৮৯০ সালে তার মা চৌধুরানী শ্যামা সুন্দরী দেবীর নামে খালটি পুনর্খনন করেন। এটি ঘাঘট নদী থেকে শুরু করে নগরীর ধাপ পাশারীপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সিপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা, নূরপুর, বৈরাগীপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জের মরা ঘাঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খালটি নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। এর দুই পাড় অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় সংকীর্ণ হয়ে পড়ে খালটি। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। শ্যামাসুন্দরী খালটির সংস্কারকাজ থমকে থাকায় মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে নগরীতে কেডি খাল নামে আরেকটি খাল রয়েছে। এই খালের প্রায় ৪ কিলোমিটার এক যুগেও পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে শ্যামাসুন্দরীর চেয়ে বেশি মশা জন্ম নিচ্ছে ওই খালে। এ ছাড়া নগরীর রাস্তার দুই পাশে ধুলার স্তূপ জমে রয়েছে। একটু বাতাস এলেই ধুলার কারণে মানুষজনকে নাক ধরে চলতে হয়। অন্যদিকে মাছিও যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরবাসীর কাছে। এ ছাড়া নগরীর ড্রেন, পুকুর-জলাশয়গুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেখানেও উৎপাদন হচ্ছে মশা। সর্বত্র মশার অত্যাচারের কারণে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্প্রে কিংবা কয়েলেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। রংপুর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মঞ্জু জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। শ্যামাসুন্দরী খাল পরিষ্কার রাখার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর