সরকারি বেসরকারি কলেজের মধ্যে দেশসেরা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি মৃত প্রাণীর নমুনা। রয়েছে ৭৫ বছরের প্রাচীন নমুনাও। মিউজিয়ামটি উন্মুক্ত রয়েছে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্যও। জানান কলেজের ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মহিউদ্দিন মো. শাহজাহান ভুইয়া। ভিক্টোরিয়া কলেজে বর্তমানে ২৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর জীববিজ্ঞান বিভাগ স্থাপিত হয় ১৯৪৮ সালে। প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ ১৯৬২ সালে ও প্রাণিবিদ্যার অনার্স কোর্স চালু হয় ১৯৯৬ সালে।
সরেজমিন দেখা যায়, থরে থরে সাজানো বিভিন্ন প্রাণীর নমুনা। রয়েছে সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, কাঠবিড়ালী, মাছ, পাখিসহ নানা মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণীর নমুনার সমারোহ। রাসায়নিকে ভেজানো নমুনা শিক্ষার্থীরা নেড়েচেড়ে দেখছেন। কেউ কেউ নোট নিচ্ছেন। শিক্ষকরা বর্ণনা করছেন নমুনার জীবন প্রকৃতি নিয়ে। দেখা মিলল ১০ রকমের সাপের নমুনা। যেন এখনো জীবন্ত। বিভাগের প্রধান ড. মহিউদ্দিন মো. শাহজাহান ভুইয়া বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বেসরকারি কলেজের মধ্যে সেরা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে দেড় হাজারের বেশি নমুনা। রয়েছে ৭৫ বছরের পুরাতন নমুনাও। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নমুনা সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি করব।
কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান শফিক সোহাগ, রেজাউল হক ফাহাদ ও তৃতীয় বর্ষের রেজাউল করিম বলেন, ভালো মিউজিয়াম ছাড়া এই বিভাগে পড়া অর্থহীন। সেই নিরিখে আমরা সৌভাগ্যবান। সম্প্রতি অধ্যক্ষ মহোদয় উদ্যোগ নিয়ে মিউজিয়ামটিকে সংস্কার করেছেন। সমৃদ্ধ মিউজিয়ামের কারণে আমরা হাতেকলমে সহজে শিখতে পারছি। অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, এখানে ৭৫ বছরের প্রাচীন নমুনা রয়েছে। সেগুলো যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা এই মিউজিয়ামে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিদর্শনের সুযোগ দিচ্ছি। এটির সংগ্রহ বাড়ানো ও ডিজিটালের জন্য আমরা কাজ করছি।
